Breaking Bharat: জিন্সের কালার ফ্যাকাসে! মানে জলে কয়েকবার ধুলেই জিন্সের কালার শেষ? তাহলে? জিন্স টপ পছন্দের ড্রেস বুঝি? কী মুশকিল বলুন দেখি! জিন্স কয়েকবার জলে ধুলেই যদি ফ্যাকাসে হয়ে যায়, তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় কি? (The color of the jeans is damaged)
পছন্দের ড্রেস পরতে সকলেই চাই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে পছন্দের জামা কাপড় মেইনটেইন করা সহজ নয়। তখন আখেরে লোকসান হয় বেশি। আসলে মনটা যে বড্ড খারাপ হয় যদি প্রিয় ড্রেসের রংটাই গায়েব হয়ে যায়। এটা খুব বেশি করে হয় জিন্সের ক্ষেত্রে (jeans lose color)।
আজকালকার দিনে মেয়ে হোক বা ছেলে, জিন্স পরার একটা প্রবণতা বেড়েছে। কমফোর্টেবল, তাড়াতাড়ি পরা হয়েও যায় আর মেইনটেইন করার খুব একটা ঝক্কি নেই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই জিন্স কয়েকবার জলে ধুলেই যদি ফ্যাকাসে হয়ে যায় তাহলে সেটা আর লোক সমাজে পরা যায় না। এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় জানা আছে কি? তাহলে এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন (protect jeans color)।
জিন্সের কালার নষ্ট থেকে মুক্তির উপায়:
সুস্থ সমাজে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ভীষণ রকম দরকার। সেটা না হলে শুধু যে চারপাশের লোক কথা বলবে বা আঙুল তুলবে তাই নয় স্বাস্থ্যজনিত সমস্যাও হতে পারে। এক জামাকাপড় যদি বারবার পড়া হয় না ধুয়ে বা না কেচে তাহলে শরীরে ব্যাকটেরিয়াজনিত ইনফেকশন তৈরি হয়।
সেক্ষেত্রে হাইজিন বিষয়টাকে মাথায় রেখে আপনাকে জামা কাপড় পরিষ্কার ভাবে ডিটারজেন্ট বা সাবান দিয়েই কাচতে হবে। শুধুমাত্র জল দিয়ে ধুয়ে রেখে দিলে ময়লা বা জীবাণু যায় না। আর এখানেই তো মূল সমস্যা, কয়েক বার ধুলেই নতুন জিন্স ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে – এমনটাই বলছে এই প্রজন্ম।
আরো পড়ুন – Aiburobhat: সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘আইবুড়ো ভাতের’ স্ট্যাটাস! কেন আইবুড়ো ভাত খাওয়ানো হয়?
আসলে জিন্সের বৈশিষ্ট্যই তো হলো সাধের ডেনিম রং। যদি সেটাই না থাকে তাহলে মনটা খারাপ হয়ে যায় বৈকি। আজকে প্রজন্মের কাছে শার্ট হোক কিংবা কুর্তি, জিন্সের সঙ্গে শখটা ম্যাচিং করে নেবার একটা প্রবণতা অনেক বেশি করে দেখা যায়।
অনেকে তো আবার জিন্স একই রেখে নানা ধরনের টপ বা শার্ট বদল করেন তাতেই ট্রেন্ডিং লাগে। এত কিছু করেও সেই জিন্স কে রক্ষা করা যাচ্ছে না। আমরা বলি কি জিন্স কাচার পদ্ধতিতে একটু পরিবর্তন আনুন হয়তো আপনি সুফল পেতেও পারেন।
আরো পড়ুন – Fish in aquarium: অ্যাকোয়ারিয়ামে মাছ রাখেন! বাড়িতে রঙিন মাছ চাষ পদ্ধতি জানেন তো?
সাধারণ মানুষের একটা প্রবণতা আছে গরম জলে কাচা কুচি করার। আপাতত বিষয়টি জিন্সের জন্য একটু আলাদা করতে হবে। মানে গরম নয় এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে ঠান্ডা জল। আর হ্যাঁ বেশি ঘনঘন কাচতে যাবেন না।
আপনি যদি ডেনিমের রং ধরে রাখতে চান তাহলে কাচার সময়ে বালতির জলে কয়েক ফোঁটা ভিনিগার মিশিয়ে নিতে পারেন। ওয়াশিং মেশিনে নয় হাতে জিন্স কাচুন। বেশি ঘষাঘষি করার দরকার নেই। উল্টো দিক করে জিন্স কাচা দরকার। আর খুব বেশি করে নিংড়ানোর প্রয়োজন নেই।
আরো পড়ুন – Katrina Kaif: ক্যাটরিনা কাইফের জীবনের নানাদিক! ক্যাটরিনার লাইফ স্ট্রাগলের কথা জানেন?
কাচার পর জল ঝরানোর জন্য টান টান করে রোদে ফেলে রেখে দিন। মাথায় রাখুন যদি রং পাকা করে রাখতে হয় তাহলে আপনার সাধের জিন্সকে উল্টো করে রোদে শুকাতে দিন। যখন ইস্ত্রি করবেন ভাবছেন তখনও গরম ভাব খুব বেশি দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
রোদে জল ঝরে গিয়ে খানিকটা শুকনো শুকনো হলে জিন্স তুলে নিয়ে ঘরে, ফ্যানের হাওয়ায় বা ছায়া আছে এমন কোনও জায়গায় প্রকৃতির হাওয়ায় তা শুকোতে দিতে পারেন। সোজাসুজি সূর্যের আলো কাচা জিন্সের উপর যতটা কম লাগবে ততটাই আপনার জিন্স ভালো থাকবে।
আরো পড়ুন – বলিউড অভিনেতারা সিনেমা করার জন্য কত টাকা পান? এক নম্বর পারিশ্রমিক অভিনেতা কে?
বাজার যত প্যাকেজিং এর উপর খুব বেশি ঝোঁক না দিয়ে, রং টাকা রাখার জন্য যদি ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করতে পারেন তাহলে সেটাও কার্যকরী হবে। মনে রাখবেন বাইরের ডিটারজেন্ট পাউডারে অবশ্যই কেমিক্যালের মাত্রা অনেক বেশি পরিমাণে থাকবে যা হয়তো আপনার জিন্সের রঙের জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে।
আরো পড়ুন – টাইলস ছাড়া রান্নাঘর? তেল চিটচিটে রান্নাঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন?
যে জিন্স পড়তে ভালোবাসেন তার এমনিতেই এক বা একাধিক রঙের জিন্স কিনলেও ডেনিম তাদের পছন্দের রং। বলতে পারেন জিন্সের পরিচয় যেন বহন করে এই রং। একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে জিন্স পরিবর্তন করে পরলে অনেক বেশি দিন পর্যন্ত এক রঙের জিন্স নানাভাবে পরা যায়। ট্রাই করে আমাদের জানাতে ভুলবেন না যেন।