Breaking Bharat: বাড়িতে দুরন্ত শিশুর জেরে জেরবার (Naughty child)? দুষ্টু বাচ্চাকে শান্ত করার নিয়ম জেনে নিন আজই! শিশু বড় দুরন্ত তাই না? এর মধ্যেই যেন লুকিয়ে আছে তার স্বাভাবিকত্ব।
চঞ্চল বাচ্চাকে শান্ত করার উপায়:
এই যে বাড়িতে বাচ্চা থাকলে সারাক্ষণ একটা চিৎকার ,চেঁচামেচি, হই হই ব্যাপার থাকে, এটার মধ্যে দিয়ে কিন্তু শৈশব পেরিয়ে আস্তে আস্তে বড় হয়ে যায় আপনার বাড়ির সব থেকে ছোট্ট সদস্য। শিশুকে শাসন করুন অসুবিধা নেই কিন্তু মনে রাখবেন আপনার শাসনের জেরে তার মনে যেন কোন খারাপ ছাপ না পড়ে।
আজকের প্রতিবেদনে এমন কিছু উপায়ের কথা বলব আমরা যা প্রয়োগ করে দেখুন হয়তো আপনার বর্তমান সমস্যা কিছুটা হলেও লাঘব হতে পারে। তবে বলে রাখা দরকার এই প্রতিবেদনে যা যা বক্তব্য আমরা তুলে ধরছি এর কোনও বাস্তব প্রয়োগ করে আমরা দেখিনি।
বাচ্চাদের মারলে কি হয়:
তবে যারা প্রয়োগ করেছেন তাদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এবং বিভিন্ন মনস্তত্ত্ববিদের পরামর্শ মতই তথ্যগুলো তুলে ধরা হলো আপনাদের সামনে। শিশু অন্যায় করলেই তাকে বকাবকি করতেই পারেন কিন্তু অতিরিক্ত শাসনের জেরে যেন তার সঙ্গে আপনার দূরত্ব না তৈরি হয়ে যায় সেটা দেখা দরকার।
আবার এমনটাও নয় যে তাকে এতটাই ছাড় দিয়ে রাখবেন যে সে মাথায় চড়ে নাচবে। অর্থাৎ সবকিছুর মধ্যে একটা সুন্দর ব্যালেন্স হওয়া দরকার। তা না হলে সন্তানের এবং বাবা-মার সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট হবে (Child and parent relationship)। প্রথমেই যে কথাটা বলা দরকার সেটা হলো আপনার শিশুর সঙ্গে খুব বেশি মাত্রায় কমিউনিকেশন করা দরকার।
এতে তার মাথায় কী চলছে বা সে কী নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে বা তার আশেপাশে যা ঘটছে তার কী প্রভাব পড়ছে তার উপর এই সম্পর্কে একটা বেসিক ধারণা থাকবে আপনার। এতে সন্তান যদি কোনো কারণে অস্থির হয়েও পড়ে কিংবা প্রয়োজনের বেশি দুষ্টুমি করে তাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে আপনার নানা পদ্ধতি কাজে আসবে (Characteristics of a naughty child)।
দুষ্টু বাচ্চা সামলাবেন কী করে?
দ্বিতীয়ত বলা দরকার আপনার সন্তান যখন খুব বেশি দুষ্টুমি করছে তাকে গুরুত্ব দেয়া একটু কমিয়ে দিন। আসলে এটেনশন পেতে সকলেই চাই শিশুতো বটেই। তার সঙ্গে সাময়িকভাবে কথাবার্তা বলা বন্ধ করুন বা তার চিকি মনোযোগ দেয়া একদমই বন্ধ করে দিন যাতে সে বোঝে তার কোন গুরুত্ব নেই।
আরো পড়ুন – শাশুড়ি-বৌমার সম্পর্ক মানেই আদায় কাঁচ কলায়? স্টিরিও টাইপ ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসুন
এর ফলে সে তার আগের অবস্থাকে মিস করতে শুরু করবে আর বুঝতে পারবে সে অন্যায় করেছে বলেই তার সাথে এমন ঘটনা ঘটছে। এটা সোজা গিয়ে তার অনুভূতিকে স্পর্শ করবে। কোন বাচ্চা যদি দুষ্টু বা চঞ্চল হয় তাহলে এমনটা নয় যে তার মধ্যে মেধার অভাব আছে তা সেই চঞ্চলতাকে এমন একটা জায়গায় মোটিভেট করুন যেখানে তা কাজে আসবে।
অভাব ব্যাপারটা শিশুকে বোঝানো দরকার:
সবসময় নতুন কাজের জন্য উৎসাহ দিন তার ছোট্ট ছোট্ট সাফল্যে খুশি হন তবে তাকে এটা বুঝিয়ে দিন এটা শুধুমাত্র এখনো অনেকটা পথ যেতে হবে। সব সময় তার চাহিদা পূরণ করে তাকে বিগড়ে দেবেন না । মনে রাখবেন অভাব ব্যাপারটা শিশুকে বোঝানো দরকার তবেই তার সঠিক স্বভাব তৈরি হয়।
আরো পড়ুন – Serena Williams : টেনিস দুনিয়া শাসন করছেন সেরেনা উইলিয়ামস? কেরিয়ারের পথ আদৌ কি মসৃণ ছিল?
শিশু যদি অন্যায় করে তাহলে তাকে চোখে আঙুল দিয়ে অন্যায়টা বুঝিয়ে দিন এবং তার ভালো দিকগুলো কি যেটা করলে সে আরো ভালো হতে পারে সেই বিষয়ে একটা স্পষ্ট ধারণা ছোট থেকেই দেওয়া দরকার। আর সব সময় উৎসাহ দিন বড় কোনো কাজ করার জন্য এতে আপনার দুরন্ত শিশুও বুঝবে তার সব থেকে কাছের বন্ধু তার প্রিয় মানুষ।
আরো পড়ুন – সেই ঋতুপর্ণকে “না” (No) বলেছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা! চরম আক্ষেপ করলেন অভিনেত্রী, কিন্তু কেন?
ফলে যাই ঘটুক না কেন একটা অবিচ্ছেদ্য টান তৈরি হয়ে যাবে। মনে রাখবেনশিশুদের শৃঙ্খলার মধ্যে রাখার জন্য শাস্তি দেওয়া অবশ্যই শিশুদের মধ্যে ভয় তৈরি করে এবং বাবা মা তাদের নিজের সন্তানদের থেকে দূরে সরে যায়। আপনার সন্তান কি ভালো শিক্ষা দিয়ে ভালো মানুষ তৈরি করুন তাহলে সমাজে যেমন আপনার অবদান বাড়বে তেমনি গর্বিত হবেন একদিন নিজেরই দুষ্টু সন্তানের জন্যই।।