Breaking Bharat: বাচ্চা একদম কথা শুনছে না? একটু সাবধানে থাকুন! ‘বাচ্চার জেদ নিয়ন্ত্রণ’ করুন এখনই। বাচ্চা ছোট থেকে কিভাবে বড় হবে সেটা অনেকটাই নির্ভর করে তার বাবা মা কিভাবে তাকে বড় করবেন তার ওপর।
একটা বাচ্চা স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সুস্থ ভাবে বেড়ে উঠুক বড় হোক এটা সকলেই চায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বাচ্চাকে ভালবাসতে গিয়ে তার বিপদ ডেকে আনছেন না তো? আজকে এটা চাই কালকে ওটা, সবকিছু মুখের সামনে হাজির করে দিলে সে অভাবটুকু বুঝবে কেমন করে?
আপনার বাচ্চাকে কখনোই আস্কারা দেবেন না:
ছোট বাচ্চাকে ঘিরে সবার মনে অনেক আশা আনন্দ থাকে। কিন্তু সে যদি বিগড়ে যেতে শুরু করে তাহলে স্বভাবতই পরিবারের কাছে সেটা একটা চিন্তার বিষয়। আপনাকে মাথায় রাখতে হবে সন্তান বাবা-মায়ের প্রিয় হবে এটাই চিরকালীন সত্য তাই বলে তার সব কাজই যে প্রিয় হবে এমনটা নয়।
জিত করে এটা চাইছে ওটা চাইছে আর তার মন ভালো রাখতে তার আবদার পূরণ করছেন আপনি। এর মধ্যে কোন অন্যায় নেই তবে একটা সীমারেখা টানা দরকার। আর মাথায় রাখবেন আপনি কোন কিছু দিতে পারছেন না বলে যেভাবে হোক চিৎকার করে, কান্নাকাটি করে, আপনার কাছ থেকে সেটা নিয়ে নেওয়ার যে চেষ্টা আপনার বাচ্চা করছে সেটাকে কখনোই আস্কারা দেবেন না (Control your child’s stubbornness now)।
বাড়ির ‘শিশু সন্তানকে’ ইগনোর করুন:
প্রয়োজনে আপনার বাড়ির শিশু সন্তানকে ইগনোর করুন। এটা অবশ্যই হবে তার ভালোর জন্য। বাচ্চা যদি একবার বুঝে যায় যে আপনি তার জেদ বজায় রাখতে সব কিছু করতে পারেন তাহলে তার সেই জেদ যে কি মারাত্মক আকার নিতে পারে আপনি কল্পনাতেও আনতে পারবেন না।
বাবা-মা হিসেবে আপনার কখনোই সন্তানকে অনুভব করতে দেবেন না যে, বাচ্চার জেদ এবং একরোখা ব্যবহার করলেই সে যা চাইছে সেটা আপনি দিতে বাধ্য! এই জিনিসটা আকার ইঙ্গিতে পরিষ্কার করে আপনার বাচ্চাকে বুঝিয়ে দিন।
আরো পড়ুন – ‘মহিলাদের সঙ্গে সেক্স’ নিয়ে আলোচনা! অন্যদিকে ‘সেক্সের গল্প’ শুনতে কি ভালো লাগে?
আবার এমন নয় তার সঙ্গে কঠিন ব্যবহার করে তাকে আঘাত করবে না আপনি। সবটাই একটা দুর্দান্ত পেরেন্টিং স্কিল এর মাধ্যমে ম্যানেজ করা সম্ভব।
‘বাচ্চার আবদারের’ হিসেব-নিকেশ করবেন না:
প্রথমত বাচ্চার সঙ্গে সোজাসুজি চোখে চোখ রেখে তার আবদারের হিসেব-নিকেশ করবেন না। আপনি তো আশে পাশেই থাকুন কোন অসুবিধা নেই কিন্তু সে যা আবদার করছে সেই সময় তার চোখের দিকে তাকাবেন না বা তাকে গুরুত্ব দেবেন না।
আরো পড়ুন – Ledikeni : লেডিকেনির রহস্য সমাধান! কেন উত্তর আর দক্ষিণের লড়াই এই মিষ্টিকে ঘিরে?
আপনি অন্য কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকুন কিছুক্ষণ পর সে বুঝে যাবে যে এভাবে আবদার করে লাভ নেই। যখন সে বুঝবে তার চাওয়াটার কোন গুরুত্ব নেই আপনার থেকেই সেটা শিশু মন থেকে হারিয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে যাতে শুধু আপনি একা নন আপনার চারপাশে যারা আছেন তারা প্রত্যেকেই যেন সেই সময় তাকে সহানুভূতি না জানায়।
‘বাচ্চা জেদ’ করছে অন্যভাবে পরিস্থিতি হ্যান্ডেল করুন:
আর মনে রাখবেন যেন আপনার বাচ্চা কোন মারাত্মক সিদ্ধান্ত না নেয়, সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে আপনাকে। সেক্ষেত্রে আপনি সে যখন জেদ করছে অন্যভাবে পরিস্থিতি হ্যান্ডেল করুন। প্রয়োজনে অন্য কোন গল্পকথায় বা অন্য খেলায় তার মাইন্ড ঘুরিয়ে দিন। এভাবে কাজ করলে ফল পাবেন সহজে।
আরো পড়ুন – ‘মেয়েদের চাহিদা’ মানেই দামি গয়না-শাড়ি! কি চায় মেয়েরা? মেয়েদের মন বোঝা কেন সোজা নয়?
আর মাথায় রাখা দরকার ছোটবেলা থেকে আপনার সন্তানকে না পাওয়া অভাব এগুলো বুঝতে এবং বোঝাতে হবে। তার জিৎ কে প্রশ্রয় দেবেন না এতে সাময়িকভাবে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছেন মনে হলেও ভবিষ্যতে হিতে বিপরীত হবে তখন আর কিচ্ছু করার থাকবে না। তাই যা করার এখনই করুন।