Breaking Bharat: ‘মেয়েদের চাহিদা’ মানেই দামি গয়না-শাড়ি! কি চায় মেয়েরা? মেয়েদের মন বোঝা কেন সোজা নয়? নারী চরিত্র সত্যিই কি খুব জটিল?
কঠিন কথা সহজেই ভীষণ সহজ করে বলা যায়। কিন্তু সহজ কথা বলা খুব একটা সহজ নয়। হয়তো ভাবতেই পারেন যে কেন হঠাৎ এমন ভাবনা মাথায় এল। উত্তরটা খুব সহজ। আসলে যত দিন যাচ্ছে আমরা কেমন যেন সহজ কিছু বুঝতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছি। বা ধরুন বলতে পারেন সহজ কথাগুলো বুঝতেই চাইছি না, চারপাশের জটিলতার ভিড়ে।
একটা মেয়ের জীবনে কি চাহিদা বলতে পারেন?
যারা ভাবেন মেয়েদের চাহিদা মানেই দামি গয়না ,শাড়ি ,গাড়ি , বাড়ি তারা একেবারেই ভুল ভাবেন। মেয়েরা শুধু একটু ভালোবাসা চায় (Girls just want a little love)। প্রাথমিকভাবে পরিবারের কাছে বিশেষ করে বাবার কাছে পরবর্তীতে স্বামীর কাছেও সেই স্নেহটুকুই তাদের একান্ত কাম্য (A girl’s needs in life)।
মেয়ে মানে শুধু একটা শরীর তো নয়, একটা মানুষ অনেকগুলো অনুভূতি আর একটাই মন। যেমন অনুভূতিকে ছোট থেকে আগলে রেখে বড় করেন তার বাবা মা। মেয়ে মানেই সে বাবার বিশেষ প্রিয় পরিবারের অন্যতম দুর্বলতা। সময়ের কালভেদে হয়তো অন্য কোন ছেলেকে বা বাড়ির পছন্দ করা ছেলেকে তার ভালো লাগে বিয়ে হয় নতুন সংসার হয়।
মেয়ে মানেই শুধুমাত্র তার পেছনে টাকা খরচ করা নয়:
কিন্তু কখনোই সে বাবার আন্তরিকতা কে ভুলতে পারেনা। যেমন শাশুড়ির মধ্যে গিয়ে মায়ের স্নেহ খুঁজতে চায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেটা সম্ভব হয় না। একটা মেয়ে মানেই শুধুমাত্র তার পেছনে টাকা খরচ করা নয়। টাকা বাঁচিয়ে সংসারকে নতুন ভাবে বাড়িয়ে তুলতে তার অবদান কিছু কম নয়।
আরো পড়ুন – food crisis : বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে ‘খাবারের জন্য হাহাকার’! লড়াই ‘শুধু দুবেলা পেট ভরানোর’ জন্য!
নারী মানে সৃষ্টির আধার ভুলে গেলে চলবে না এই জীবজগতে যা কিছু সৃষ্টি করেছেন ঈশ্বর অর্ধেক তার করেছে নারী অর্ধেক নর। তাই শুধু স্তোত্র বা পূজোর পাঁচ দিনের মন্ত্রে নারীকে পূজা করা বা শ্রদ্ধার আসনে বসানোর সময় এখন গেছে। নারী এখন সর্বভূতে সর্বস্থানে সর্বত্র বিরাজমান। সেই নারী চায় একটু ভালো থাকার জন্য তার কাজের সঠিক মূল্যায়ন।
একটা মেয়ে সবার আগে চায় নিরাপত্তা:
সে যেটুকুই কাজ করুক না কেন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত স্বীকৃতি দরকার নেই কিন্তু অন্ততপক্ষে কাজের মূল্যায়ন তো হওয়া দরকার। সব সময় নারী মানেই তাকে নিচু চোখে দেখা নয় তার কাজের মূল্যায়ন করুন তাকে সম্মান করুন তার গুণের প্রশংসা করুন।
আরো পড়ুন – Ledikeni : লেডিকেনির রহস্য সমাধান! কেন উত্তর আর দক্ষিণের লড়াই এই মিষ্টিকে ঘিরে?
এবার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কথা। একটা মেয়ে সবার আগে চায় নিরাপত্তা (A girl wants security first)। সামাজিক হোক বা অর্থনৈতিক। ব্যক্তিগত হোক বা পারিবারিক। একজন বাবা কিন্তু নিজের সর্বস্ব দিয়ে মেয়েকে নিরাপদে রাখতে চান। হাজার একটা ঝড় ঝাপটা সত্বেও মেয়ের গায়ে এতটুকু আজ লাগতে দেয় না তার বাবা।
আরো পড়ুন – abortion : সন্তান ধারণে সমস্যা! ‘সন্তান ধারণ’ করা সত্ত্বেও বারবার তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে! কি করবেন?
সেই বাবা যখন অন্য একজন মানুষের হাতে তার মেয়েকে তুলে দেন তার ভেতরটা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। যেটা বোঝার ক্ষমতা গোটা বিশ্বের না থাকলেও শুধুমাত্র বাবা আর মেয়ে গভীরভাবে অন্তর থেকে তা অনুভব করতে পারে। আর ঠিক এই জায়গাটাই বুঝতে হবে স্বামীকে বা বলা যেতে পারে বর কে।
আরো পড়ুন – diet for child : ‘শিশুর খাওয়া দাওয়া’ নিয়ে চিন্তিত! শিশুদের কি ধরনের খাবার দেওয়া উচিত?
একজন স্বামীর বোঝা দরকার তার স্ত্রী কতটা ভালোবাসা আর নিরাপত্তার আশ্রয় ছিল তার বাবার কাছে। দুজনেই তো পুরুষ মানুষ কিন্তু সম্পর্কের কারণে দুজনের একে অন্যকে আগলে রাখার প্রেক্ষিতটা আলাদা।
কিন্তু আগলে রাখাটা দরকার বাবা বাবার মতো করে মেয়েকে আগলেছেন আর স্বামীর দায়িত্ব তার মতো করে স্ত্রীকে আগলে রাখা, নিরাপত্তা দেওয়া। ভালোবেসে ভালোবাসায় ভালো থাকুন সকলে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এইটুকুই কামনা।