Breaking Bharat: জন্ম দাগ নিয়ে চিন্তায় আছেন? শরীরে অযাচিত জায়গায় তিল আছে বুঝি? চিন্তা করবেন না এই সমস্যার সমাধানও হাতের কাছে। জন্মদাগ ও তিল কি জটিল কোনো বিষয়? শুরুতেই জন্ম দাগ, তিল নিয়ে আমরা কথা বলব (Moles in unwanted places on the body?)। এটি আসলে কী? কী করেই বা সৃষ্টি হয়? এর মানে কী?
যখন মানুষ পৃথিবীর আলো দেখে তখন সে ঠিক পৃথিবীর সম্পর্কে অবগত থাকে না। খুব স্বাভাবিকভাবেই নিজের সম্পর্কে সে কিছুই জানে না। এরপর ধীরে ধীরে দিন যায় সময় যায়, আস্তে আস্তে সে বেড়ে ওঠে আর বড় হয়। এবার একটু একটু করে নিজেকে চিনতে শুরু করে।
জন্ম দাগ নিয়ে চিন্তায় আছেন?
যেহেতু সে জন্মেছে তাই একটা বিশেষ চিন্হ সে বহন করে। সাধারণ মানুষের কাছে সেটাই জন্ম দাগ। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এর নাম মেলানোসাইটিক নেভাস । ছোটবেলায় অত কেউ পাত্তা না দিলেও বয়স বাড়লে এই দাগ কিন্তু অনেকের কাছেই একটু অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে।
এমন কোন জায়গায় সেই দাগ রয়েছে যা লুকোবার উপায় নেই বা পোশাক দিয়ে ঢাকা যাবে না। স্বভাবতই অনেকের একাধিক প্রশ্ন ওঠে, সেই দাগ ঘিরে। তখন সিচুয়েশনটা হালকাভাবে অস্বস্তিকর হয়ে যায়। অনেকের ক্ষেত্রে তিল নিয়েও এই সমস্যা হয়। তাহলে চলুন জোড়া সমস্যার সমাধান খুঁজে নিই আমরা।
শুরুতেই জন্ম দাগ , তিল নিয়ে আমরা কথা বলব। এটি আসলে কী? কী করেই বা সৃষ্টি হয়? এর মানে কী? বিজ্ঞানের কাছে রয়েছে এই সব প্রশ্নের উত্তর। মেলানোসাইটিক নেভাস একটি সাধারণ ক্ষত। এটি জন্মের সময় থেকেই বা জন্মের পর যে কোনো সময় হতে পারে।
জন্মদাগ ও তিল কি জটিল কোনো বিষয়?
পরিবার এবং আত্মীয়দের মনে যে প্রশ্ন ঘোরাফেরা করে সেটা হল জন্মদাগ ও তিল কি জটিল কোনো বিষয়? মানে এর থেকে কি ভবিষ্যতে সমস্যা হতে পারে? তাহলে এর উত্তরে একটা পরিসংখ্যান দিতে চাই আপনাদের।
গবেষণা বলছে প্রায় ১% ব্যক্তি এক বা একাধিক জন্মগত ‘মেলানোসাইটিক নেভাস‘ নিয়ে জন্মান। সেটা একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম হতে পারে তবে এটি সাধারণত বিক্ষিপ্তভাবে শরীরে ছড়ানো থাকে। এটার সঠিক কারণ বলা মুশকিল কারণ সেভাবে বিজ্ঞানের ভাষায় কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না।
মোল বা তিল হলে অনেকেই দুশ্চিন্তা করেন। কেন?
