Breaking Bharat: মধ্যবিত্ত ছেলের বাইক কেনার স্বপ্ন (Motor bike)! ,যার টাকা নেই তার কি স্বপ্ন দেখা অপরাধ? গাড়ি চলতে চাকা লাগে , জীবন চলতে টাকা লাগে!
চোখে একটা বাইক কেনার স্বপ্ন:
শুধুমাত্র তফাৎটা পকেটের হয়তো তাই মানসিকতারও। আজকের কথাটা মধ্যবিত্ত বনাম উচ্চবিত্ত। লড়াইটা স্বপ্ন দেখার নয় জীবনটা বাঁচার। একটা ছেলে যার জন্ম উচ্চ বৃত্ত পরিবারে। ছোটবেলা থেকেই হাতের কাছে না চাইতেই সব জিনিস হাজির।
অন্যদিকে রয়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে যাকে সবকিছু লড়াই করে নিতে হয়। দুজনেই হয়তো বা এক শহরের। কিন্তু দুজনের চোখে একটা বাইক কেনার স্বপ্ন। পকেটে যার টাকা তার স্বপ্ন পূরণ ,যার নেই তার কি স্বপ্ন দেখা অপরাধ? (Middle-class boy dreams of buying a Motor bike)
নিজের প্রিয় মানুষকে নিয়ে বাইকে ঘোরা:
বাইক মানে শুধুমাত্র একটা শখ নয় অনেকটা স্বপ্নের মত । আপনি যদি ছেলে হন একথা সমর্থন করবেন। এটা অনেকটা প্যাশনের মত। শুধুমাত্র নিজের প্রিয় মানুষকে নিয়ে বাইকে ঘোরাই নয়, যেন এটা একটা পুরুষের প্রকৃতিগত বিষয়। তার বাইক ভালো লাগার মধ্যে রয়েছে এক অন্য অনুভূতি।
যখন চারপাশের বড়লোক বন্ধুরা বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়ায়, মধ্যবিত্ত ছেলেটা তখন কাউন্টার সিগারেটে রাস্তার ধারে সাইকেল নিয়ে সময় কাটায়। বাড়িতে অনেক দায়িত্ব সেরকম রোজগার নেই। হয়তো অনেকে বেকার। বাড়ির লোকের কাছে লক্ষ্য টাকা দিয়ে বাইক কেনা একটা বাহালতা মাত্র।
তবু কেউ কি বোঝে ছেলেটার মনের কথা? নিজের জন্য একটা বাইক কিনতে চাওয়া এটা কি তার অপরাধ? দায়িত্ব ও কর্তব্য এই সব রয়েছে। এই সব কিছু করতে গিয়ে নিজের স্বপ্নটা ক্রমাগত হারিয়ে যেতে থাকে।
সেটা হতে পারে ছোটবেলায় একটা ভালো জামা না পরতে পারা কিংবা ফুটবল ক্রিকেট ভালোবাসা ছেলেটার কোনদিনও ডিসট্রিক লেভেলে বা স্টেট লেভেলে খেলতে না যাওয়ার সুযোগ পাওয়া।
টাকা জমিয়ে বাইক কেনার সামর্থ্য:
সবটাই কিন্তু হয় শুধুমাত্র টাকার জন্য। মনের মধ্যে জেদ চেপে রেখে দাঁতের দাঁত চেপে লড়াই করে যাওয়া কত দিন সম্ভব। এক বছর দু’বছর এই করে করে যদি পঞ্চাশ বছর বয়সে গিয়ে টাকা জমিয়ে বাইক কেনার সামর্থ্য হয় তখন কি আর স্বপ্নপূরণের সেই স্বাদ মেলে? অথচ কেউ যেন এমন কপাল নিয়ে আসে শুরু থেকেই সব পেয়ে যায়। কাকে দোষ দিবেন ভাগ্যকে বিধাতাকে, প্রশ্নটা থেকেই যায়।
আরো পড়ুন – Bank accounts : আপনার কি একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে? সবগুলো ম্যানেজ করতে পারেন?
বাবা মার কথা মাথায় রেখে নিজের স্বপ্ন পূরণ থমকে যায় । দায়িত্ব ও কর্তব্য করতে করতে ইচ্ছে আর পূরণ হয় না। এরপর বিবাহিত জীবনের স্ত্রী তারপর তার সন্তানকে ভালো রাখতে রাখতে সেই ছেলেটার আর সারা জীবনেই ভালো থাকা হয় না। সে যদি নিজের জন্য কিছু ভাবতে চাই সমাজ বলবে স্বার্থপর।
টাকা জমিয়ে যৌবনকালে একটা বাইক:
সে যদি নিজে টাকা জমিয়ে যৌবনকালে একটা বাইক কিনতে পারত সকলে চোখে আঙুল দেখিয়ে বলত বাবা মাকে না দেখে ছেলের বাইক নিয়ে হিরোগিরি দেখাচ্ছে। আবার বয়স কালে? এটা করার উপায় থাকে না তখন যে শরীর আর সায় দেয় না।
আরো পড়ুন – আমার স্ত্রী আমাকে অকারণে সন্দেহ করে! আমি দাম্পত্য সুস্থ রাখার উপায় জানতে চাই?
একটু ভেবে বলুন তো তাহলে সেই ছেলেটার সেই মানুষটার নিজের মতো করে বাঁচার জন্য কি একটা বছরও সে পাবে না? চিরকাল অন্যের জন্য ভাবতে থাকা মানুষটা নাকি মৃত্যুর পর স্বর্গে স্থান পায়। কিন্তু সে তো জীবনটাই বাঁচতে পারল না মরণের পরে কি হয় কেইবা দেখেছে?
আরো পড়ুন – আজকের নারী অর্থনৈতিকভাবে উন্নত, কিন্তু কী ভাবে কাজ করছে ক্ষমতায়ন?
তার যেটুকু প্রাপ্য ছিল সবটাই কোথায় যেন হারিয়ে যায়, এভাবেই মধ্যবিত্ত ছেলেটার গল্পটা শেষ। আমরা জানিনা এই প্রতিবেদন কতজন মানুষের জীবনের সঙ্গে মিলে গেল , তা জানা নেই। তবে এই প্রতিবেদন যাদের জীবন থেকে তৈরি হওয়া তারা জানেন মনের কথা এগুলোই । সকলকে জানানোর মানে একটু মধ্যবিত্ত ছেলেগুলোর মানসিকতা বোঝার জন্য অনুরোধ করা।