Breaking Bharat: আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করে দেয়? তাহলে আগুনের উপর কী করে বাসস্থান গড়ল মানুষ? আগ্নেয়গিরির উপরে বসতি স্থাপন করা যায়? সভ্যতা সমাজ এগিয়ে চলেছে প্রতিমুহূর্তে। সেই উন্নতির দানায় ভর করে মানুষ আজ মাটি থেকে পা রেখেছে মহাকাশে।
সব অসম্ভবকে কার্যত সম্ভব করে তোলার ধৃষ্টতা সাহস দুটোই দেখাতে পেরেছে মানুষ। সেই কারণেই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীবের তালিকায় মানুষের নাম সবার আগে ছিল আছে এবং থাকবেও। আদিম মানুষ থেকে শুরু করে আজকের মানুষ যেভাবে নিজেকে প্রতিমুহূর্তে বিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আপডেট করেছে মানুষ তার জন্য একটা বড় হাততালি তো মানুষেরই প্রাপ্য তাই না?
কিন্তু তাই বলে আগুনের উপর বাসস্থান ?
মহাকাশে লোহা দিয়ে তৈরি প্লেন উড়তে পারে, জলের মধ্যে লোহার তৈরি ভারী জাহাজ ভাসতে পারে – এই সবটা সম্ভব করতে পেরেছে একমাত্র মানুষ। শুধুই কি তাই মাটির নিচে মাটি খুঁড়ে সেখানে পৌঁছে গিয়ে পাতাল রেল চালু করে ঝকঝকে স্টেশন তৈরি করে নিত্য যাতায়াত মানুষেরই।
বদলেছি পৃথিবী, কারণ সভ্যতার সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীকে নিজের মতো করে সাজিয়ে নিয়েছে মানুষ। কিন্তু তাই বলে আগুনের উপর বাসস্থান ? (Dwelling on fire) এ তো আর অন্যের উপর হাড়ি চাপিয়ে ভাত সিদ্ধ নয়। একটা বসতি করে তোলা তাও এক নয় একাধিক জায়গায় এও কি সম্ভব?
আগ্নেয়গিরির উপরে বসতি স্থাপন করা যায়?
আগ্নেয়গিরি মানেই জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ড আর ভয়ংকর লাভা । যাকে দূর থেকে দেখলেই কেমন যেন একটা গা জ্বালা করা অনুভূতি শুরু হয়। আগুনে পোড়ার যন্ত্রণা যে একবার ভোগ করেছে সেই জানে। সামান্য ছ্যাঁকা লাগলে বাবাগো মাগো করে চিৎকার করি আমরা। সেখানে আগ্নেয়গিরির উপরে বসতি স্থাপন করা যায়?
আরো পড়ুন – Mahadev Temple : এই দেশেই আছে অদৃশ্য শিব মন্দির? কেন দর্শন দিয়েই ডুবে যান দেবাদিদেব?
চলুন এই প্রতিবেদনে এমন কিছু জায়গায় নিয়ে যাব যেখানে মানুষের অবস্থান শুনলে চোখ কপালে উঠবে আপনার। প্রথমেই বলি গোরেম এর কথা। এটির অবস্থান টার্কির কাপাডোসিয়া শহর। এক অদ্ভুত জনবসতি পূর্ণ এলাকা বটে। যদি দূর থেকে দেখেন তাহলে মনে হবে বিশালাকার সূঁচালো পাথরের শিলা মাটিতে গেঁথে রয়েছে।
এই পাথরগুলোকে বলা হয় পরীদের চিমনি:
আসলে সেই পাথরের খাঁজে খাঁজে রয়েছে ছোটো ছোটো গুহা। জানলে হয়তো অবাক হবেন এই পাথরগুলোকে বলা হয় পরী দের চিমনি। আর এই রকম জায়গাতেই প্রায় হাজার দুয়েক মানুষ বসবাস করেন। গুহার মধ্যে জাদুঘর থেকে শুরু করে জাতীয় উদ্যান হোটেল রেস্তোরাঁ সবই আছে।
আরো পড়ুন – বিয়ে মানে সাত জন্মের বন্ধন কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠানে একাধিক নিয়ম পালন আজও কতটা প্রাসঙ্গিক?
এমনকি এখানকার মানুষদের জীবনযাত্রা দেখতে পর্যটকরা আসেন। চিমনিতে তাদের জন্যও আছে বিশেষ ব্যবস্থা। এবার যাওয়া যাক ক্যাঙারুদের দেশে। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড থেকে প্রায় ৮৪৬ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের মরুভূমিতে এক ছোটো শহর আছে, যার নাম কুবার পেড়ি।
আগ্নেয় দ্বীপ অর্থাৎ দ্বীপের নীচে একটি আগ্নেয়গিরি:
এখানে প্রায় ১৫০০ মানুষ বসবাস করেন। এখানে মাটির নীচে দোকান, ক্লাব , বিনোদন স্থল সবটাই তৈরি করেছেন শহরের বাসিন্দারা। আপনি কি জানেন এটিই পৃথিবীর একমাত্র ভূগর্ভস্থ নগরী। এখানে প্রায় ৬০টি ওপল পাথরের খনি রয়েছে বলে জানা যায়।
আরো পড়ুন – Santiniketan : কবিগুরুর রবি ঠাকুরের ‘সাধের শান্তিনিকেতন’ কে কতটা চেনেন আপনি?
এখানে মাটির ভিতরে মানুষের জীবনযাত্রা পর্যটকদের আকর্ষণ আর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। মাটির নীচে যেহেতু ঘর তাই বেশ ঠান্ডা। রাতে অবশ্য বেজায় শীত কিন্তু এখানে। এবার একটু জাপানের দিকে যাবেন নাকি? জাপানের টোকিওর আওগাশিমা গ্রাম কিন্তু বেশ অদ্ভুত।
আরো পড়ুন – আপনি ‘চটি বই’ কিনছেন বা পড়ছেন! যৌনতার গল্প পড়ার আগ্রহ কেন এত বেশি?
এটি একটি আগ্নেয় দ্বীপ অর্থাৎ দ্বীপের নীচে একটি আগ্নেয়গিরি রয়েছে। গ্রামে খুব বেশি লোকজন থাকেন না। সব মিলিয়ে ২০০ জন হবে আর এখানকার মানে দ্বীপের ৬ বর্গ কিলোমিটারের কম। এককালে ফিলিপিন্স সাগরের বুকে অবস্থিত এই আগ্নেয় দ্বীপে যথেষ্ট লোকবসতি ছিল।
তবে শুধুই কি আগ্নেয়গিরি বরফের মাঝেও জীবনযাত্রা দিব্যি সচল । এরকম তালিকা আরো অনেক আছে। প্রতিটি প্রতিবেদনেই এরকম নানা চমকপ্রদ তথ্য নিয়ে হাজির হব আমরা তাই অবশ্যই আমাদের প্রতিবেদন কেমন লাগছে জানাতে ভুলবেন না।