earthworm repellent: মাটিতে কেঁচো, কেন্নো বা চ্যালার দাপাদাপি বাড়ছে? চিন্তা নেই, হাতের কাছেই সমাধান! বর্ষাকাল মানেই নানা ধরনের পোকামাকড় আর সরীসৃপের বারবার অন্ত। তবে শুধুমাত্র বর্ষা বললে একটু ভুল বলা হবে।
আজকাল তো সারা বছরই প্রায় গরম থাকে আর সেই সময়টাতেও একই ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় গৃহস্থ বাড়ির ব্যক্তিদের। ভাবুন তো মাটিতে বসে কিছু করবেন তা না, চারপাশে কেন্নো ঘুরছে । বাথরুমে যাবেন সেখানেও ‘কেঁচো’ দেখতে পেলেন, এভাবে কি আর হয়? দিনের পর দিন তো আর চলতে পারে না তাই সুরাহা আপনাকে খুঁজে বের করতেই হবে (how to get rid of earthworms naturally)।
কেন্নো তাড়ানোর উপায়:
প্রথমেই বলি ভিজে বা স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে কিন্তু এই ধরনের পোকামাকড়ের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। সেক্ষেত্রে যতটা সম্ভব পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা দরকার ঘরের মেঝে এবং চারপাশ আর সেটা শুকনো থাকা দরকার। যদি সম্ভব হয় তাহলে দিনের বেলায় ঘরে ভাল করে রোদ আসতে দিন।
আসলে আজকালকার দিনে ফ্ল্যাট কালচারে বিশ্বাসী মানুষ খুব একটা জানলা দরজা খোলা রাখার সুযোগ বা অবকাশ কোনটাই পান না। ঘরে ঠিক মতো বাতাস চলাচল করছে কিনা সেদিকে নজর রাখুন কারণ মনে রাখবেন যদি আর্দ্রতা কমে সেক্ষেত্রে ‘কমবে কীট পতঙ্গ বা পোকামাকড়ের উপদ্রবও‘ (how to stop earthworms in the house)।
কীট-পতঙ্গ মারার জন্যই ‘বোরিক অ্যাসিড’ ব্যবহার:
অনেকেই হয়তো জানেন যে ‘কীট-পতঙ্গ’ মারার জন্যই ‘বোরিক অ্যাসিড’ ব্যবহার করা হয়। আগেকার দিনের মানুষেরা এই পদ্ধতি অবলম্বন করতেন। তাই আপনিও ভেজা জায়গায়, ঘরের অন্ধকার কোণে, বাগানে বোরিক অ্যাসিড ছড়িয়ে রাখতে পারেন।
তবে মাথায় রাখতে হবে কীটনাশক ছড়িয়ে রাখছেন যেখানে তার আশেপাশে যেন শিশু বা বয়স্ক মানুষ না থাকে। আসলে অসাবধানতাবশত কোন ইনফেকশন হয়ে গেলে বড় বিপদ হতে পারে। ডায়াটোমেসিয়াস আর্থ পাউডারের নাম হয়তো অনেকেই শুনেছেন।
কেঁচো, কেন্নো ধরার ফাঁদও ব্যবহার:
‘কেঁচো, কেন্নো জাতীয় প্রাণীর‘ উপর এই পাউডার ছড়িয়ে দিলে বা স্প্রে করলে ওই প্রাণীরা তৎক্ষণাৎ গুটিয়ে যায় । এরপর এদের দেহ থেকে জল বেরিয়ে যায় এবং জলের অভাব বোধ করায় সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয়। অনেকটা জোঁকের গায়ে নুন ছড়িয়ে দেওয়ার মতোই পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়।
আরো পড়ুন – tea leaves: চা খাওয়ার পরে ‘চা পাতার’ কি হয়? ‘চায়ের পাতার ব্যবহার’ জানলে আপনি অবাক হবেন!
সবার আগে ঘরের দেওয়াল বা মেঝেতে কোনও ফাঁক থাকলে ভরাট করুন। এগুলো অনেক বেশি করে আকর্ষণ করে পোকামাকড় এবং কীটপতঙ্গকে। যদি চান কেঁচো, কেন্নো ধরার ফাঁদও ব্যবহার করতে পারেন। এটা খুব সহজেই অল্প সময়ের মধ্যে বাড়িতেই বানিয়ে নেওয়া যায়।
আরো পড়ুন – কারো ঠিকমত খাবার জুটছে না, আবার কেউ দিনের পর দিন ‘খাবার অপচয়’ করছে! এটাই কি বাস্তব?
হাতের কাছে থাকা উপাদান ব্যবহার করুন, যেমন ধরুন একটি প্লাস্টিকের জলের বোতল ও একটি ইঞ্চি ছয়েকের সরু পাইপ আর কয়েক টুকরো ফল নিয়ে নিন। এ বার বোতলে ফলের টুকরো ভরে বোতলের মুখে পাইপটি দু’ ইঞ্চি মত ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়ে টেপ ব্যবহার করে মুখ আটকে দিন।
আরো পড়ুন – Potatoes: আলু ধোয়া জল! জামা কাপড়ের দাগ তুলতে ‘আলু ব্যবহার’ করুন।কিভাবে জানেন?
বোতলটি মাটিতে শুইয়ে রাখুন আর দেখতে থাকুন এই ধরনের ফাঁদে কত সহজেই ধরা পড়ে কেন্নো । ইচ্ছে থাকলে উপায় হয় এটা যেমন সত্যি কথা ঠিক তেমনই প্রয়োজনীয় হলো সঠিক পদ্ধতি মেনে, বিজ্ঞান মেনে, যুক্তি মেনে কাজ করা। আর বাড়ি ঘর পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
শুধু পোকামাকড়দের জন্যই নয় আপনার এবং বাড়ির সদস্যদের শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য এটা দরকার।