তবে মনে করা হয় একজন ব্যক্তির মেলানোসাইটিক নেভির সংখ্যা প্রধানত তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। প্রথমত, জেনেটিক কারণ। দ্বিতীয়ত সেই মানুষটি সূর্যের আলো সংস্পর্শে কতটা আসছে। এবং তৃতীয়ত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা রয়েছে দেহে তার ওপর।
মেলানোসাইটিক নেভিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও এমন নেভি থাকাটা অসম্ভব কিছু নয়। আপনাদের জানিয়ে রাখি জন্মগত অবস্থা ছাড়া বয়স বাড়ার সাথে সাথে মোল বা তিল হলে সেগুলো নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তা করেন। কেন? কারণ এই মোলগুলো থেকে ‘মেলানোমা’ নামক ত্বকের ক্যান্সার হতে পারে বলে দেখা গেছে।
ছোটবেলার তিল বড় বেলায় আর নেই:
নিশ্চিত করে কিছু বলা মুশকিল তবে অনেক ক্ষেত্রেই এগুলোর ছড়িয়ে পড়ার একটা প্রবণতা আছে। শুধুমাত্র যে মেলানোসাইটিক নেভি কখনো মেলানোমার কারণেই ছড়িয়ে পড়বে এমনটা নয়। পরিবর্তনের জন্য অন্য ফ্যাক্টর যেমন সূর্যের সংস্পর্শে আসার পরে বা গর্ভাবস্থায় এরা বড় হতে পারে, বাড়তে পারে কিংবা নিজে থেকেই নির্মূল হয়ে যেতে পারে।
আরো পড়ুন – Mosquitoes : বাড়ির চারপাশে মশাদের উৎপাত? ‘মশার উপদ্রব’ থেকে বাঁচতে অবশ্যই এই ব্যবস্থা নিন
অনেকের ক্ষেত্রে দেখা গেছে ছোটবেলার তিল বড় বেলায় আর নেই। অনেকেই জানতে চান এটা অপসরণের কোন রাস্তা আছে কিনা। অবশ্যই আছে কিন্তু তার আগে আপনার জেনে রাখা দরকার যে ‘মেলানোসাইটিক নেভাস‘ (Melanocytic nevus) নিয়ে দুশ্চিন্তার তেমন কোনো কারণ নেই। যদি খুব সন্দেহ হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেইনি তাতে কোনও ক্ষতি নেই।
শরীরের তিল অপসারণ এর বেশ কিছু পদ্ধতি:
এবার আপনাদের জানিয়ে রাখি, জন্মগত মেলানোসাইটিক নেভিকে তাদের আকার, আকৃতি এবং নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য অনুসারে এদের ছোট ,মাঝারি, বড় বিভিন্ন আকারে ভাগ করা হয়েছে। বিজ্ঞান বলছে বেশিরভাগ ‘মেলানোসাইটিক নেভি ক্ষতিকর নয়’ এবং চিকিৎসার প্রয়োজন নেই।
আরো পড়ুন – Dust allergy : রাস্তায় বেরোলে মাস্ক পড়তে হয়? ডাস্ট এলার্জির সমস্যা না তো? কী ভাবে মিলবে মুক্তি?
কিন্তু অনেকেই মনে করেন এমন জায়গায় এটি রয়েছে যার জন্য হয়তো সৌন্দর্য ব্যাহত হচ্ছে। সেক্ষেত্রে তিল অপসারণ এর বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে বটে। শেভ বায়োপসি পদ্ধতিতে উঁচু হয়ে থাকা তিলের অপসারণ করা সম্ভব হয়। উনি কি আবার বলেন ইলেকট্রোসার্জিকাল ডিসট্রাকশন পদ্ধতির কথা।
এই ক্ষেত্রে সরাসরি ত্বক থেকে নেভি নির্মূল করার ব্যবস্থা করা হয়। লেজার পদ্ধতিতে ও তিলের উপরে থাকা চুল সরিয়ে ফেলা যায়।তবে এক্সিশন বায়োপসি পদ্ধতি মানে সেই তিলের মধ্যে ক্যান্সারের কোন প্রবণতা আছে কিনা সেটা দেখে নেওয়া দরকার।
আরো পড়ুন – মন খারাপ? কোনও কিছুই ভালো লাগছে না? দুশ্চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে? তাহলে উপায়?
তবে যাই করুন না কেন, শরীরকে অযথা ক্ষত বিক্ষত করবেন না। একান্ত কোনও প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শ সবার আগে নেয়া দরকার।