Breaking Bharat: স্বামী স্ত্রীর মাঝে শাশুড়ির আগমন অর্থাৎ স্বামী স্ত্রীর বেডরুমে শাশুড়ি! শাশুড়ি ঢুকে পড়ছেন ছেলে বৌমার বেডরুমে। এবার কী করবেন ?
দুজন মানুষ এক ছাদের তলায় যখন থাকতে শুরু করেন তখন তাদের মধ্যে সম্পর্ক এক অন্য মাত্রায় গভীরতা পায়। কিন্তু সমস্যা বাড়ে যখন তৃতীয় জন সেই সম্পর্কের মাঝে চলে আসেন। আজকের প্রতিবেদনে এমন এক তৃতীয় ব্যক্তির কথা বলতে চলেছি যিনি কিন্তু বাড়ির সদস্য।
স্বামী স্ত্রীর মাঝে শাশুড়ির আগমন:
আর তার কাজকর্মের জেরে বিপাকে পড়তে হয় দম্পতিদের। একটু আইডিয়া যদি করতে পেরে গিয়ে থাকেন তাহলে তো আর খোলসা করে বলে ফেলতে কোন সমস্যা নেই। স্বামী স্ত্রীর মাঝে শাশুড়ির আগমনের কথাই বলছি। তবে শাশুড়ি ঢুকে পড়ছেন ছেলে বৌমার বেডরুমে! ভাবুন দেখি, কি অবস্থা!
পৃথিবীতে সম্পর্কের একাধিক সমস্যা জীবনকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। সেক্ষেত্রে বোঝার উপায় থাকে না, কী করা উচিত আর কোনটা ঠিক? একটা ছেলে এবং একটা মেয়ে যখন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়, তখন তাদেরকে ঘিরে দুটো পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়।
মেয়েকে তার নিজের বাড়ি ছেড়ে বরের বাড়িতে আসতে হয়:
ছেলের পরিবার মেয়েকে আপন করে নেয় মেয়ের পরিবার জামাইকে ছেলে করে নেয়। কিন্তু সামাজিক নিয়ম মেনে মেয়েকে তার নিজের বাড়ি ছেড়ে ছেলের বাড়ি মানে বরের বাড়িতে আসতে হয় যেটা হয়ে যায় তার শ্বশুরবাড়ি। শ্বশুরবাড়িতে মানিয়ে নেওয়া খুব একটা সহজ হয় না।
তা সে প্রেম করে বিয়ে হোক বা যোগাযোগ করে। আসল ব্যাপারটা হল একটা পরিবেশ থেকে আরও একটা পরিবেশে এলে জীবনে কিছু তো পরিবর্তন অবশ্যই ঘটে, সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু এই নতুন বাড়িতে একটা মেয়ে সবথেকে আপন হিসেবে পায় তার স্বামীকে।
বিবাহিত দম্পতির যৌন জীবন খুব স্বাভাবিক:
এমনিতেই বিয়ের পর একটা মেয়ের জীবনে সবচেয়ে বড় এবং বেশি ভূমিকা তার স্বামীর থাকে। সে চাই নিজের জীবনটার সঙ্গে তার বরের জীবনটাকে মিলিয়ে দিয়ে একটা সুস্থ ভবিষ্যৎ সম্পর্ক গড়ে তুলতে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই জীবনে শারীরিক চাহিদা থেকেই যায়।
বিবাহিত দম্পতির যৌন জীবন খুব স্বাভাবিক একটা ঘটনা এবং প্রবৃত্তি। সমাজের এমনই একটা নিয়ম এইসব কর্মকাণ্ডের জন্য রাতের বেলা সময়টাকে বেছে নেয়া হয়। বা ধরুন বন্ধ দরজার আড়ালে বিছানায় দুটো শরীর মিলে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে দেখা যায়।
স্বামী স্ত্রীর মাঝে যদি চলে আসে শাশুড়ি মানে ছেলের মা?
