Breaking Bharat: কাজের জায়গায় যদি ‘নারীকে সফল’ হতে হয়, তাহলে কয়েকটা বেদ মন্ত্র মেনে চলতেই হবে। আপনি কি মহিলা? নিজের প্রফেশনাল লাইফে সাফল্য পেতে চান? চোখ রাখুন এই প্রতিবেদনে (women successful in the workplace)।
আজকের যুগে ছেলে ও মেয়ের মধ্যে খুব একটা তফাৎ নেই। যেটা একজন পারে সেটা অপরজনের পক্ষেও করা সম্ভব। আজকের যুগে মেয়েরা ছেলেদেরকে পিছিয়ে দিয়েছি অনেকটাই। হাজার সমস্যা পেরিয়ে এগিয়ে গেছে মেয়েরা পিছন থেকে দাঁড়িয়ে তাকিয়ে দেখেছে পুরুষ ।
এরকম কোন জায়গা নেই যেখানে মেয়েরা প্রবেশ করেনি বা সেখানে গিয়ে বাজিমাত করেনি। স্বভাবতই চিরকালি নারীকে দমিয়ে রাখতে চেয়েছে পুরুষ। আমরা এই প্রতিবেদনে যে বক্তব্য তুলে ধরছি তার সার্বিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে এর সঙ্গে কারোর ভাবনার মিল পাওয়া গেলে আমরা তার জন্য দায়ী থাকবো না। সেটা নিতান্তই কাকতালীয় (How important are women in the workforce?) ।
নিজের ক্যারিয়ার বা ‘কাজের জায়গায় নারীর সাফল্য’:
নিজের ক্যারিয়ার হোক বা কাজের জায়গা নারীকে যদি সফল হতে হয় তাহলে কয়েকটা বেদ মন্ত্র মেনে চলতে হবে। নিয়মানুবর্তিতা সব সময় মানুষকে মহৎ করে। তাই কিছু নিয়ম মেনে চলা বাঞ্ছনীয় ( is the key to success for women)।
আরো পড়ুন – মহিলা হয়েও গোঁফ আছে ? যদি ‘মেয়েদের গোঁফ’ থাকে তাহলেই প্রেস্টিজ পাংচার!
আরো পড়ুন – cold drinks : প্রচুর পরিমাণ ‘কোল্ড ড্রিঙ্কস’ পান করছেন কি? কোকাকোলা খেলে কী কী ক্ষতি হতে পারে?
যার মধ্যে সবার আগে দরকার নিজের শরীরের জন্য একটা রুটিন। ভোরবেলা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠুন।
নির্দিষ্ট সময় ধরে যোগ ব্যায়াম করুন। পারলে সকালের দিকে একটু হাটতেও যেতে পারেন। শরীর সুস্থ থাকবে মেজাজ ফুরফুরে থাকবে কাজে মন দিতে পারবেন।
একটা সফল ক্যারিয়ার তৈরি করতে গেলে নিজের মধ্যে জানার আগ্রহকে বাড়ানো দরকার। জিজ্ঞাসু মন নিয়ে এগিয়ে যেতে হয়।
নিজের ‘ক্যারিয়ারের মহিলাদের লক্ষ্য ‘স্থির রাখতে হবে:
জীবনে প্রতিনিধিত্ব করার দরকার রয়েছে বটে কিন্তু নিজের ব্যক্তিত্বকে সপ্রতিভ করে তুলতে আপনাকে নিজেকে চেষ্টা করতে হবে। যাতে সকলের মাঝে থাকলেও আপনি অচিরেই অন্যের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন। শুনতে হবে সবার কথা তারপর সেখান থেকে নিজের প্রয়োজনীয় কথাটা বাছাই করে নিতে হবে আপনাকে।
নিজের ক্যারিয়ারের জন্য একটা গোল বা লক্ষ্য স্থির করে রাখা দরকার। মাথায় রাখুন জীবনে না শুনতে এবং না বলতে জানতে হবে।
সফল ক্যারিয়ার গড়তে গেলে পড়াশোনা দরকার। মাথায় রাখবেন পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই। আর চেষ্টা করতে হবে হার মানলে চলবে না।
চেষ্টা করুন যে কাজটা আপনি করছেন তার সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য জানতে। সে বিষয় সম্পর্কে অবগত না হলে আপনার নিজের মধ্যে কনফিডেন্স বা আত্মবিশ্বাস আসবেনা। আপনি কোন প্রেসেন্টেশন দিতে গেলে সবার আগে এটা বুঝতে হবে যে উপস্থাপনার বিষয়টি সম্পর্কে আপনি কতটা জানেন।
আত্মবিশ্বাস বাড়ানো খুব দরকার। প্রতিযোগিতাকে ভয় পাবেন না কিন্তু সব সময় প্রথম না হতে পারা মানেই সব শেষ হয়ে গেল এমন ভাবাটা ভুল।
সবশেষে বলি, কয়েকটা মন্ত্র জীবনে মেনে চলতে হবে না হলে কিন্তু সমস্যা বাড়বে। ঠিক করে নিন কোন পথে কিভাবে চলবেন। লক্ষ্য স্থির থাকে মানুষ পথ হারায় না।