Problem of load shedding: দফায় দফায় কারেন্ট চলে যাচ্ছে! কেন এত লোডশেডিং? গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী! কেউ বলছেন সকালে কারেন্ট নেই, কেউ বলছেন দুপুরে ঘন্টার পর ঘন্টা ঘর্মাক্ত হয়ে বাড়িতে থাকতে হচ্ছে। রাতে লোডশেডিং হলে তো আরো মুশকিল। জানুন বিস্তারিত
তাপমাত্রার পারদ 40 ডিগ্রী ছাড়িয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন বৃষ্টির আশায় আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা তৈরি হচ্ছে কিন্তু তবুও বৃষ্টির দেখা নাই। এই অবস্থায় কৃত্রিম ঠান্ডা হওয়ার জন্য এসি কেনার ভিড় বাড়ছে।
দফায় দফায় কারেন্ট চলে যাচ্ছে কেন?
কিন্তু আপনি কি জানেন এর মধ্যেই আরো বেশি করে গরম বা অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরির অশনি সংকেত আমরা নিজেরাই অজান্তে তৈরি করে ফেলছি? এই যে দফায় দফায় এত কারেন্ট চলে যাওয়ার মত ঘটনার সাক্ষী হতে হচ্ছে আমাদের তার জন্য দায়ী কিন্তু ওই এসি। বুঝতে একটু অসুবিধা হচ্ছে, বেশ স্পষ্ট করে এই প্রতিবেদনে আপনাকে সবটাই জানাবো আমরা।
বেশ কিছুদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুধুমাত্র লোডশেডিং জনিত সমস্যার কথা পোস্ট করছেন সাধারণ মানুষ। কেউ বলছেন সকালে কারেন্ট নেই কেউ বলছেন দুপুরে ঘন্টার পর ঘন্টা ঘর্মাক্ত হয়ে বাড়িতে থাকতে হচ্ছে। রাতে লোডশেডিং হলে তো আরো মুশকিল।
লোডশেডিং এর সমস্যা বাড়ছে। কোথায় সমস্যা?
সারাদিনের পর যে একটু শান্তিতে ঘুমোবেন সে উপায় নেই। আঙুল উঠছে সিইএসসির বিদ্যুৎ পরিষেবার দিকে। বেলতলা থেকে বালিগঞ্জ, নোনাপুকুর থেকে নরেন্দ্রপুর, বহুতল থেকে বস্তি সর্বত্রই লোডশেডিংয়ের থাবা। সকলেই বলছেন যেভাবে সিইএসসি একচেটিয়া ব্যবসা করে চলেছে তাকে মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার কথা এদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।
তবে শুধুমাত্র এই সংস্থার দিকেই যে দোষ উঠছে তা নয় কারণ পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ পরিবহন নিগমের অন্তর্ভুক্ত যে সমস্ত বাড়ি সেখানেও লোডশেডিং এর সমস্যা বাড়ছে। কোথায় সমস্যা? কী বলছে এই বিদ্যুৎ সংস্থাগুলি?
গরমের মোকাবেলা করতে এসির ব্যবহার:
CESC বলছে মানুষ যেভাবে গরমের মোকাবেলা করতে এসি কিনছে এবং যখন তখন ব্যবহার করছে এবং বিদ্যুৎ সংস্থাকে না জানিয়েই বাড়িতে এসি লাগিয়ে নিচ্ছেন এতে ওভারলোড হয়ে যাচ্ছে। মানে ধরুন কোনও এলাকায় বিদ্যুতের যতটা পরিমাণ বন্টন ঠিক করা রয়েছে তার চেয়ে বেশি ব্যবহার হচ্ছে ।
সেই চাপ নেওয়া যাচ্ছে না আর তাতেই এলাকায় এলাকায় বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আপনি যদি বাড়িতে এসি লাগাতে চান তাহলে অবশ্যই যে বিদ্যুৎ সংস্থার থেকে আপনি বিদ্যুৎ গ্রহণ করেন তাকে চিঠি দিয়ে অবশ্যই জানান যাতে আপনার বাড়ির মিটার এসির উপযুক্ত লোড নিতে পারে কিনা সেই সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেন।
আরো পড়ুন – বড়পর্দায় ঘসেটি বেগম? টলিপাড়ায় নতুন বায়োপিক? কে এই ঘসেটি বেগম? নাম ভূমিকায় কে?
ধরে নেওয়া যাক আপনার বাড়ির মিটার একটা এক টনের এসির লোড নেয়ার উপযুক্ত নয়। তাহলে আপনাকে এপ্লাই করতে হবে এবং এই বিদ্যুৎ ক্ষমতাকে বাড়ানোর জন্য কোম্পানি থেকে লোক এসে আপনার মিটার বক্স ঠিক করে দেবেন।
এবার ভেবে দেখুন যদি এটা না করেন এবং বিদ্যুৎ সংস্থাকে না জানিয়ে বাড়িতে এসি ইন্সটল করে নেন তাহলে সেক্ষেত্রে সাময়িক শান্তি বা ঠান্ডা পেতে গিয়ে এত ওভারলোড আপনি তৈরি করছেন যার ফলে গোটা এলাকায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটছে। এতে যেমন আপনি সমস্যায় পড়ছেন গরমে অস্বস্তি হচ্ছে শরীর খারাপ করছে, তেমনি এলাকার মানুষও সমান ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই দিকে একটু নজর দিন।
আরো পড়ুন – Ajmer 92: গণধর্ষণের প্রেক্ষাপটে তৈরি ‘আজমেঢ় ৯২’ মুক্তি পাবে কবে? আবার কি বিতর্ক জুড়ছে?
CESC জানিয়েছে তাদের কাছে গত এক মাসে ৪৫ হাজার এপ্লিকেশন জমা পড়েছে এসির কানেকশনের জন্য। অথচ বাজার থেকে প্রায় দেড় লক্ষ এসি বিক্রি হয়েছে। তাহলে ভাবুন এত মানুষ যে নিয়ম না মেনে বাড়িতে এসি ব্যবহার করছেন এর দায় কে নেবে?
আরো পড়ুন – গরমের পারদ চড়ছে, টেনশনে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র? কেন বড়লোক বয়ফ্রেন্ড খুঁজছেন তিনি?
রাতের পর রাত ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় থাকতে হচ্ছে তো আপনাকে আমাকে আর সেটা নিজেদের ভুলের জন্যই। যদি আমি কি বলছেন বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার গাফিলতি ঢাকতেই নাকি এসব কথা উঠে আসছে। এই সংক্রান্ত সত্যতা আমরা যাচাই করিনি।
আরো পড়ুন – Mahendra Singh Dhoni: মহেন্দ্র সিং ধোনির কি কি ব্যবসা আছে? সব মিলিয়ে কত টাকার মালিক ধোনি?
তবে এটা ঠিক কোন জায়গায় নির্দিষ্ট পরিমাণ এর থেকে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার হলে সেক্ষেত্রে বিভ্রাট ঘটবেই। তাই আগে থেকে সতর্ক হোন এবং সঠিক নিয়মে বিদ্যুৎ ব্যবহার করুন।