Breaking Bharat: গ্যাস বার্নারে পোড়া খাবার কিংবা তেলকালি পরিষ্কার করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন? সহজ উপায় আমরা বলছি! রান্না করা যত মজাদার খাওয়া তার থেকে দ্বিগুণ বেশি আনন্দের। কিন্তু এরপর রান্নাঘর পরিষ্কার করা খুব খারাপ একটা কাজ (methods of cleaning a gas oven)।
কিছুতেই সেটা করতে মন চায় না আর বিশেষ করে যদি দেখা যায় ‘গ্যাস বার্নারে পোড়া খাবার কিংবা ধরুন তেলকালি জমে‘ রয়েছে, তখন তো ভেতর থেকেই কেমন একটা গা ঘিন ঘিন করা মানসিকতার জন্ম হয়। বেশ ,এই যে সমস্যা এর তো একটা সমাধান খুঁজে বের করা দরকার।
গ্যাসের বার্নার পরিষ্কার করার সহজ উপায়!
তাহলে আমরা আপনাকে বলছি কি করে আপনি খুব কম পরিশ্রমে এবং সহজ উপায়ে এই নোংরা পরিষ্কার করতে পারবেন আর মনটা মেজাজটা চনমনে ফুরফুরে থাকবে।
সাধারণত কোন কাজ করার সময় বিশেষ করে রান্নাবান্না বা তেল জলের কাজ করতে গেলে হাতের কাছে একটা শুকনো কাপড় বা ন্যাকড়া রাখা দরকার। যাতে জল বা তেল যাই পড়ুক না কেন চট করে সেটা মুছে নেওয়া যায়।
অপরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে সেখান থেকে ব্যাকটেরিয়া ভাইরাসের জন্ম হওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে। আর তাছাড়া গ্যাসের ওভেন পরিষ্কার করা কিন্তু খুব একটা ঝক্কির কাজ নয়। একটু বুদ্ধি করে রান্নার ফাঁকে ফাঁকে হাত চালালেই কাজটা সহজে মিটে যায়। আমরা এই প্রতিবেদনে বেশ সহজ উপায়ে আপনাকে বার্নার পরিষ্কার করার কিছু পদ্ধতির আইডিয়া দিচ্ছি।
আরো পড়ুন – Sunglasses: রোদ চশমা সানগ্লাস ব্যবহার করেন? কিন্তু সানগ্লাসের সঙ্গে বিচার ব্যবস্থার কি সম্পর্ক?
আরো পড়ুন – পারফেক্ট ব্রেস্ট সাইজ! স্তনের আকার বড় করবেন কি করে? রইলো বক্ষ সৌন্দর্য করার উপায়
আরো পড়ুন – Fish in aquarium: অ্যাকোয়ারিয়ামে মাছ রাখেন! বাড়িতে রঙিন মাছ চাষ পদ্ধতি জানেন তো?
গ্যাসের ওভেন পরিষ্কার করার কিছু পদ্ধতি:
- প্রতিদিনের রান্নাবান্না করার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করতে হয়। এরপর কিছুটা সময় দিতে হয় যখন গ্যাস ওভেন বা বার্নার ঠান্ডা হবে। যদি দেখেন সেটি ঠান্ডা হয়ে গেছে তাহলে প্রথমেই আপনার কাজ হবে প্খুব সাবধানে গ্যাস বার্নারটি ওভেন থেকে বের করে নেওয়া।
- রান্না করতে করতে এটি অত্যন্ত টাইট হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে প্যাঁচ খোলার সময় যাতে হাতে না লেগে যায় সেই দিকটা নজর রাখা দরকার। এর জন্য শুকনো কাপড় ব্যবহার করতে পারেন। এবার বার্নার ছাড়াও গ্যাস থেকে বার্নার গ্রেটস, রিং, ক্যাপ একই পদ্ধতিতে খুলে নিন।
- এবার একটা বালতিতে গরম জল অর্ধেক পূর্ণ করে রাখুন। তার মধ্যে লিকুইড সাবান মানে যেগুলো ইদানিং কালি বাসন মাজার কাজে ব্যবহার করা হয় , সেটা আপনি দু চামচ মতো ওই গরম জলে মিশিয়ে নিন। এবার ওভেন থেকে যে অংশগুলো খুলে রেখেছেন সেগুলোকে জলের মধ্যে ডুবিয়ে রাখুন বেশ কিছুক্ষনের জন্য।
- এটা আপনার কাজের একটা অংশ যাতে চিটচিটে ভাবটা যেটা অনেকদিন ধরে হয়ে রয়েছে সেটা অনেক তাড়াতাড়ি কেটে যাবে। এইবার শুরু দ্বিতীয় কাজ অর্থাৎ ঘষে ঘষে বার্নার পরিষ্কার করা। এর জন্য স্পঞ্জ এর ছোবড়া ব্যবহার করতে পারেন বা দাঁত মাজার ব্রাশও কার্যকরী।
- মানে গরম জলে যে অংশ পরিস্কার হয়নি নিজে হাত লাগিয়ে সেগুলো পরিষ্কার করতে হবে আপনাকে। নিজের চোখেই বুঝতে পারবেন কতটা পরিষ্কার হয়েছে। এরপর জল দিয়ে ধুয়ে নিয়ে একটু রোদে বা হাওয়ায় ফেলে শুকিয়ে নিন।
- এবার পরিষ্কার শুকনো কাপড় দিয়ে ভালো করে মুছে একটা পরিচ্ছন্ন জায়গায় এগুলোকে আলাদা আলাদা করে রাখুন । আবারো হাওয়াতে কিছুটা সময় শুকোতে দিন যাতে ভেতরে কোথাও কোনো জল বা তেলের ছিটে ফোঁটাও না থেকে থাকে।
- যদি দেখেন একদম আগের মত হয়ে গেছেন অর্থাৎ পুরোপুরি শুকিয়ে গেছে সেটা আবার ঠিকমত বার্নারে ফিট করে নিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেখে নিন পুরো ব্যাপারটা ঠিক আছে কিনা।
মনে রাখবেন যদি বার্নারে কোনও কিছু লাগাবার সময় সমস্যা মনে হয় তাহলে নিজে কেরামতি না করতে গিয়ে যিনি এই বিষয়ের বিশেষজ্ঞ অবিলম্বে তার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কোনও ঝুঁকি নিয়ে দুর্ঘটনার হাতছানি কে আস্কারা দেবেন না।