Cyclone Biparjoy and Tej: ধেয়ে আসছে বীভৎস ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ ও ‘তেজ’! বাংলার আকাশে ফের বিপর্যয় ভ্রুকুটি? মারাত্মক শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসছে দুই বীভৎস ঘূর্ণিঝড়? পূর্ববঙ্গ এবং পশ্চিমবঙ্গের নামকরণ করা ঝড় কি এবার দুই বাংলাকে তছনছ করতে চলেছে?
তাহলে এবার ঘূর্ণিঝড়ের মুখে পড়তে হবে বাংলাকে?
বাংলার আকাশের দুর্যোগ যেন কাটতেই চাইছে না। হাওয়া অফিস বলছে আরো বড় দুটো ঘূর্ণিঝড়ের মুখে পড়তে হবে বাংলাকে। সাম্প্রতিককালে ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যাটা যেন হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। আমফাম, বুলবুল, ইয়াসের পর কিছুদিন আগেই মোকা নিয়ে একটা বড় টেনশন তৈরি হয়েছিল।
যদিও বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে বাংলাদেশ মায়ানমার সীমান্তে। তছনছ করে দিয়েছে বাড়িঘর, উপড়ে ফেলেছে গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি। আর এবার ভয়ংকর সমস্যা তৈরি করতে চলেছে জোড়া ঘূর্ণিঝড়। ধেয়ে আসছে ‘বিপর্যয়’ ও ‘তেজ’! পূর্ববঙ্গ এবং পশ্চিমবঙ্গের নামকরণ করা ঝড় কি দুই বাংলাকে তছনছ করতে চলেছে?
বিশ্বের বিভিন্ন তরফে আবহাওয়া অফিসের কর্তারা নড়েচড়ে বসেছেন এই ‘জোড়া ঘূর্ণিঝড়‘ নিয়ে। যদিও ভারতে এই নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো স্পষ্ট মত প্রকাশ করা হয়নি। মনে করা হচ্ছে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে এই ঝড় তার ব্যাপক প্রভাব চালাতে পারে।
কিন্তু কবে, কোথায় আছড়ে পড়বে জোড়া ঘূর্ণিঝড়?
সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত আপডেট দিব আমরা এই প্রতিবেদনে। যেভাবে দিন দিন গরমের দাপট বাড়ছে তাতে অনেকেই মনে করছেন তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রী ছাড়িয়ে যেতে খুব একটা বেশি সময় নেবেনা। এখন সমস্যা হচ্ছে বর্ষা কবে আসবে তা নিয়ে স্পষ্ট কোন বার্তা পাওয়া যাচ্ছে না।
মোকা আন্দামান নিকোবরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মনে করা হয়েছিল যে হয়তো এই বছরে আন্দামানে তাড়াতাড়ি বর্ষা ঢুকবে। কেরল এখনো পর্যন্ত বর্ষা প্রবেশ না করায় বাংলায় কবে বৃষ্টির মরসুম শুরু হবে সেটা পুরোপুরি ধোঁয়াশার মধ্যে রয়ে গেছে।
খাওয়া অফিস বলছে আকাশে মেঘের দেখা মাত্র নেই কোথাও কোথাও হালকা হালকা বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হলেও তা যে পরিমান তাপপ্রবাহ চলছে তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ। সবমিলিয়ে বাতাসেরে জলীয় বাষ্পের পরিমাণের কারণে একটা আদ্রতা জনিত অসস্তি থাকছে।
আরো পড়ুন – এতো কম দামে AC ? মাত্র 3000 টাকা হাতে থাকলেই কেল্লাফতে, পাবেন নতুন এসি!
সকাল হতে না হতেই রোদের চওড়া ব্যাটিংয়ে তাপপ্রবাহের লম্বা ইনিংস চলছে। এর মাঝেই হঠাৎ করে ঘূর্ণিঝড়ের খবর ফাঁস হয়ে গেছে। আগামী রবিবার থেকে সোমবারের মধ্যে সে সম্পর্কিত স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। তবে আজ থেকে দশ তারিখের মধ্যেই ‘দুটি ঘূর্ণিঝড় তৈরির আশঙ্কা‘ করা হচ্ছে।
যেটুকু আভাস পাওয়া যাচ্ছে সেখান থেকে যারা যাচ্ছে উত্তর আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন দক্ষিণ মায়ানমার উপকূলে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে। এই ঘূর্ণাবর্ত শক্তি সঞ্চয় করে প্রথমে নিম্নচাপ এবং পরে গভীর নিম্নচাপ হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
আরো পড়ুন – My Ami Buggy: পুঁচকে ইলেকট্রিক চারচাকা গাড়ি, বাড়ির ছোটরা এবং মহিলারা আরামসে চালাতে পারবে
আপাতত যেটুকু আন্দাজ পাওয়া যাচ্ছে তাতে মনে করা হচ্ছে যে আন্দামান সাগরে এই সাইক্লোনিক সার্কুলেশন রবি-সোম নাগাদ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। আগামী ৫ জুন থেকে ৭ জুন ২০২৩ এর মধ্যে এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়াবে।
আরো পড়ুন – Tecno Camon 20: টেকনো ক্যামন সিরিজ় স্মার্ট ফোন লঞ্চ হল, কত দাম জানেন?
হাওয়া অফিসের কর্তাদের একাংশ মনে করছেন কেরল উপকূলের কাছাকাছি দক্ষিণ আরব সাগরে আরেকটি নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। এটি উপকূল বরাবরমহারাষ্ট্র ও গুজরাত উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছতে পারে। ভারত এটির নামকরণ করেছে তেজ। কিন্তু এর অভিমুখ কোন দিকে হবে সেটা এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।