Breaking Bharat : যৌন সুখ পেতে ‘মেয়েদের ভাইব্রেটর ব্যবহার’। রোগ থেকে মুক্তি পেতে ডাক্তার বলছেন ভাইব্রেটর ব্যবহার করতে? ভিক্টোরিয়ান যুগ থেকেই ইংল্যান্ডে ভাইব্রেটর নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, নারীদের কাছে নিজের যৌন কামনা পূর্ণ করার অপশন এই ভাইব্রেটর ।
যৌন সুখ সকলেই পেতে চায়। যৌন মিলনে নারী আর পুরুষের মধ্যে কে সব থেকে বেশি সুখী হয় বলুন তো? ভাবছেন তো কেন হঠাৎ এই প্রশ্ন। আসলে নারী যৌন পরিতৃপ্তি পেতে পুরুষকে ছাড়াই যে কাজ চালাতে পারে সেটা বোধহয় এতদিনে সবার কাছে পরিষ্কার।
যৌন সুখ পেতে মেয়েদের ভাইব্রেটর এর ব্যবহার:
তবে প্রশ্ন হচ্ছে আজকে যে বিষয়টা নিয়ে এত কিছু সেই গোটা ঘটনার সূচনা লগ্নে পৌঁছাতে গেলে চোখ কপালে উঠবে আপনার। যৌন সুখ পেতে মেয়েদের ভাইব্রেটর (vibrators) এর ব্যবহার প্রথম কবে থেকে চালু হয়েছিল সেটা যদি এখন এই প্রতিবেদনে আপনাকে জানাই তাহলে আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন না যে আজ থেকে কত বছর আগেই প্রগতিশীল হয়ে উঠেছিল সমাজের নারীরা।
নারী আর পুরুষের গোপনাঙ্গের মেলবন্ধনে এক আলাদা শারীরিক পরিতৃপ্তি পাওয়ার কর্মকাণ্ড সৃষ্টির আদিমকাল থেকেই হয়ে আসছে। কিন্তু বিষয়টা হচ্ছে নারী যৌনাঙ্গে পুরুষ যৌনাঙ্গ প্রবেশের সুযোগ সবসময় না হওয়ার কারণে বিকল্প পদ্ধতির কথা বিজ্ঞান কে ভাবতে হয়েছে।
এটা অবশ্য পুরুষের ক্ষেত্রেও একই ভাবে প্রযোজ্য। তবে কি বলুন তো পুরুষ যদি চাই পতিতালয়ে গিয়ে নিজের কামনা পূর্ণ করতে পারে কিন্তু বাড়ির বউ এরকম কোন ভাবনাচিন্তা রাখতে পারেন না। তাই তাকে খুব স্বাভাবিকভাবেই বিজ্ঞানের দ্বারস্থ হতে হয়।
আরো পড়ুন – Hotel bedrooms : বেডরুমে সাদা চাদর বিশেষ কোনও বার্তা দেয় কি? বেডরুমে অন্য রঙ কেন নয়?
ভাইব্রেট লোক সমাজে আলোচনারও যোগ্য নয়:
আর বিজ্ঞান বলছে, এই আলোচনা আজ নতুন নয়। কারণ ভিক্টোরিয়ান যুগ থেকেই ইংল্যান্ডে ভাইব্রেটর নিয়ে আলোচনা হচ্ছে (Discussing vibrators in England)। অদ্ভুত বিষয় হলো এই ভাইব্রেটর যা কিনা লোক সমাজে আলোচনারও যোগ্য নয় বলে সমাজের একাংশ এখনো মনে করে, সেই দিন মহিলাদের রোগ প্রতিরোধ করার চিন্তা ভাবনা ডাক্তারদের মস্তিষ্ক থেকেই প্রথম প্রকাশ পেয়েছিল।
আরো পড়ুন – Kambala festival : কর্ণাটকের কাম্বালা খেলা জানেন? কৃষকরা শুধু কৃষিকাজই করেন না, খেলতেও জানেন!
