Breaking Bharat: অম্বল হয়েছে, বুক জ্বালা করছে, পেট ফাঁপা,পেটের সমস্যা! আলসার হয়নি তো ? সাবধান! মেনুতে রাখুন এই খাবার, সুস্থ হবেন আপনিও। আজকের দিনে পেটের সমস্যায় ভোগেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল। যেভাবে খাবারের রুটিন বদলাচ্ছে, খাবারের চয়েস বদলে যাচ্ছে তাতে পেটের গন্ডগোল হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
কিন্তু এটা ওটা ওষুধ খেয়ে অযথা শরীরের ইমিউনিটিকে নষ্ট করবেন না। বাড়িতে হাতের কাছেই আছে ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করুন আর খেয়ে সুস্থ থাকুন। যারা কমবেশি পেটের সমস্যায় ভোগেন তারা অবশ্যই ঘরোয়া টোটকার কথা জানেন।
অম্বল হয়েছে, বুক জ্বালা করছে, পেট ফাঁপা ?
তবুও একটু বিস্তারিতভাবে এর আসল কারণ, কার্যপদ্ধতি, আর কখন খাওয়া দরকার সেটা বলে দিই। তাহলে প্রতিবেদন শুরু হোক, মিষ্টি নয় বরং টক দইয়ের সাথে।
সোশ্যাল মিডিয়া আর ইন্টারনেটে দৌলতে এখন বোধহয় ছোট্ট বাচ্চাও জানেন টক দইয়ের উপকারিতা। সকলেই জানেন হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে টক দই খাওয়ার কথা বলেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা (Ayurveda experts talk about eating sour curd)। অম্বল হয়েছে, বুক জ্বালা করছে, পেট ফাঁপা ?
পেপটিক আলসার (Peptic ulcer):
এরকম সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে যারা ভুগছেন তারা এবার টক দই ট্রাই করে দেখতে পারেন। যে লক্ষণগুলোর কথা বললাম সেটা যদি আপনার হয়ে থাকে তাহলে বুঝবেন আপনি পেপটিক আলসারে আক্রান্ত হয়েছেন। এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার চোখ জলদি উপায় হচ্ছে দই। অবশ্য এরকম অনেক মানুষই আছেন যারা শীত গ্রীষ্ম বর্ষা সারাক্ষণই টক দই পাতে রাখতে পছন্দ করেন।
আরো পড়ুন – sleeping in the evening : ‘সন্ধ্যে বেলা’ ঘুমলে জীবনে আর সংসারে নেমে আসতে পারে মারাত্মক বিপদ!
শুধুমাত্র যে হজমের গন্ডগোল দূর করে এমনটাই নয় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি বাড়াতেও টক দই ভীষণভাবে কার্যকরী। করোনা কালেও ডাক্তার এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন তাতে টক দই রাখতে।
মানুষের দেহে প্রো বায়োটিক হিসেবে কাজ করে টক দই:
পুষ্টিবিদরা বলছেন যদি প্রতিদিন এক কাপ করে টক দই আপনি খেতে পারেন, তাহলে কিন্তু শুধু পেটের গন্ডগোল নয় শরীরের বহু জটিল সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাবেন। মানুষের দেহে প্রো বায়োটিক হিসেবে কাজ করে এই টক দই।
আরো পড়ুন – চোখের জলের কোন দাম হয় না ? ডাক্তাররা বলছেন ভালো থাকতে গেলে চোখের জল ফেলা জরুরি ! কেন?
অনেক মনে করেন দই যেহেতু দুধ থেকে তৈরি হয় তাহলে দুধ খেলেই তো সমস্যা মিটে যায়। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে টক দইয়ের মধ্যে দুধের থেকেও বেশি পরিমাণে ভিটামিন বি এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে নানা ধরনের মিনারেল যে আপনার শরীরের জন্য বিশেষভাবে কার্যকরী।
বডিকে ডি-টক্সিফাই রাখতে দই- য়ের জুড়ি মেলা ভার:
মাথায় রাখতে হবে যত বেশি পরিমাণ টক্সিন দেহে মজুত হবে ততই সমস্যা বাড়বে তাই শরীরকে টক্সিন ফ্রি করা দরকার। আপনার বডিকে ডি-টক্সিফাই রাখতে দই- য়ের জুড়ি মেলা ভার। টক দইয়ের সঙ্গে যদি কিসমিস মিশাতে পারেন তাহলে সেটা আপনার পাচনতন্ত্রকে ভালো রাখতে।
আরো পড়ুন – ৭৫ বছর পর ভাই বোনের হঠাৎ দেখা! হারিয়ে যাবার সম্পর্কের মিলন গাথা নিয়ে তৈরি এক রূপকথা
আসোনি এর ফলে আপনার অস্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়বে। ফলে পাচনতন্ত্র সুরক্ষিত থাকবে এবং অপকারী ব্যাকটেরিয়াকে নির্মূল করা সম্ভব হবে। সঙ্গে বাদাম এবং টাটকা ফলমেষেও খেতে পারেন এতে শরীরে পুষ্টি গুণ বাড়বে। আর নিজের পছন্দমত রায়তা তো করতে পারেন যখন তখন। শরীরও ভালো থাকবে জিভেরও স্বাদ খুলবে।
আরো পড়ুন – শিক্ষাগুরু অর্থাৎ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে ছাত্র ছাত্রীদের সম্পর্ক কেমন?
তাহলে এবার থেকে মনে করে টক দই আপনার মেনুতে অবশ্যই রাখুন দেখবেন শরীর যদি সুস্থ থাকে তাহলে মন সত্যি ফুরফুরে থাকবে কাজেও গতি আসবে আর হঠাৎ করেই চার-পাশটা বদলে যাবে। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।