Breaking Bharat: বদলে গেছে ক্যানসারের সংজ্ঞা! ভয় নয়, মৃত্যুকে জয় করার মন্ত্র হাতের মুঠোয় (Curing cancer)। রোগ হলে মানুষের মন খারাপ হবে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলেন মন খারাপ হলে রোগ আরও বেশি বাড়ে। তাই আগে মানসিক ভাবে সুস্থ থাকুন তবেই শারীরিক সুস্থতা আসবে জীবনে।
এবার প্রশ্ন হচ্ছে শরীর অসুস্থ থাকলে কি আর মন ভাল থাকতে পারে? আর যখন আপনি জেনে যান যে ক্যানসারের মতো মারণ রোগ শরীরে বাসা বেঁধেছে তখন আর কোনো ভাবেই নিজেকে সান্তনা দেওয়াসম্ভব হয়ে ওঠে না। কিন্তু আপনি জানলে খুশি হবেন যে এখন জটিল রোগের সংজ্ঞা বদলে গেছে ।
আগে যেমন মনে করা হতো যে কর্কট রোগ মানেই সব শেষ, এখন সেই ভাবনা অনেকটা বদলে দিয়েছে চিকিৎসাশাস্ত্র। কী ভাবে, সেই ব্যাখ্যা করব আজ (easiest cancers to cure)।
ক্যানসার কোন্ স্টেজে আছে সেটা জানতে হবে:
সময় যত এগিয়েছে ততই বিজ্ঞান নানা ধরনের যুগান্তকারী আবিস্কার নিয়ে হাজির হয়েছে মানুষের কাছে। সেইভাবেই বিজ্ঞানের অগ্রগতি। আর চিকিৎসা বিজ্ঞান সবথেকে বেশি সাফল্য পেয়েছে বলাইবাহুল্য! এক্ষেত্রে উঠে আসে ক্যানসারের কথা (Curing cancer is now easy)।
আগেকার দিনে এই রোগ কারোর শরীরে বাসা বাঁধলে মনে করা হত এই বুঝি সব শেষ হয়ে গেল। কেমো ও রেডিওথেরাপি দিয়ে রোগীকে সুস্থ করে তোলার ঘটনা ঘটছে রোজই। তবে সঠিক চিকিৎসার জন্য সঠিক সময়মত রোগ নির্ণয় করা জরুরি। অর্থাৎ ক্যানসার কোন্ স্টেজে আছে সেটা জানতে হবে।
বায়োপসির মাধ্যমে ক্যানসার নির্ণয়:
আপনাদের জানিয়ে রাখি ক্যানসার শরীরের যেকোনো স্থানে হতে পারে (Cancer can occur anywhere in the body)। তবে মাথায় রাখতে হবে এই ঘা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ক্যানসার কোষের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে এই ভাবে বিস্তার করাকে মেটাসটেসিস বলা হয়। বেনাইন টিউমারের ক্ষেত্রে আবার এটা হয় না।
অর্থাৎ টিউমার যে স্থানে সৃষ্টি হয় সেখানেই বড় হতে থাকে, ফলে আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে না। বায়োপসির মাধ্যমে ক্যানসার নির্ণয়ের পর সিটি স্ক্যান বা এমআরআই করা হয় ক্যানসারের প্রকৃতি বোঝার জন্য। এবার বলি যে স্টেজ বোঝার জন্য ক্যানসারকে বিভিন্নভাবে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে।
যেমন টি এন এম শ্রেণিবিন্যাস। এই টি এন এম শ্রেণিবিন্যাস বলতে বোঝায় টিউমার, লিম্ফনোড এবং মেটাসটেসিস। এই স্টেজে টিউমারের অবস্থান, আকৃতি, ক্যানসার কাছাকাছি লিম্ফনোডে অন্য জায়গায় ছড়িয়েছে কিনা দেখা হয়। মূলত এটাকেই মেটাসটেসিস বলে।
ক্যানসারের প্রকৃতি এবং স্টেজের উপর নির্ভর করে:
