Brother and Sister Relationship: দাদা বোনের সম্পর্ক! বোন যদি কোন সমস্যায় পড়ে সবার আগে ত্রাতা দাদা। ‘মেয়েদের জীবনে দাদাদের একটা আলাদা ভূমিকা থাকে’ । বলতে পারেন বাবার পরেই কড়া নজর করা শাসন দাদার কাছ থেকেই আসে। সম্পর্ক শব্দটা ছোট হলেও গুরুত্বটা অনেক।
একটা ছোট শব্দ কত গভীর প্রভাব ফেলতে পারে জীবনে সেটা বোঝাতে বোধহয় সম্পর্কের থেকে বেশি আর অন্য কিছু উদাহরণ হিসেবে ধরা যায় না। পৃথিবীজুড়ে যাই ঘটুক না কেন মানুষ হোক বা অন্যান্য প্রাণী, সবার একের অন্যের সঙ্গে জুড়ে থাকার জন্য সম্পর্কটা দরকার (importance of brother and sister relationship)।
দাদা বোনের সম্পর্ক:
আজকের আলোচনার বিষয় ‘দাদা বোনের সম্পর্ক‘। পৃথিবীর অন্যতম মিষ্টি আর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সম্পর্ক এতটাই পবিত্র যা ভাষায় বোঝানো মুশকিল।
শুধুই কি ” ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়লো কাঁটা” লাইন দুটোর মানে বোঝানো? না একে অন্যকে বিপদে বাঁচানোর সুখ নয় একে অন্যকে ভালো রাখার দায়িত্ব বুঝে নেওয়াটাও ভাই বোনের সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
পৃথিবীতে পুরুষ এবং নারী একাধিক সম্পর্কে জড়াতে পারে। যার মধ্যে মা বাবা, স্বামী স্ত্রী, ভাই বোন এগুলো অত্যন্ত মিষ্টি পবিত্র দায়িত্বপূর্ণ এবং শ্রদ্ধার সম্পর্ক। আসলে ‘ভাই বোন বা দাদা দিদির সম্পর্কটা‘ কিন্তু বেশ খুনসুটিরও বটে (the importance of brother in sister life)।
বোন কোন সমস্যায় পড়ে সবার আগে ত্রাতা দাদা:
একে অন্যের ক্রাইম ইন পার্টনার বলতে যা বোঝা যায়, এই সম্পর্কটা অনেকটা সেরকম। ছোটবেলা থেকে বাবা-মা কাকে বেশি ভালবাসে এই আলোচনা তর্ক করতে করতে ভাই বোনের বড় হওয়া। কিন্তু বড় হওয়ার পর নিজেদের এই বালখিল্য আচরণগুলোকে মনে করে খুশির স্মৃতি জীবনের খাতায় ভরে তোলা।
বোন যদি কোন সমস্যায় পড়ে সবার আগে ত্রাতা দাদা। ভাইকে যদি কেউ কিছু বলে দিদি আগে ছুটে যায়। মা বাবাকে যে কথা বলেও বলা যায় না ভাই বোন একে অন্যের সঙ্গে অনায়াসে যেন সেই কথা বুঝিয়ে উঠতে পারে। আর প্রেমের ক্ষেত্রে তো এটা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
বোনের বান্ধবী বা দাদার বন্ধুর সঙ্গে প্রেম:
‘বোনের বান্ধবী বা দাদার বন্ধুর সঙ্গে প্রেম‘ করতে গেলে সবার আগে তো ঘরের লোককেই পটাতে হয় তাই না? যদি কাজটা ভালই ভালই মিটে যায় তাহলে তোকে লাফাতে তো কোন কথাই নেই। তবে না হলে কিন্তু আবার এটাই বড় বাধা হতে পারে।
এটা প্রেমিক বা প্রেমিকার কাছে বেশি চ্যালেঞ্জিং। মানে তিনি যাকে ভালোবাসেন তার দাদা বা বোন ঠিক কিভাবে রিয়াক্ট করবেন সেটা একটা গুরুত্বপূর্ণ চিন্তার কারণ হয়ে থাকে। এটা মানতেই হবে যে বোনের কোনও রকম ক্ষতি হোক দাদারা তা কোনও দিনই চাইবেন না।
আরো পড়ুন – মহিলাদের অভিযোগ ‘পুরুষেরা অগোছালো এবং অপরিচ্ছন্ন হয়’ ? এটা কি সত্যি?
তাই প্রেমিকার দাদার কাছে প্রেমিক বাবাজির কোনও কিছু গোপন না করাই শ্রেয়। সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে গেলে একটু সামলে চলুন তা না হলে বিষয়টি বিগড়ে যেতে পারে। প্রেম যদি সত্যি এবং খাঁটি হয় তাহলে বোধহয় বুঝবেন ‘প্রেমিকার দাদা বা প্রেমিকের দিদি‘।
মেয়েদের জীবনে দাদাদের ভূমিকা:
আসলে আপনার জীবনের সঙ্গে যুক্ত হতে চলা বাড়িটির অর্থাৎ শ্বশুরবাড়ি পর্যন্ত কথাটা পৌঁছে দিতে এদের ভূমিকাই সবথেকে বেশি উল্লেখযোগ্য। ‘মেয়েদের জীবনে দাদাদের একটা আলাদা ভূমিকা থাকে‘ । বলতে পারেন বাবার পরেই কড়া নজর করা শাসন দাদার কাছ থেকেই আসে।
আরো পড়ুন – কৃষকরা চাষের জমিতে অন্তর্বাস পুঁতে রাখেন! অন্তর্বাস পুঁতলে নাকি জমির উর্বরতা বাড়ে?
এমন ঘটনা প্রায়ই দেখা যায় যে অনেক সম্পর্কেই বাবা-মায়েরা রাজি হন না। সে ক্ষেত্রে অপশনের কথা ভাবতে হবে আপনাকে। মাথায় রাখবেন সুতরাং দাদারাই কিন্তু আপনার পরিস্থিতি বুঝতে পারবেন। আরে বাবা মাকে রাজি করাতে গেলে দাদা বা দিদিকে বা ধরুন ভাই বা বোনকে রাজি করানো এবং হাতে রাখা কিন্তু ভীষণ প্রয়োজনীয়।
আরো পড়ুন – internet addiction: ইন্টারনেটের নেশা থেকে বাঁচতে এইগুলো মেনে চলুন।
টুকটাক ঘুষ মানে চকলেট থেকে শুরু করে পরীক্ষা নোটস, ইনফরমেশন আদান-প্রদানের জন্য চলতেই পারে কি বলুন! আসলে কি বলুন তো জীবনের সরলতা থাকাটা খুব দরকার। সেটা বজায় রাখুন ভালো থাকবেন আপনি আর আপনার চারপাশের সম্পর্ক গুলো।