দেখা যায় শব্দটা শুনে আবার ভাববেন না আমরা কোন যৌন দৃশ্যের কথা বলছি। স্বাভাবিক ঘটনা কে কথার নেপথে বুঝিয়ে তোলার চেষ্টা মাত্র। তো যাই হোক সাধারণত এই বেডরুমকে ব্যক্তিগত হিসেবে ধরা হয়। সমস্যা বাড়ি যখন ব্যক্তিগত জীবনে আরও একজন মানুষের প্রবেশ ঘটে।
এবার ভাবুন স্বামী স্ত্রীর মাঝে যদি চলে আসে শাশুড়ি মানে ছেলের মা? তাহলে কেমন হবে। এমন ঘটনা নিত্যদিন ঘটছে কোন না কোন পরিবারে কিন্তু সবটা প্রকাশ্যে আসছে না। কারণ একটাই চক্ষু লজ্জা বা বলতে না পারা। অনেকেই এই প্রশ্ন তোলেন যে স্বামীকে নিজের মতো করে পাচ্ছেন না কারণ বারবার বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে শাশুড়ি।
শাশুড়ি আর বৌমার গল্পটা প্রতিটি পরিবারে একই রকম:
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার শাশুড়ি আর বৌমার গল্পটা যেন প্রতিটি পরিবারে কোথাও গিয়ে একই রকমের হয়। দুজনের মধ্যে একটা মিষ্টি মধুর সম্পর্ক একেবারেই তৈরি হয় না, সেটা বলবো না কিন্তু অনেকটা সময় লাগে এটা সত্যি কথা।
শুরুতেই আপনার শাশুড়িকে যদি বাধা দেন তাহলে একটু সমস্যা কারণ তার ছেলে তার সংসার তার একটা অধিকার তো থাকবেই। কিন্তু বিষয়টা যদি বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে যায় তাহলে একটু কথা বলা দরকার। তবে তা থেকে যেন সংসারে ভাঙ্গন না ধরে।
আরো পড়ুন – আপনি ‘চটি বই’ কিনছেন বা পড়ছেন! যৌনতার গল্প পড়ার আগ্রহ কেন এত বেশি?
আসলে যৌথ পরিবারগুলো এরকমই নানা কারণে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে। সেখানে একজন ঠিক বা অপরজন ভুল সেটা আসল কথা নয় আসল বিষয় হলো ঘটনার জেরে নিউক্লিয়ার ফ্যামিলির সংখ্যা বাড়ছে সমাজের বুকে।
আপনাকে বুঝতে হবে শাশুড়ির মানসিকতা কী?
আজকের প্রতিবেদনের মূল বিষয়টাই ছিল স্বামী-স্ত্রীর মাঝে শাশুড়ির চলে আসা এবং ব্যক্তিগত পরিসরে প্রবেশ করা। এক্ষেত্রে সবার আগে আপনাকে বুঝতে হবে শাশুড়ির মানসিকতা কী? তিনি কি ইচ্ছে করেই এই কাজ করছেন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আপনাদের মাঝে দূরত্ব তৈরি চেষ্টা করছেন?
আরো পড়ুন – Black Magic : শিশুরা বলে চলেছে তন্ত্র মন্ত্র! গ্রাম জুড়ে শুধুই কালা জাদু, কোথায় এমন হয় বলুন তো?
কারণ ইনসিকিউরিটি তে ভোগা খুব সাধারণ একটা ঘটনা। এতদিন ধরে যে ছেলে তার নিজের ছিল আজ তার জীবনে অন্য এক নারীর প্রবেশ, মেনে নেওয়ার সহজ নয়। তাই সেই সম্পর্ককে বুঝতে এবং জানতে একটু সময় দিতে হবে। তবে যদি দেখেন বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে যাচ্ছে তাহলে তো প্রথমে তার সঙ্গে এবং তার ছেলের সঙ্গে অর্থাৎ আপনার স্বামীর সঙ্গে কথা বলা দরকার।
শাশুড়ির সঙ্গে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন:
প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো চেষ্টা করুন শাশুড়ির সঙ্গে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে। এরপর যখন আপনি মা হবেন হয়তো বা এভাবেই নিরাপত্তাহীনতা আপনাকেও কষ্ট দিতে পারে। মনে রাখতে হবে আপনার শাশুড়ির বয়স হয়েছে তাই তার সঙ্গে মানিয়ে গুছিয়ে নেওয়াটাই আসল দরকার (mother-in-law between husband and wife)।
আরো পড়ুন – আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করে দেয়? তাহলে আগুনের উপর কী করে বাসস্থান গড়ল মানুষ?
তবে কথাটা কাব্যে যতটা বলা সহজ বাস্তবে প্রয়োগ করা ততটাই কঠিন। এর জন্য দরকার একটা ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। নিজের ছোট্ট ছোট্ট অনুভূতি আর অভিজ্ঞতার সঙ্গে একজন ভালো বান্ধবী হিসেবে জড়িয়ে নিন শাশুড়িকেও। দেখবেন দূরত্ব কমবে, যোগাযোগ বাড়বে সম্পর্ক গভীর হবে।
আরো পড়ুন – Santiniketan : কবিগুরুর রবি ঠাকুরের ‘সাধের শান্তিনিকেতন’ কে কতটা চেনেন আপনি?
এভাবে কথার ছলে বুঝিয়ে দিন আপনার সমস্যাও। আশা রাখি তিনি বুঝবেন। মনে রাখবেন সবসময়ই আমি কি পেলাম না এটা নিয়ে হিসেব করবেন না কারণ জীবন আপনাকে অনেক কিছু দিয়েছে যা হয়তো বাকিরা পাননি। তাই ভালো থাকুন এবং সুস্থভাবে পৃথিবীর প্রতিটা মুহূর্ত কেই উপভোগ করুন।