Breaking Bharat: পৃথিবীর একমাত্র নিঃসঙ্গ মানুষের মৃত্যুতে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল বিরল জনজাতি (lonely man)! এবার চিরতরে বিদায় নিলেন। ভাবতে পারছেন শেষ হয়ে গেল একটা প্রজন্ম। এমন একটা জনজাতি সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল যার ব্যাপারে পৃথিবীর মানুষ আর কোনদিন কিছু জানতে পারবে না (Death of the only lonely man in the world)।
একা থাকা আর একলা থাকা দুইয়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক। কিন্তু একা জীবন যাপন করা কতটা সম্ভব হয়? মনে করা হয় প্রাণীদের জীবনে একজন করে সঙ্গী বা সঙ্গিনীর প্রয়োজন হয়। সেটা যেমন মানুষের ক্ষেত্রেও সত্যি এমন অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণী বা পশু পাখি তাদের ক্ষেত্রেও চরম সত্যি।
এমন একটা জনজাতি যা সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল:
কিন্তু এক দুই তিন নয় দীর্ঘ দুই বছর নয় প্রায় দুই যুগ ধরে পৃথিবীর বুকেই নিঃসঙ্গ এক মানুষ বসবাস করছিলেন আমাজনের গভীর জঙ্গলে (Deep in the Amazon jungle)। এবার চিরতরে বিদায় নিলেন । ভাবতে পারছেন শেষ হয়ে গেল একটা প্রজন্ম। এমন একটা জনজাতি সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল যার ব্যাপারে পৃথিবীর মানুষ আর কোনদিন কিছু জানতে পারবে না।
গর্তের মানুষটির বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। তার নাম কি তিনি কি ভাষায় কথা বলেন তিনি কোথা থেকে এসেছেন এসব প্রশ্ন আগেও ছিল আজও আছে কিন্তু সব থেকে আশ্চর্যজনক বিষয় হল এই উত্তর আগেও যেমন অজানা ছিল এখনো সেই অজানাই থেকে গেল।
ম্যান অব দ্য হোল’ বছরের পর বছর ধরে গর্তে বসবাস:
ম্যান অব দ্য হোল’ বছরের পর বছর ধরে একটি গর্তে বসবাস করতেন (Living in a hole for years)। কারও সংস্পর্শে আসেননি ২৬ বছর। তানারু জনজাতির জমিতেই বসবাস করতেন ওই বৃদ্ধ বলে জানা যায়। সেই কারণে তাঁকে ‘তানারু ইন্ডিয়ান’ নামেও ডাকতে শুরু করেছিলেন অনেকে। শত চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়নি।
তিনি এমন এক জনজাতির অন্তিম প্রতিনিধি ছিলেন যে জনজাতির আর কাউকেই পৃথিবীর বুকে দেখা যায়নি। ফলে সারা জীবন তিনি একলা একা নিঃসঙ্গই থেকে গেছেন। গত ২৩ শে আগস্ট তার মৃত্যু হয়েছে বলে আমেরিকার সংবাদমাধ্যম সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
মানুষটা জঙ্গলের ভেতরে পোকামাকড় শিকার করতো:
ভাবতে পারছেন ২৬ বছর ধরে একটা মানুষ একলা জঙ্গলের ভেতরে শুধুমাত্র পোকামাকড় শিকার করে, (The man used to hunt insects in the forest) কারো সাথে কথা না বলে যোগাযোগ না করে কিভাবে কাটাতে পারলেন গর্তের মধ্যে, তা আজও বিস্ময়ের বিস্ময়। অবশ্য তার মৃতদেহ কোন গর্ত থেকে পাওয়া যায়নি দোলনায় ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়।
আরো পড়ুন – Mandakini : ‘রাম তেরি গঙ্গা মইলি’ মানেই মন্দাকিনীর সাহসী দৃশ্য! এবার মুখ খুললেন মন্দাকিনী!
গর্তের মানুষের মৃতদেহের আশেপাশে সন্দেহজনক কিছু নজরে আসেনি বলেই দাবি স্থানীয়দের। অবশ্য স্থানীয় বলাটাও ভুল সেই জঙ্গলে নিঃসঙ্গ মানুষের সঙ্গে থাকার বা যোগাযোগের কেউ ছিল না। কী ভাবে মৃত্যু হল ওই বৃদ্ধের তা জানতে ইতিমধ্যেই ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে নেওয়ার চিন্তা ভাবনা করেছে রনদোনিয়া স্টেট কর্তৃপক্ষ।
একটি গোটা আদিবাসী জনজাতিই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল:
গর্তের মানুষের মৃত্যুর পর একটি গোটা আদিবাসী জনজাতিই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল আর কোনও উপায় রইল না সে বিষয়ে কিছু জানার , সবটাই হলো ইতিহাস। আমেরিকার এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, আজ থেকে প্রায় বছর চারেক আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালে ওই নিঃসঙ্গ মানুষটিকে নিয়ে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এনেছিল ফুনাই।
ওই ভিডিয়োতে দেখা যায়, তিনি কুঠার জাতীয় কোনও অস্ত্র দিয়ে একটি গাছে বার বার আঘাত করছেন । গর্তের আশেপাশে একটা ছোট্ট কুঁড়েঘর বানিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। আপাতত তার বাসস্থান নেড়েচেড়ে তার সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার চেষ্টায় ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।
আরো পড়ুন – cooking oil : রান্না করার সময় সচেতন হোন। রান্নার তেলের মধ্যেই লুকিয়ে আছে মহাবিপদ! জানেন কি?
আদিবাসী জনজাতির ওই ব্যক্তি এমন এক গোষ্ঠীকে বা প্রজন্মকে প্রতিনিধিত্ব করতেন যার তিনি একমাত্র প্রতিনিধি ছিলেন অর্থাৎ দ্বিতীয় কেউ ছিলনা। ফলে তিনি যে ভাষায় কথা বলতেন বা যে ধরনের আচরণ করতেন সেটা বোঝার ক্ষমতা বাকি পৃথিবীর কারোর ছিল না। তাই শুধু একলা আর একা নয়, দুয়ে মিলে তিনি নিঃসঙ্গ।
একলাই এসেছিলেন আর একলাই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন অন্য এক জগতে। হয়তো সেখানে গিয়ে এমন কাউকে পাবেন যিনি তার নিঃসঙ্গতা দূর করবেন আর দুজনের আলাপ আলোচনায় কথা উঠবে এই পৃথিবীর।