Breaking Bharat: আপনি কি বিমান (airplane) চড়তে ভালবাসেন? যদি মাঝপথে চালক ঘুমিয়ে পড়ে? বিমান বা প্লেন চড়তে পছন্দ করেন এমন অনেক মানুষ আছেন। কাউকে আবার প্রয়োজনে বিমান চড়তে হয়, যাতে কম সময়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলে যাওয়া যায়।
মাঝ আকাশে বিমান চালকের সমস্যা :
আজকের প্রযুক্তি নির্ভর দুনিয়ায় বিমানে ওঠার আগেই সেই সংক্রান্ত সব তথ্য পেয়ে যান আপনি। কিন্তু বিমান একবার উড়তে শুরু করলে তখন কোনো কিছুই আর আমার বা আপনার হাতে থাকে না। তখন ভগবানের নাম নিয়ে যাত্রা করেন অনেকে আবার অনেকে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে নেন বা বই পড়ে অথবা সিনেমা দেখে কাটিয়ে দেন।
তবে এরকম একাধিক ঘটনা ঘটে, যার সম্পর্কে যাত্রীদের কোন ধারনাই থাকেনা। বিমান সেবিকা বা চালক এই বিষয়ে আপনাকে কিছু জানায় না। পুরোটাই করা হয় যাত্রিদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে। তাহলে আজ এমন কিছু তথ্য দেবো আপনাকে, যে বিষয়ে বিমানে চড়ে আপনি জানতে পারেন না।
বিমান উড়ান শুরুর আগে এই বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়:
মাটি ছেড়ে যখন কয়েকশো ফুট উপরে উঠবেন তখন সবার আগে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা হচ্ছে কিনা সেটা দেখতে হয়। আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য অক্সিজেন মাস্ক এর ব্যবস্থা থাকে। অনেকেই ভাবেন বিপদে পড়লে সেই মাস্ক পরে নেবেন।
এমনিতেই করোনা পরবর্তী সময়ে মাছের সঙ্গে আমাদের একটু বেশি বন্ধুত্ব হয়েছে। সে যাই হোক এই অক্সিজেন মাস্ক সম্পর্কে আপনার জ্ঞ্যান থাকা দরকার। আসলে ফ্লাইটে বাতাসের চাপ কম হলে বা কম অক্সিজেনের ক্ষেত্রে বিপদের সময়ে এয়ারলাইন্স অক্সিজেন মাস্ক ব্যবহার করার কথা বলেন (Use of airline oxygen masks in emergencies)।
কিন্তু পাইলটদের দায়িত্ব সেখানেই শেষ হয়ে যায় না:
কিন্তু এই অক্সিজেন মাস্ক কিভাবে ব্যবহার করতে হবে সেই সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। বিমান উড়ান শুরুর আগে এই বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়। তারপরেও অনেক ক্ষেত্রে এই মাস্ক কাজ করে না। আসল ব্যাপারটা হল এই মাস্ক মাত্র ১৫ মিনিট কাজ করতে পারে তারপরেই সমস্যা তৈরি হয়ে যায়।
আরো পড়ুন – Married life : বিবাহিত জীবনে সুখী নন? আপনার স্ত্রী কি অন্য কোন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেন?
বিজ্ঞানের ভাষায় একেই বলে হাইপার ভেন্টিলেশনের অবস্থা। অনেকেই জানেন না যে যাত্রীদের যে খাবার পরিবেশন করা হয় তা কিন্তু পাইলটদের দেওয়া হয় না। কারন মাথায় রাখতে হবে যাত্রীরা একবার ট্রাভেল করার পর প্লেন থেকে নেমে যাবেন কিন্তু পাইলটদের দায়িত্ব সেখানেই শেষ হয়ে যায় না।
মাঝ আকাশে কারোর মৃত্যু হলে উপায় কি?
কারণ এরপরেও তাদের অন্যান্য ফ্লাইট থাকে। তাই তাদের হেলদি খাবার দেওয়া হয় যাতে সমস্যা না হয়। কারণ মাঝ আকাশে চালকের সমস্যা হওয়া মানে বুঝতেই পারছেন আর কিছু করার নেই। প্লেনে গান শোনার জন্য অনেক সময় হেডফোন দেয়া হয় কিন্তু মাথায় রাখবেন সেগুলি কেউ না কেউ কখনো না কখনো ব্যবহার করেছেন।
আরো পড়ুন – নিজের দেশে খাওয়া জুটলেও ঘুমোবার সুযোগ নেই কেন? শুধুমাত্র ঘুমোনোর জন্য অন্য দেশে যেতে হয়!
তাই সংক্রমণ হতে পারে এমন আশঙ্কা করতেই পারেন। সতর্ক থাকুন এই বিষয়ে। এই ক্ষেত্রে বলে রাখি যে use and throw কফি কাপ ব্যবহার করুন, অন্যকোনো কাপে চা বা কফি খাবেন না। আপনি যে সিটে বসে আছেন তার পাশের সিটে কোনও মৃত ব্যাক্তি আছেন কিনা জানেন?
আরো পড়ুন – নিজের পোষা কুকুর-বেড়াল নিয়ে বেড়াতে গেলে, এবার আপনাকে হাজতবাস করতে হবে!
আসলে মাঝ আকাশে কারোর মৃত্যু হলে দেখা হয় কোনও ফাঁকা সিট আছে কিনা, সেটা না পেলে ফাঁকা সিটে কম্বল চাপা দিয়ে মৃতদেহ রেখে দেয়া হয়।
বিমান চালাতে চালাতে বিমান চালক ঘুমিয়েও পড়েন:
আপনি কি জানেন বিমান চালাতে চালাতে বিমান চালক ঘুমিয়েও পড়েন। আসলে দীর্ঘ সফরে ক্লান্তি আসতেই পারে। সেই সময় একটু বিশ্রাম নেওয়ার জন্য খানিকটা তন্দ্রা আসে চালকের। তখন তিনি শোল্ডার পিলো মাথায় দিয়ে ঘুমিয়ে নেন । অটো পাইলট মোড এই সময় সাহায্য করে।
আরো পড়ুন – আপনি কি মধ্যবয়স্ক মহিলার প্রেমে পড়েছেন? এই অসম ভালবাসা কতটা সিদ্ধ?
তবে আপনার আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ দুজন পাইলট একসঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন না। সেই ভাবেই রুটিন সাজানো হয়। বেশিরভাগ বিমান চালকই এই কথা স্বীকার করেছেন যে হ্যাঁ তারা মাঝে মধ্যে বিমান চলাকালীন ঘুমিয়ে পড়েন। নিশ্চয়ই এত কথা আপনার জানা ছিল না? এরকমই অজানা বিষয় জানতে চোখ রাখুন আমাদের প্রতিটি প্রতিবেদনে।