Block ex on social media: প্রাক্তন কে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্লক করতে চাই, অতীতের স্মৃতি এখনো ব্যথা দিচ্ছে? ব্যথা যন্ত্রণা বুকের মাঝে থাকে। তাই বেদনাদায়ক স্মৃতিকে ভুলে যাওয়ার জন্য কঠিন পদক্ষেপ করা দরকার। প্রসেনজিৎ ঋতুপর্ণা অভিনীত প্রাক্তন ছবি ভালো লাগেনি এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
প্রথম প্রেমে পড়া, একসঙ্গে কাটানো একগুচ্ছ মুহূর্তকে স্মৃতিতে সাজিয়ে রাখা – এই সবকিছু এক পলকে শেষ হয়ে গেলে চোখের সামনে অন্ধকার একটা জগত তৈরি হয়। তখন একমাত্র স্মৃতিটাই সম্বল হয়ে থাকে। সকাল থেকে তার ফোনের আশায় বসে থাকা, দুপুর গড়িয়ে বিকেল সন্ধ্যে, রাতে ঘন্টার পর ঘন্টা তার সাথে কথা বলা। এই সবকিছু এক লহমায় অতীত হয়ে যায় যখন সম্পর্কটা প্রাক্তন হয়।
প্রাক্তনকে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাখতে ইচ্ছে করছে না:
ব্রেকআপ আজকের দিনে খুব সহজ আর স্বাভাবিক একটা ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুড়ি মুড়কির মতো ব্রেকআপ হতে দেখা যায় আজকাল। তবে এটাও ঠিক ব্রেকআপ হওয়ার যন্ত্রণা সহজে ভোলা যায় না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যখন সম্পর্ক ছিল তখন তো সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব ছিল।
একে অন্যকে লাইক আর ফলো করা ছিল বটে। কিন্তু এখন কার্যত সবটাই অতীত। তরে খুব স্বাভাবিকভাবেই আর প্রাক্তনের প্রতি সেই অনুভূতিটা নেই। হয়তো সামান্য একটু খারাপ লাগা আছে, হয়তো বা অনেকটা মন খারাপ আছে যেটা খুব স্বাভাবিক একটা ঘটনা।
এমনটা হলে প্রাক্তনকে ব্লক করে দেওয়াটাই ভালো:
ব্রেকআপ হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে যেটা মনে হয় সব সম্পর্ক যখন শেষ হয়ে গেছে তখন সব ধরনের যোগাযোগ ছিন্ন করে দেওয়াটাই উচিত। এখানে বলা দরকার পুরোটাই নির্ভর করছে আপনি গোটা বিষয়টাকে কী ভাবে দেখছেন তার ওপর।
আপনার যদি মনে হয় এই বিষয়টা সঙ্গে আর নিজেকে সামলাতে পারছেন না অর্থাৎ এখনো পর্যন্ত আপনার যদি মনে হয় যে আপনার প্রাপ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় কাকে ফলো করছেন, কী ছবি দিচ্ছেন, কোথায় ঘুরতে যাচ্ছেন বা কাকে ডেট করছেন এগুলো আপনার জীবনে প্রভাব ফেলছে তাহলে প্রাক্তনকে ব্লক করে দেওয়াটাই ভালো (Want to block ex on social media)।
আরো পড়ুন – স্বামীর সঙ্গে সুখে সংসার! অর্থাৎ স্বামীর উপর নির্ভর করে জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত কতটা ঠিক?
সবথেকে জরুরী একটা বিষয় হচ্ছে নিজের দিক থেকে পরিষ্কার থাকা। আপনি কী চান সেটা নিজে আগে ভালো করে বুঝতে শিখুন। সমাজ কী বলবে এই ভাবনায় নিজেকে চালিত করার চেষ্টা করবেন না। যদি মনে হয় ব্লক করবেন না আনফ্রেন্ড করবেন তাহলেও নিজের মনকে সেটা বোঝান ।
কারণ সবশেষে গিয়ে কিন্তু আপনিই আপনার সঙ্গে একা কথাবার্তা বলবেন। তখন স্বচ্ছতা থাকা তো দরকার। জীবনে সবাই সুখী হতে চায় এর মধ্যে কোন অন্যায় নেই। কিন্তু সুখ বলতে আপনি কী বুঝছেন এবং কোন দিক থেকে সেই সুখ আপনার জীবন ভরিয়ে দিতে চাইছে, এটা নিজের মধ্যে রিয়েলাইজ করতে হবে। যতই কাব্য কথা বলি না কেন জীবন থেকে একটা মানুষের অস্তিত্বকে মুছে ফেলা সহজ হয় না।
আরো পড়ুন – প্রথমবার যৌন সম্পর্কে নার্ভাস! শারীরিকভাবে একে অন্যের ঘনিষ্ঠ হওয়ার আগে জেনে নিন
আর যদি কেউ আপনার জীবনে প্রথমবার প্রেমের স্পর্শ নিয়ে এসে থাকে তাকে ভুলে যাওয়া বেশ কঠিন ব্যাপার। হয়তো সময় যত যায় আস্তে আস্তে স্মৃতিগুলোর উপর ধুলো পড়তে থাকে। কিন্তু একেবারেই ডিলিট করে দেওয়া কিছুতেই সম্ভব নয়।
কারণ আমরা আমাদের জীবনের সঙ্গে কখনো না কখনো কোনো না কোনো মুহূর্তে ঘনিষ্ঠ ভাবে জড়িয়ে থাকা মানুষদের ভুলতে পারি না । এটা অসম্ভব। সবশেষে একটা কথা বলি মানুষের জীবনে বাঁচার জন্য একাধিক পদ্ধতি বা উপায় মানুষ নিজেরাই খুঁজে নেয়। সবাই না আনন্দে থাকতে চায়।
আরো পড়ুন – নৈহাটির বড়মাকে দর্শন করতে গেছেন কখনো? ইতিহাস জানলে শিহরিত হবেন আপনি!
আর আনন্দ কোন পথে আসবে সেটা জীবনের অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে প্রতিটা মানুষকে নিজে থেকে শিখে আর বুঝিয়ে নিতে হয়, এটা বাইরে থেকে কখনোই অনুভব করানো সম্ভব নয়। নিজের কাছে নিজের সৎ আর পরিষ্কার থাকুন , মানসিকতাকে পবিত্র রাখুন। বাকি পৃথিবীকে নিয়ে আপনার ভাবার প্রয়োজন নেই।