Breaking Bharat: নীল ছবির তারকাদের জীবনটা কি সত্যিই রঙিন? পর্নস্টারদের জীবন কি ভাবে চলে? তবে সত্যি কথা বলতে কি পর্নস্টারদের জীবন কিন্তু বাকি সেলিব্রেটিদের মত নয়। পর্নস্টারদের জীবনে আছে প্রচুর লড়াই, ঋতুস্রাবের মধ্যেও শুটিং করার মত মারাত্মক যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়েও যেতে হয় তাদের মাঝে মধ্যে। তাহলে নীল ছবির তারকাদের জীবনটা চলে কি ভাবে?
জীবনের অনেকটা অংশজুড়ে যদি লড়াই থাকে তাহলে কিছুটা অংশ জুড়ে বিশ্রাম, বিনোদন এই শব্দগুলো জড়িয়ে থাকে। একটা কথা বলা হয় যে আপনার আনন্দ যেন অন্যের নিরানন্দের কারণ না হয়। আসলে সতর্কতা বোঝাতেই এই বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
তবে সাবধানতা শুধু বোধহয় বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে বা মণ্ডপের ঠাকুর দেখার ক্ষেত্রে অবলম্বন করলেই চলে না সতর্ক থাকতে হয় জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে। একটু এদিক থেকে ওদিক হলে অনেক বড় খেসারত দিতে হয়। ভাবছেন হয়তো এর সঙ্গে নীল ছবি বা পর্নস্টারদের কী সম্পর্ক?
আসলে ক্যামের ার সামনের জীবন আর ক্যামেরার পিছনে জীবন সম্পর্কে তারকারা খুব একটা কিছু প্রকাশ্যে না বললেও অনেকেই হয়তো এই দুই জীবনের তফাৎটা বুঝতে চান না। তাই সবটাই মোহময় স্বপ্নের জগতের মতো মনে হয়। যেটা বাস্তবেএকেবারেই ঠিক নয়।
ঠিক যতোটা রং তারকা যে জীবনে ছড়িয়ে আছে বলে বাইরে থেকে দেখে মনে হয় ততটাই সাদাকালো তাদের ব্যক্তিগত জীবন। আর এতে ব্যাতিক্রমী নন পর্নস্টারেরাও।
পর্নস্টারদের জীবনের লড়াই:
পর্নস্টার মানেই প্রতিদিন এক পুরুষ থেকে অন্য পুরুষ বা এক নারী থেকে অন্য নারীতে দেহ মিলিয়ে বেড়ান এনারা এই জাতীয় একটা বদ্ধমূল ধারণা রয়েছে। সব থেকে বেশি আগ্রহ নারী দেহ নিয়ে কারণ এটা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের একটা ট্যাবু বটে।
তবে সত্যি কথা বলতে কি ‘পর্নস্টারদের জীবন কিন্তু বাকি সেলিব্রেটিদের মত নয়‘। সত্যি কথা বলতে কি অনেকেই পেটের জ্বালা খিদের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে এই প্রফেশনে আসতে চান। প্রত্যেকেই চায় একটা ভালো সুস্থ জীবন পেতে। সেখানে দাঁড়িয়ে সমাজের আঙ্গুল উঠবে এই রকম একটা চরিত্র কেউই হয়ে উঠতে চান না তা পুরুষ হোক বা নারী।
পর্নস্টারদের জীবনে প্রচুর লড়াই আছে, অন্যান্য প্রফেশনের মতো রয়েছে কাজের চাপ তার পাশাপাশি প্রতিযোগিতা। ‘ঋতুস্রাবের মধ্যেও শুটিং’ করার মত মারাত্মক যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়েও যেতে হয় তাদের মাঝে মধ্যে। আর মনের খবর কেই বা রাখে বলুন। প্রত্যেকের একটা ধারনা আছে।