আসলে নারীদের হিস্টিরিয়ার প্রতিষেধক হিসেবে ডাক্তাররাই উদ্ভাবন করেছিলেন এই ভাইব্রেটর (Doctors invented this female vibrator)। দেখুন এই রোগ আসলে উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত হলে তখন মানুষকে বিশেষ করে মহিলাদের সমস্যায় ফেলতে পারে। তবে একমাত্র এই কারণেই যে আপনি হিস্টিরিয়া রোগী হবেন এমনটা নয়।
নারীদের কাছে নিজের যৌন কামনা পূর্ণ করার অপশন:
পাশাপাশি সম্ভাব্য আরো কিছু লক্ষণ পেশেন্টের মধ্যে ডাক্তাররা প্রত্যক্ষ করে থাকেন। আসলে শুরুতেই যেমনটা বলেছেন নারীদের কাছে নিজের যৌন কামনা পূর্ণ করার অপশন পুরুষের তুলনায় অনেকটা কম। শুধু তাই নয় একটি মেয়েকে বলেই দেয়া হয় সে যেন তার স্বামীর জন্যই নিজেকে স্পেশাল করে তুলে রাখে অর্থাৎ অন্য কোন পুরুষের সঙ্গে তার শরীরের স্পর্শ হওয়া যেন এক মারাত্মক অপরাধ।
আরো পড়ুন – Haridwar : তীর্থ ভ্রমণে গিয়ে টাকার চিন্তা! এবার হরিদ্বার গেলে থাকা খাওয়ার কোন খরচ লাগবে না!
এখন প্রশ্ন আসতেই পারে যে আমরা এই বিষয়টাকে সমর্থন করছি কিনা বা নীতিগতভাবে কোনটা ঠিক ইত্যাদি ও প্রভৃতি। কিন্তু আমরা একেবারেই এইরকম কোন দিকে প্রতিবেদনের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে যেতে চাইছি না শুধু বলা হচ্ছে বায়োলজিক্যালি মহিলাদের যৌনতার চাহিদার কথা।
চরম যৌনতা প্রাপ্তি আসলে অরগ্যাজম?
এখন যে পুরুষের সঙ্গে নিজের যৌন কামনা পরিতৃপ্ত করবে বলে নারী ভাবছেন তিনি যদি তাকে তৃপ্ত করতে না পারেন সেক্ষেত্রে অন্য অপশনে যাওয়া চট করে সহজ হয় না। সেক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা বাড়ে, বিরক্তি তৈরি হয় আস্তে আস্তে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন অনেকে। এখান থেকেই রোগের সূত্রপাত আর তার সমাধানেই ডাক্তারদের এই আবিষ্কার।
আরো পড়ুন – Sri Ramachandra : জানেন ভারতের কিছু পবিত্র তীর্থে স্বয়ং উপবিষ্ট হয়েছিলেন শ্রীরামচন্দ্র?
১৯৮০-র দশকে ‘র্যাবিট’ নামে যে ভাইব্রেটর চালু হয় বলে জানা যায়। তার পরই এটি সমাজের মূলধারায় উঠে আসে। এটি যৌনাঙ্গের মধ্যে এক কম্পন সৃষ্টি করে যে তরঙ্গের মাধ্যমে যৌন সুখ পেতে পারেন নারী। চরম যৌনতা প্রাপ্তি আসলে অরগ্যাজম বলেই ধরা হয়।
এতে ক্ষতি একেবারেই হয় না এমনটা বলা যাবে না কিন্তু তার পাশাপাশি মানসিক তৃপ্ত তার কথা ভেবেও অনেকে এটিকে ব্যবহার করার জন্য মুখিয়ে থাকেন বলে জানা যায়। এবার কি সেটা ব্যবহার করবেন আর কে তার নিজস্ব যৌন চাহিদা কী ভাবে পূর্ণ করবেন সেটা সম্পূর্ণভাবেই ব্যক্তিগত ব্যাপার ।এ বিষয়ে নাক না গলানোই ভালো।