অর্থাৎ মেটাসটেসিস কী পরিমাণ হয়েছে এবং কোথায় কোথায় হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ণয় করা হয়। কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি দিয়ে রোগীকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করে থাকেন চিকিৎসকেরা। ক্যানসারের প্রকৃতি এবং স্টেজের উপর নির্ভর করে রেডিওথেরাপি বা কেমোথেরাপি আগে দিয়ে পরে অস্ত্রোপচার করা হয়।
আবার কখনও কখনও আগে ক্যানসারের অপারেশন (Cancer operation) করে পরে এই থেরাপি দেওয়া হয়ে থাকে। মনে রাখতে হবে ক্যানসারের আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় কেমোথেরাপি বহুল ব্যবহৃত । আর এর খরচ প্রচুর। প্রাইভেট নার্সিংহোমে এর জন্য অনেক টাকা দিতে হয় রোগীর পরিবারকে।
রেডিওথেরাপির মাধ্যমেও ক্যানসারের কোষ ধ্বংস করা যায়:
অনেক রাজ্যে সরকারি নার্সিংহোমে এই সুবিধা মেলে। অনেকেই হয়তো এই কেমোথেরাপির কারণ জানেন না। আসলে এটা এমন এক ধরণের চিকিৎসা যার মাধ্যমে ক্যানসারের ক্ষতিগ্রস্ত কোষ ধ্বংস করা হয় যাতে তা আর না ছড়াতে পারে। রেডিওথেরাপির মাধ্যমেও ক্যানসারের কোষ ধ্বংস করা যায়।
কিন্তু মনে রাখতে হবে একটি নির্দিষ্ট ছোট জায়গায় রেডিওথেরাপি প্রয়োগ করা সম্ভব। তবে ঝুঁকির বিষয় হল এর মাধ্যমে শরীরের সুস্থ কোষগুলো নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। কেমোথেরাপির মাধ্যমে শরীরের ক্যানসার সেল এবং এর আশপাশের ভালো কোষগুলোকে চিহ্নিত করে সহজেই আলাদা করা যায়।
ক্যানসার সারিয়ে তোলাও এখন সহজ ব্যাপার:
ক্যানসার সেল যেহেতু দেহের মধ্যেই জন্মায় তাই শরীরের অভ্যন্তরীণ রোগ প্রতিরোধক শক্তি একে সন্দেহ করে না। তাই লড়াইও করে না। এতেই সাহস পায় ক্যানসার আর সাম্রাজ্য বিস্তার করে। সাধারণত ইনজেকশনের মাধ্যমে কেমোথেরাপি শিরায় প্রবেশ করানো হয় অনেকটা স্যালাইন দেওয়ার মতো।
আরো পড়ুন – eden gardens : ক্রিকেট স্টেডিয়াম ইডেন গার্ডেন্স কিন্তু এই ক্রিকেটের নন্দন কাননের ইতিহাস জানেন কি?
কোন রোগীকে যদি অন্য ঔষধ দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে তার শিরায় একটি ইনজেকশনের টিউব রেখে দেয়া হয়। যাতে করে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ জন্য বারবার সেটি খুলতে এবং লাগাতে না হয়। ফলে রোগীর অস্বস্তি কম হতে পারে। কেমোথেরাপির ওষুধ রক্তের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করানো হয়।
আরো পড়ুন – স্বামীর পরকীয়া টের পাচ্ছেন? স্বামীকে পরকীয়া থেকে রক্ষা করার উপায়।
এটি সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে, ফলে ক্যানসারের সেল যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই বিনাশ করা সম্ভব হবে। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগীর শারীরিক মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হয় বটে, তবে পরিবারের সাপোর্ট খুব দরকার। চিন্তা করবেন না। ক্যানসার সারিয়ে তোলাও এখন সহজ ব্যাপার (Curing cancer is now easy)।