যেহেতু পরম তারকা তাদেরকে বুঝি বেশ্যার মতো ট্রিট করা যায়। আসলে তারা কিন্তু অভিনয়টা করতে এসেছেন, তারা কিন্তু কাজটা করতে এসেছেন, এইটা বোঝার মত মানসিকতা ঠিক কতটা আছে শিক্ষিত বিশ্বে? অনেকেই হয়তো জানেন না যে বিনোদন জগতের অন্যান্য সেকশনের মত নীল ছবির দুনিয়াতেও সহকর্মীদের মধ্যে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যে রেষারেষি, হিংসা সবটাই রয়েছে।
তবে এ ক্ষেত্রে একটা পার্থক্য রয়েছে। তবে এখানে বিষয়টা অনেকটা এরকম যে আপনার অপছন্দের ব্যক্তি যদি আপনার ঊর্ধ্বতন হন তাহলে অনেক প্রশাসনের মতো এক্ষেত্রেও আপনাকে সেই দাম দিতে হবে শরীর ব্যবহার করে। বাংলা ভাষায় যাকে বলে যৌনতায় লিপ্ত হতে হবে আপনাকে।
আরো পড়ুন – দাদা বোনের সম্পর্ক! মেয়েদের জীবনে দাদাদের একটা আলাদা ভূমিকাই থাকে।
পর্ন বিনোদনের জগতের অভিনেতা অভিনেত্রীরা বলেন ‘নীল ছবির শুটিং‘ নিয়ে সাধারণ মানুষ যেমন কল্পনা করেন, বাস্তবে কিন্তু তেমনটা হয় না। রাতের গভীরে মোবাইলে বা কম্পিউটারে বন্ধুদের সঙ্গে বা একা একা যৌনতায় স্নান করার জন্য নীল ছবি দেখতে ভাল, কিন্তু তৈরি করতে ঠিক কথাটা পরিশ্রম আর কষ্ট করতে হয় তার নেপথ্যকাহিনি কোনদিনই প্রকাশ্যে আসে না।
আরো পড়ুন – মহিলাদের অভিযোগ ‘পুরুষেরা অগোছালো এবং অপরিচ্ছন্ন হয়’ ? এটা কি সত্যি?
তবে শুধু মহিলাই নয়, পুরুষের ক্ষেত্রেও এটি খুবই কষ্টকর কাজ বলাইবাহুল্য ৷ ভাবতে পারছেন নার্ভের উপর কতটা প্রভাব পড়ে, মেকআপ নিয়ে রেডি হয়ে হয়েছে শট ওকে না হওয়া পর্যন্ত ঘন্টার পর ঘন্টা একঘর লোকের সামনে নিজের শারীরিক মানসিক সব রকমের এনার্জি ১০০% দিয়ে তবে তৈরি করতে হয় একটি উত্তেজনাপূর্ণ নীল ছবি।
আরো পড়ুন – internet addiction: ইন্টারনেটের নেশা থেকে বাঁচতে এইগুলো মেনে চলুন।
যাতে সেই ছবি দেখার সময় উত্তেজনা বাড়ে দর্শকের মনে। সেক্সুয়াল ট্রান্সমিটেড ডিজ়িজ় স্ট্যাটাস জানাতে হয় পর্নস্টারদের , শুটিং এর আগে। মনে রাখতে হবে এই পেশায় জীবনের ঝুঁকি সবসময় থাকে ৷ যখন তখন সংক্রামিত রোগ ছড়াতে পারে।
আরো পড়ুন – কৃষকরা চাষের জমিতে অন্তর্বাস পুঁতে রাখেন! অন্তর্বাস পুঁতলে নাকি জমির উর্বরতা বাড়ে?
নিজেদের মধ্যে হরমোনের গতি বাড়াতে নানা রকমের ওষুধ খেয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে প্রতি মুহূর্তে। এসবের দাম বোধহয় সত্যি সত্যি দিতে পারেন না দর্শকরা। দিনের পর দিন যৌনতায় লিপ্ত হতে হয়। নিজের পেটের দায় সামলাতে অন্যের মানসিক আর শারীরিক তৃপ্তির জন্য।
ছুটি নেই রোজ পরিশ্রম শুধু শারীরিক নয় মানসিকভাবেও বাড়ে যন্ত্রণা। নীল ছবি দেখার সময় একবারও ভাবেন এই কথাগুলো?
আরো পড়ুন – গ্যাসের সিলিন্ডারের খরচ বাঁচানোর উপায় কি? ‘রান্নার গ্যাসের খরচ’ আর সামলাতে পারছি না!
প্রতিবেদনের শেষে একটাই লাইন লিখতে চাই আমরা। একটু ভাবুন নারী দেহ বা পুরুষ দেহকে পণ্য হিসেবে দেখা বন্ধ করুন আর একটু ভাবা প্র্যাকটিস করুন।