Breaking Bharat: ভারতের সবথেকে ভয়ংকর স্থান কোথায়? যেখানে সন্ধ্যের পর যাওয়ার নিষিদ্ধ (Dangerous forts)! সাবধান! এখানে গেলে, ফিরে আসতে হবে সন্ধ্যের মধ্যেই কিন্তু কেন?
পৃথিবীর নানা দুর্গম স্থান নিয়ে জল্পনা আর কৌতূহলের শেষ নেই। এক এক স্থানের ভয়ংকর ঘটনা মানুষের মনে আরও ভয়ের সৃষ্টি করেছে। অনেকেই মনে করেন এইসব জায়গায় গেলে আর ফিরে আসা সম্ভব নয়। এইসব স্থানের আজব কান্ড কারখানা মাঝেমধ্যেই চলে আসে খবরের শিরোনামে।
ভারতের বিপজ্জনক দুর্গ যেখানে সন্ধ্যের পর যাওয়ার নিষিদ্ধ:
আজ বলবো আমাদের দেশ ভারতের কথা। ভারতের এক বিপজ্জনক দুর্গের কথা বলব যেখানে সন্ধ্যের পর যাওয়ার নিষিদ্ধ। জানতে চান আসল রহস্য? চোখ রাখুন প্রতিবেদনে।
ভারতের সবথেকে বিপদজনক দুর্গতি যেতে হলে আপনাকে মহারাষ্ট্রে নিয়ে যেতে হবে আমাদের। অফিসিয়াল ঠিকানা জানতে চাইলে বলবো , মহারাষ্ট্রের মাথেরান এবং পানভেলের মধ্যে অবস্থিত প্রবালগড় দুর্গের কথাই আমরা বলছি। কলাবন্তী দুর্গ নামেও একে অনেকে চেনেন (Kalavantin Durg)।
সন্ধ্যা নামার আগেই দুর্গ থেকে বেরিয়ে পরা যায়?
ভারতের স্থাপত্য এবং ভাস্কর্যের প্রতীক হিসেবে দেশের নানা দুর্গ ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে প্রসিদ্ধ হয়েছে। ২ হাজার ৩০০ ফুট উঁচু খাড়া পাহাড়ের উপর অবস্থিত কলাবন্তী দুর্গ সম্পর্কে অনেকেই খুব একটা জানেন না। এখানে খুব একটা বেশি পর্যটক আসেন না।
চারিদিকটা বেশ ফাঁকা ফাঁকা বলে অনেকে এখানে আসতে দুবার ভাবেন। যারা আসেন তারা চেষ্টা করেন যাতে সন্ধ্যা নামার আগেই এই দুর্গ থেকে বেরিয়ে পরা যায়। কি এমন রহস্য আছে জানেন কি?
বিপজ্জনক বটেই সাথে ভয়ঙ্কর এই দুর্গ:
কথায় বলে যা রটে কিছুটা বটে। বিপজ্জনক বটেই সাথে ভয়ঙ্কর এই দুর্গ (Dangerous forts)। তবে সেটা ভৌতিক কারণ ছাড়াই কি? এই দুর্গ কে বিপদ সংকুল বলার অনেক কারণ আছে। পাথর কেটে যে রাস্তা তৈরি হয়েছে দুর্গার দিকে যাওয়ার জন্য তা অত্যন্ত খাঁড়াই। বিশেষ করে ট্রেকাররা মাঝেমধ্যেই সমস্যায় পড়েন।
যখন ঘুরে ঘুরে পাহাড়ের উপর উঠবেন চারপাশের ধরার জন্য দড়ি বা রেলিং জাতীয় কিছু নেই। এদিক ওদিক হলে মৃত্যু অবধারিত। দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রতিমুহূর্তেই থাকে। ট্রেক করার সময় পা যদি একটু পিছলে যায়, তা হলে আপনি সরাসরি গিয়ে ২ হাজার ৩০০ ফুট নীচের খাদে পড়ে যাবেন।
দুর্গের নামকরণ করেছিলেন রানী কলাবন্তীর নামে:
