viral conjunctivitis treatment: বাচ্চাদের চোখে ইনফেকশন হচ্ছে? কনজাংটিভাইটিস নিয়ে সতর্ক থাকুন! যতদিন যাচ্ছে ছোটদের মধ্যে কিন্তু এর কুপ্রভাব ছড়িয়ে পড়ছে বেশি। চিকিৎসকেরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন তারা বলছেন, স্কুলে ছড়াচ্ছে কনজাংটিভাইটিসের সমস্যা। সাধারণ মানুষের কাছে এই রোগ ‘জয় বাংলা‘ নামেই পরিচিত। আজকে এই নিয়ে কিছু কথা।
চোখে চোখে মানুষ কথা বলতে পারে, চোখ দিয়ে পৃথিবীকে চেনা যায়। একটা দৃষ্টি বদলে দিতে পারে হাজারো দৃষ্টিভঙ্গিকে। তাই চোখের যত্ন নেওয়া সবার আগে দরকার। ছোট থেকেই এই বিষয়ে সচেতন থাকলে শিশুদের বড় হয়ে চোখ নিয়ে সমস্যা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়।
চোখ ওঠার লক্ষণ ও প্রতিকার:
এখনকার দিনে যখন তখন আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়। কখনো ঠান্ডা কখনো গরম, প্রচন্ড রোদ ঘাম, চারিদিকে ধুলোবালি – সবকিছুই চোখের ভেতর প্রবেশ করে। আর এর থেকেই ‘চোখে নানা ইনফেকশন’ তৈরি হয়।
সমস্যা থাকলে সমাধান হবেই। এই বিশ্বাস মনে রাখতে হবে এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ‘জয় বাংলা‘ আজকের নয় অনেক পুরনো দিনের রোগ। আগেকার দিনের মানুষ প্রাথমিকভাবে জয় বাংলা হলে চোখে জলে ঝাপটা দিতে বলতেন । তবে এখন স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়ে গেছে।
শিশুদের ‘কনজাংটিভাইটিস’ রোগের সমস্যা বাড়ছে:
তাই এখন মানুষ কনজাংটিভাইটিস সম্পর্কে মানুষ অনেক বেশি করে জানে। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে একটু বেশি সচেতনতা অবলম্বন করা দরকার। আর প্রাথমিকভাবে রোগ নির্ণয় করা প্রয়োজনীয়। ডাক্তাররা বলছেন নতুন করে ‘কনজাংটিভাইটিস রোগের সমস্যা‘ বাড়ছে।
এটি মূলত ভাইরাস জনিত রোগ। অনেক ক্ষেত্রে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা যাদের বেশি থাকে তাদের মাঝেমধ্যেই চোখ লাল হয়ে যাওয়ার সমস্যা হয় আর শিশুদের ক্ষেত্রে এটা বেশি দেখা যায়। ‘এডিনো ভাইরাস‘ মূলত এই রোগের জন্য দায়ী।
সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে এক শিশু থেকে অন্য শিশুর মধ্যে:
কিন্তু ভাইরাসের পাশাপাশি অনেক ক্ষেত্রে আবার দেখা গেছে ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণেও এই রোগ বা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে এক শিশু থেকে অন্য শিশুর মধ্যে। এই রোগের বিশেষ কিছু লক্ষণ আছে যেমন ধরুন ‘চোখ লাল হয়ে যাওয়া‘ বা ‘চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়া‘।
আরো পড়ুন – Amitabh Bachchan: বলিউড শাহেনশা ‘অমিতাভ বচ্চনের মোট সম্পত্তির পরিমাণ’ কত জানেন?
এর পাশাপাশি অবশ্য মনে রাখতে হবে, সংক্রমণ থেকে কানের দুপাশের লিম্ফ ফুলে যেতে পারে। অবিরাম চোখের ভেতর কড়কড় করতে থাকে যার কারণে চোখ চুলকাতে বা জ্বালা জ্বালা ভাবকে সরাতে ইচ্ছে হয়। চিকিৎসা করে বলছেন যখন তখন নোংরা হাত চোখে দেওয়া উচিত নয় এটা ভীষণ রকম ক্ষতিকর।
কনজাংটিভাইটিস এর চিকিৎসা:
যদি দেখেন প্রাথমিকভাবে আপনার শিশুর এই ধরনের সমস্যা হচ্ছে সবার আগে তার অন্য ৪-৫ জনের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করুন। তা না হলে এই সংক্রমণ আরো বেশি করে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়বে। শিশুর হাত সাবান দিয়ে বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নেওয়ার একটা ব্যবস্থা করতে হবে (viral conjunctivitis symptoms)।
আরো পড়ুন – আমার স্ত্রী প্রচন্ড রাগী! অকারনে ‘স্ত্রী নিজের স্বামীকে অপমান করেন’ বা রেগে যান? এটা কি ঠিক?
এটা শুধুমাত্র কোন রোগ হলে নয় তার স্বভাবের মধ্যেই তৈরি করে দিতে হবে , যাতে কিছুক্ষণ অন্তর হাত ধোয়াটা তার অভ্যাসে পরিণত হয়। অনেক ক্ষেত্রে ডাক্তাররা বিভিন্ন রকমের ‘আই ড্রপ‘ দিয়ে থাকেন। তবে সেটা ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা উচিত।
চোখের কোন সমস্যার ক্ষেত্রেই মেডিসিন দোকানে বোলে বা কারোর কথা মত ওষুধের নাম জেনে সেই ওষুধ নিজের শিশুর ওপর প্রয়োগ করবেন না। মনে রাখবেন চোখ অত্যন্ত সেনসিটিভ। তাই ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে নিজে থেকে ডাক্তারি করার মত মারাত্মক ভুল কাজ ভুলেও করবেন না।
আরো পড়ুন – Holding the toilet: আপনার কি ‘পটি চেপে রাখার অভ্যাস’ আছে? ‘পায়খানা চেপে রাখলে’ কি হতে পারে জানেন?
শঙ্খমণ যতক্ষণ আছে ততক্ষণ সে খেয়ে যাতে সোজাসুজি কোন আলো না পড়ে বা ধুলোবালি না লাগে সেদিকে নজর দিন। এই সময়ে রাতে শিশুকে কোনভাবেই মোবাইল বা টেলিভিশন দেখতে দেবেন না। এই ধরনের আলো তার চোখের জন্য ক্ষতিকর।
- কনজাংটিভাইটিস প্রতিরোধ
- কনজাংটিভাইটিস এর ড্রপ
- কনজাংটিভাইটিস এর চিকিৎসা
- কনজাংটিভাইটিস এর ওষুধ
- কনজাংটিভাইটিস কত প্রকার
- কনজাংটিভাইটিস ভাইরাস
- কনজাংটিভাইটিস লক্ষন
- চোখ ওঠার লক্ষণ ও প্রতিকার
প্রতিবেদনে যে বিষয়গুলি বলা হলো সেগুলি মাথায় রাখুন আর অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব সংক্রমণের আভাস পাওয়া মাত্রই, আপনার সন্তানকে, শিশুকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।