Reduce electricity bill: ইলেকট্রিক বিলের জ্বালায় রাতে ঘুম হচ্ছে না? কী করে বিদ্যুৎ খরচ কমাবেন ভাবছেন বুঝি? পড়ুন প্রতিবেদন। জ্বালানির যন্ত্রণার জেরে জেরবার দেশ। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে প্রত্যেকেই চাইছেন একটু সাশ্রয় কিন্তু উপায় কী (How to reduce electricity consumption)?
কী করে বিদ্যুৎ খরচ কমাবেন?
চারিদিকে সমস্যা, আর মাথার ওপর যদি বিদ্যুতের বিল একটা বড় বোঝা হয়ে দাঁড়ায় তখন আর কিছুই ভালো লাগেনা। দিনের পর দিন যেভাবে ইউনিটের দাম বাড়ছে তাতে আপনাকে মাসের শুরুতে একটা মোটা টাকা ইলেকট্রিক বিল দেওয়ার জন্য আলাদা সরিয়ে রাখতে হয়।
যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে চিন্তা বাড়ে তার সঙ্গে বাড়তে থাকে ব্লাড প্রেসার। এই প্রতিবেদনে আপনার মুশকিল আসানের ব্যবস্থা করা যাক।
আজকালকার দিনে ‘বিদ্যুৎ সাশ্রয়‘ করার জন্য একাধিক জিনিস বাজারে পাওয়া যায়। আমরা অনেকেই হয়তো তার ব্যবহারিক প্রয়োগ সম্পর্কে খুব একটা জানিনা যার জন্য সেটা কিনবো কিনবো না এটা ভাবতেই অনেকটা সময় নিয়ে ফেলি।
তবে আমরা বলছি বাড়িতে থাকা আপনার ইলেকট্রনিক্স বা ইলেকট্রিক্যাল জিনিসের কথা যেগুলোর সঠিক উপায় ব্যবহার করতে পারলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে (how to reduce electricity bill)।
আরো পড়ুন – সোশ্যাল মিডিয়ার শিরোনামে শ্যামনগর? ভাইরাল ঘটনা নয়, জানেন কি আসল সত্যিটা কী?
আরো পড়ুন – Toothbrush: ব্যবহার করা টুথব্রাশ ফেলে দিচ্ছেন? পুরনো টুথব্রাশ ব্যবহার করুন নানা কাজে
বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় গুলো কি কি?
- আপনি কি জানেন বিদ্যুৎ বিল কমানোর জন্য সব ডিভাইসের সুইচ বন্ধ করে রাখা সবার আগে দরকার অথচ এই কাজটি বেশিরভাগ মানুষ করেন না।
- মানে ধরুন টিভি দেখার পর টিভির সুইচ টা রিমোট থেকে অফ করলেন কিন্তু প্লাগ পয়েন্ট থেকে অফ করা আর হলো না। মনে রাখতে হবে এই অবস্থা মানে ডিভাইস স্ট্যান্ডবাইতে রাখার কারণে অকারণে বিদ্যুৎ বিল বাড়তে থাকে। তাই সব সময় মনে করি আপনার ইলেকট্রনিক্স অ্যাপলায়েন্স সুইচ থেকে বন্ধ করে রাখুন ।
- তাহলে অবশ্যই আপনি বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে পারবেন।পুরনো ফিলামেন্টের বাল্ব বা সিএফএল আলোতেও বিদ্যুতের খরচ তুলনামূলকভাবে একটু বেশি। তাই এলইডি আলো ব্যবহার করুন। আজকাল এই যে ফাইভ স্টার রেটিং এর কথা বলা হয় এর পেছনে একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ আছে।
- বিদ্যুতচালিত নতুন কোনও যন্ত্র কেনার আগে এই ফাইভ স্টার। আছে কিনা সেটা অবশ্যই দেখে নিন। যদি দেখেন ফাইভ স্টার রেটিং রয়েছে বিশেষ করে ফ্রিজ, এসি এসবের ক্ষেত্রে, তাহলে আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন আপনার বাড়ির বিদ্যুতের খরচ এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যাবে।
- বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে এসির তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রির নিচে রাখবেন না। উইন্ডো এসির পরিবর্তে ইনভার্টার এসি ব্যবহার করলে খরচ অনেকটা কমবে। যদি বরফের প্রয়োজন না হয় তাহলে ফ্রিজের ডিফ্রস্ট বাটন বন্ধ রাখুন। কখনোই গরম গরম খাবার ফ্রিজে ঢোকাবেন না।
- যতক্ষণ পর্যন্ত সেটা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসছে সেটি বাইরে রাখুন তারপর ফ্রিজে রাখবেন।চার্জার থেকে মোবাইল ফোনটি খুলে নেওয়ার পরেও প্লাগের সুইচ বন্ধ করতে হবে মনে করে কারণ ওই সময় বিদ্যুৎ অপচয় হতে থাকে। পাশাপাশি দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও একেবারে এড়িয়ে যাওয়া যায় না।
- আরেকটা প্রযুক্তিগত বিষয় বলে দেওয়া দরকার । আপনি একটি পাওয়ার স্ট্রিপ বা এক্সটেনশন বোর্ড ব্যবহার করতে পারেন যাতে সমস্ত সরঞ্জাম একই সঙ্গে আপনি অ্যাক্সেস করতে পারবেন কারণ বিদ্যুতের বিল কমাতে এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
- বাড়িতে যদি পুরনো দিনের ফ্যান থাকে তাহলে তাতে বিদ্যুৎ বেশি খরচ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এখন অনেক নতুন নতুন পদ্ধতির প্রযুক্তির সিলিং ফ্যান বাজারে এসে গেছে। ভালো করে পড়াশোনা করে নিয়ে সেই ফ্যান আপনি আপনার বাড়িতে ব্যবহার করতে পারেন। বিএলডিসি ফ্যানের কথা এক্ষেত্রে বিশেষভাবে বলা যায়।
সবথেকে বড় কথা হলো আপনি যতটা সম্ভব বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার চেষ্টা করতে পারেন সেটা করাই বাঞ্ছনীয়। কারণ বিদ্যুৎ পরিষেবা যারা দেন তারা ইউনিটের দাম বাড়ালেও আপনার বস এত সহজে আপনার স্যালারি বাড়াবেন না এটা জেনে রাখুন আগে থেকেই। তাই অবশ্যই সজাগ থাকুন আর সতর্কভাবে বিদ্যুতের ব্যবহার করুন।