Breaking Bharat : বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে ‘খাবারের জন্য হাহাকার’ (food crisis)! লড়াই ‘শুধু দুবেলা পেট ভরানোর’ জন্য! কী হতে চলেছে অনিশ্চিত আগামীতে? অন্যায় অত্যাচারের সঙ্গে আপোষ করা, মুখ বুজে সব সহ্য করা সবটাই পেটের তাগিদে। কিন্তু দিনের শেষে সেই খাবার যদি না জোটে তবে? কবি বলেছিলেন,
“ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়,
পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি”
এই দুটি লাইন যে কত বড় সত্যি তা বোধহয় এই মুহূর্তে বিশ্বের মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। চারিদিকে শুধুই খাবারের জন্য হাহাকার। এ কোন অন্ধকারময় ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আপনি, আমি?
এই ‘চরম খাদ্য সংকটের’ ভবিষ্যৎবাণী:
সারা বিশ্ব জুড়ে মানুষ শুধু দুমুঠো খেতে চাইছে। যেন ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের স্মৃতি ফিরে আসছে আবার। পরিসংখ্যান দেখলে চোখ কপালে উঠবে বুঝবেন দুর্ভিক্ষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে গোটা বিশ্ব। খুব তাড়াতাড়ি সেই পৃথিবীকে দেখতে চলেছেন আপনি যেখানে অভুক্ত অবস্থায় কাটাতে হবে দিনের পর দিন, না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তে হবে রাতের পর রাত।
প্রতিদিনের কাজের ব্যস্ততা বা ছুটির মেজাজে উৎসবের তালে মেতে ওঠা দেশবাসী অথবা রাজনৈতিক পটভূমির আড়ালে লুকিয়ে থাকা বিশ্ববাসীর কাছে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে একটিমাত্র তথ্যে। জাতিসংঘের খাদ্য প্রধান ডেভিড বিসলে যখন এই চরম খাদ্য সংকটের ভবিষ্যৎবাণী করছেন তখন গোটা পৃথিবী কার্যত স্তব্ধ হয়ে গেছে।
প্রাকৃতিক প্রভাব, জলবায়ুর পরিবর্তন তাতে কঠিন সময়:
জাতিসংঘ অনুরধ করেছে সব দেশকে এক হয়ে কাজ করার জন্য। অতিমারি পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা পিছিয়ে পড়া, উন্নয়নশীল এবং উন্নত দেশ গুলি আজ যেন একই সারিতে দাঁড়িয়ে আছে। জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন যেভাবে জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে তাতে কঠিন সময় আসতে আর বেশি দেরি নেই।
প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার সঙ্গে সভ্যতা তাল মিলিয়ে উঠতে পারছে না। প্রাকৃতিক প্রভাব পড়ছে জমি থেকে শুরু করে জলাশয় সর্বত্র। কমছে ফলন, তৈরি হচ্ছে যোগানের অভাব। গত দুবছরে এমন এক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি বিশ্ববাসী যা আগের ১০০ বছরের কোনদিন আসেনি।
‘মানুষ দু’বেলা খাবার জোগাড়’ করবেন কীভাবে?
২০১৯ সালে করোনা অতিমারী মানুষের জীবনে প্রবেশ করার পর তার সঙ্গে লড়াই করতে করতে শক্তি ক্ষয় হয়েছে আমাদের। অথচ প্রয়োজনীয় এনার্জির যোগান মেলে নি। পরিসংখ্যান বলছে পৃথিবীব্যাপী অভুক্তের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে গেছে।
আরো পড়ুন – Married for free : বিয়ের জন্য ফালতু টাকা নষ্ট ? তাহলে বিনা পয়সায় বিয়ে করার সুবিধা পেতে চান?
করোনা কাটিয়ে ওঠা, নিউ নরমালের বিশ্বে প্রায় ২৭ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ দু’বেলা খাবার জোগাড় করবেন কীভাবে (How do people get two meals a day?), তা বুঝে উঠতে পারছেন না। এ যেন এক মহাসংকটের দ্বারপ্রান্তে পৃথিবী।
অনেকেই বলছেন এমন পরিস্থিতি কেন তৈরি হলো? সেক্ষেত্রে তাদেরকে জানাতে হয় রাজনৈতিক সামাজিক এবং আন্তর্জাতিক স্তরে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির টালমাটাল অবস্থার কথা।
কি পরিমান ‘অর্থের অকারণ খরচ’ হচ্ছে আপনি জানেন?
তবে নিঃসন্দেহে রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ করোনা পরবর্তী বিশ্বে একটা বড় অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কি পরিমান অর্থের অকারণ খরচ হচ্ছে তা আপনি কল্পনাতেও আনতে পারবেন না। হয়তো অন্যান্য খবরের ভিড়ে পেজ ওয়ান থেকে সরতে সরতে অনেকটা দূরে চলে গেছে রাশিয়ায় ইউক্রেন যুদ্ধ।
আরো পড়ুন – “লাভ ইন টোকিও”র লাস্যময়ী নায়িকা! এবার দাদা সাহেব ফালকে সম্মানের সম্মানিত আশা পারেখ।
কিন্তু থেমে যায়নি কিছুই। ইউক্রেন এবং রাশিয়া এই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের কারণে রাসায়নিক সার এবং শক্তির যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে , তা কোনমতেই পূরণ করা সম্ভব নয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এখানেই শেষ হচ্ছেনা, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন,
যে সংঘাত ও মানবিক সংকট ছড়িয়ে পড়েছে গোটা পৃথিবীজুড়ে তার প্রভাব সামগ্রিকভাবে সব দেশে পড়বে। আপাতত জাতিসংঘের ফান্ডিংয়েও ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি দেখা গিয়েছে যা একালের মধ্যে সর্বোচ্চ।
আরো পড়ুন – ‘বান্ধবীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক’ স্থাপন করে মারাত্মক অপরাধ করলেন ‘হলিউড অভিনেতা চার্লি সিন’!
কতটা ‘খাদ্য সংকটের’ মধ্যে পড়তে চলেছে বিশ্বের একাংশ?
বিশ্বের প্রথম রাসায়নিক সার উৎপাদনকারী দেশ চিন অতি সম্প্রতি সারের রস্থানি নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে শুরু করেছে। এখানে একটা যোগানের অসামঞ্জস্যতা তৈরি হওয়ায় সংকট বাড়ছে। কোভিড পরবর্তীকালে যেভাবে একের পর এক দেশ নিজেদের কার্যত দেউলিয়া ঘোষণা করেছে তার থেকে স্পষ্ট কতটা সংকটের মধ্যে পড়তে চলেছে বিশ্বের একাংশ (Part of the world is going to fall into food crisis)।
আরো পড়ুন – Sapna Choudhary : ভাইরাল ডান্সার স্বপ্না চৌধুরী বাড়ি বন্ধক রেখে বাবার চিকিৎসা করিয়েছেন?
আর যত সময় যাবে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে বিপদ। প্রাকৃতিক কারণে দুর্যোগের ঘনঘটা আছেই, তার সঙ্গে রাজনৈতিক কারণে সৃষ্টি হওয়া মুদ্রাস্ফীতি, মূল্যবৃদ্ধিও খাদ্য সংকট তৈরির অন্যতম প্রধান কারণ। এবার প্রশ্ন হল,এতগুলো নেগেটিভিটি বা অপারগতার সঙ্গে কী করে লড়াই করবে বিশ্বের মানুষ?