Holding the toilet: আপনার কি ‘পটি চেপে রাখার অভ্যাস’ আছে? জানেন ‘প্রকৃতির ডাক অমান্য’ করলে ভয়ঙ্কর সমস্যা পড়তে হতে পারে আপনাকে? আপনি কি জানেন যদি ‘পেট পরিষ্কার না হয়’ তাহলে কত রকমের সমস্যা হতে পারে (The habit of holding the toilet)?
কথায় বলে, শরীরের নাম মহাশয় যা সওয়াবে তাই সয়। কিন্তু কিছু জিনিস সত্যিই চেষ্টা করলেই সহ্য করা যায় না। আপনি হয়তো ভাববেন টাকা-পয়সার অভাবের কথা বলছি, আমরা বলছি পটির কথা।
পায়খানা চেপে রাখার বদভ্যাস:
সব থেকে বড় কথা জীবনের অবসাদ নেমে আসে, যদি সকালবেলা আসল কাজটি না হয়। সারাদিন ধরে চিন্তা ভাবনা এই যদি রাস্তায় বেরোলে বেগ আসে, না ঘুরে শান্তি না খেয়ে শান্তি । সবসময়ই একটা টেনশন যে সকালে বাথরুমের কাজটা ঠিকমতো হয়নি।
আবার এমার্জেন্সি পরিস্থিতি তৈরি হলে, হয় কাজের তাড়া, তা নাহলে রাস্তাঘাটে থাকা, কিংবা বাথরুম বন্ধ – ব্যাস চেপে চেপে জীবন শেষ। কিন্তু ‘পটি চেপে রাখলে’ আপনার জীবনে পাঁচটি গুরুতর সমস্যা হতে পারে যা শারীরিকভাবে আপনাকে অচিরেই কাহিল করে দেবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে:
ছোটবেলা থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটা ছোট্ট নাটকের একটা লাইন মানুষের মনে গেঁথে গেছে। আর সেটা হলো পেটে খেলে পিঠে সয়। অর্থাৎ ‘পেটে খাওয়াটা দরকার’ আর সেই খাবার হজম হওয়ার পর বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়াটা আরো বেশি করে দরকার।
সেটা যদি না হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার পাচন চক্রে কোন একটা গন্ডগোল আছে। আর সেখান থেকেই বড়সড়ো রোগের সূত্রপাত। প্রাথমিকভাবে গ্যাস, অম্বল বা অ্যাসিডিটি সেখান থেকে মারাত্মক আকার ধারণ করে এই সমস্যা। প্রাথমিকভাবে ‘কোষ্ঠকাঠিন্য জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে’।
পায়খানা কষে যাবার প্রবণতা:
দীর্ঘদিন ধরে ‘পটি চেপে রাখার অভ্যাস‘ যাদের, তাদের এই সমস্যা গুরুতর। ডাইভার্টিকুলইটিস রোগের নাম যদি না শুনে থাকেন তাহলে ভালো করে জেনে নিন যে দীর্ঘদিন ধরে ‘পায়খানা আটকে রাখলে’ এই রোগে প্রচন্ড ব্যথা যন্ত্রণা শুরু হয়। পেট থেকে মলদ্বার পর্যন্ত চরম ব্যথা হতে পারে।
আরো পড়ুন – Amitabh Bachchan: বলিউড শাহেনশা ‘অমিতাভ বচ্চনের মোট সম্পত্তির পরিমাণ’ কত জানেন?
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে একটা সম্ভাবনা থেকেই যায় যে আপনার ‘পাইলস’ হতে পারে। যদি পটি চেপে রাখেন তাহলে ‘কোষ্ঠকাঠিন্য‘ অর্থাৎ ‘পায়খানা কষে যাবার প্রবণতা থাকবে‘ । এরপর সেটি মলদ্বার দিয়ে যখন বেরোবে স্বভাবতই অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগে মলদ্বার থেকে রক্তপাত হবে।
তারপর সেখান থেকে ঘা বাড়তে বাড়তে ‘ফিশ্চুলা বা ফিশার’ হতে পারে। সেক্ষেত্রে অপারেশন করা ছাড়া আপনার হাতে কোন অপশন থাকবে না। তবে অপারেশন করলেই যে সমস্যা চিরতরে মিটে যাবে গ্যারান্টি দিয়ে কেউ বলতে পারেনা।
আরো পড়ুন – Skin is wrinkled: ‘জলে চামড়া কুঁচকে যাওয়া’র সাথে পূর্বপুরুষের সম্পর্ক আছে জানেন?
কোনোভাবেই মল চেপে রাখবেন না:
একটা ঘা যখন দীর্ঘদিন ধরে শরীরের মধ্যে থাকে তখন সম্ভবতই ক্যান্সার হয়ে ওঠার প্রবণতা বাড়ে। এছাড়া ডায়রিয়া তো আছেই।
আরো পড়ুন – Antibiotics: ‘অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের বিক্রি’ এবং ব্যবহার, এতে আপনার ক্ষতি হচ্ছে না তো?
তাই মাথায় রাখুন কোনোভাবেই ‘মল চেপে রাখবেন না’। একটা সুন্দর অভ্যাস গড়ে তুলুন সকালবেলা প্রাতকৃত্য সেরে তারপর বাইরে বেরোন। আর অবশ্যই বাইরে থেকে অর্থাৎ দোকান থেকে বলে ওষুধ খেয়ে রোগ সারাবার চেষ্টা করবেন না। যদি কোন সমস্যা হয় ডাক্তারের পরামর্শ নিন। প্রচুর পরিমাণে জল খান, আর ডায়েট রাখুন সুষম আহার।