তবে যা ভয়ংকর তার মধ্যে আলাদা সৌন্দর্য তো থাকবেই। এই দুর্গের সৌন্দর্য চোখে পড়ার মতো। চান্দেরি, মাথেরান তো আছেই পাশাপাশি মুম্বাইয়ের বিভিন্ন জায়গা এই দুর্গের মাথা থেকে দেখা যায়। শিবাজী মহারাজ এই দুর্গের নামকরণ করেছিলেন রানী কলাবন্তীর নামে।
সেই থেকেই এই নামে পরিচিত কলাবন্তী দুর্গ। অনেকে বলেন এখানে আসতে গিয়ে অনেকেই খাদে পড়ে মারা গেছেন। তাদের অতৃপ্ত আত্মা এই পাহাড়ের আনাচে-কানাচে এমনকি দুর্গ জুড়ে আছে আজও। কিছুটা ভৌতিক গুজব এবং কুসংস্কারের প্রবল বিশ্বাসের জেরেও মানুষ এই স্থানকে ঐতিহাসিক বা দর্শনীয় স্থানের মধ্যে ফেলেন না।
আরো পড়ুন – lehe ledu wildlife zoo : খাঁচা বন্দি মানুষকে দেখতে যায় প্রাণীরা! অথচ ঘুরে বেড়াচ্ছে হিংস্র বাঘ সিংহ
তবে সন্ধ্যের আগে এই স্থান থেকে ফিরে আসা প্রসঙ্গে যে যুক্তিটি আছে তা হল বিপদসংকুল এলাকা হওয়ায় যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে সেক্ষেত্রে সাহায্য পৌঁছাতে আরেকটা সময় লেগে যাবে। তাই সকলেই সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে এখান থেকে চলে আসতে চান (Dangerous forts in India where entry prohibited)।
আরো পড়ুন – Shiva Lingas : বিস্ময়ের আরেক নাম সহস্র শিবলিঙ্গ! মহাভারত আর রামায়ণের যোগসূত্র এখানেই জানেন ?
তবুও আমি কিন্তু আসতে চান বিশেষ করে অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষদের জন্য এটা বিশেষ আকর্ষণীয়। ঠাকুরওয়াড়ি গ্রাম থেকে ট্রেকিং শুরু করা হয়। গ্রামে পৌঁছানোর জন্য মুম্বাই থেকে পানভেল পর্যন্ত ট্রেন নিন এবং তার পরে গন্তব্যে পৌঁছতে ভরসা রাখতে হবে বাসের উপর।
আরো পড়ুন – IIT : আইআইটি মানেই সেরার সেরা তালিকা, মেধাবীদের লিস্ট দেখলে চোখ কপালে উঠবে আপনারও
আজকাল অনেকেই ট্যুর স্পন্সর করেন। বেশ কিছু প্যাকেজের ব্যবস্থা করা হয়। কিছু এজেন্সি এমনও আছে যারা মাত্র ১০০০ টাকায় কলাবন্তী দুর্গে রাতে ক্যাম্প করার বিকল্প ব্যবস্থাও করে দেয়। তবে যেহেতু এখানে খুব একটা মানুষ যেতে চান না, সেই কারণে খাবারের একটু সমস্যা হতে পারে।
আরো পড়ুন – Sadhak Bamakshyapa : সাধক বামাক্ষ্যাপার জীবন দর্শনেই যেন তার আধ্যাত্মিক প্রমাণ মেলে জানেন সেটা?
সঙ্গে রাখুন হালকা খাবার। আর জীবন ওষুধ জল এগুলোও সঙ্গে রাখতে ভুলবেন না কারণ এই দুর্গের আশেপাশে এসবের কোন দোকান আপনি পাবেন না। যেতে হলে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করে তবেই যাবেন আর অভিজ্ঞতার কথা আমাদের জানাতে ভুলবেন না যেন।