Breaking Bharat: লো ব্লাড প্রেসার (Low blood pressure)! শরীর ভালো রাখতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ কতটা জরুরি জানেন? একটু এদিক থেকে ওদিক হলে মৃত্যু অবধারিত! ইদানিংকালে মানুষ অনেক বেশি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে সচেতন। হাই ব্লাড প্রেসার এর সমস্যা থাকায় ওষুধ খান প্রায় প্রত্যেকে। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলছে সাবধান ! লো ব্লাড প্রেসার মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে (Low blood pressure can be dangerous)।
যত সময় যাচ্ছে মানুষ পারিপার্শ্বিকতার জালে জড়িয়ে পড়ছে। জীবন বাঁচতে গেলে সমস্যা এড়িয়ে বাঁচা সম্ভব নয়। আবার সমস্যার মোকাবেলা করতে গেলে শক্তিক্ষয়, আয়ুক্ষয়ও বটে। এই সব কিছু করতে গিয়ে যেটা হয়, সবার আগে রক্তচাপের একটা প্রভাব পড়ে।
মানুষের ব্লাড প্রেসার জনিত সমস্যা :
সে কারণে আজকাল শুধু বয়স্কদের নয় তরুণ প্রজন্মেরও বিশেষ সমস্যা হাই বা লো ব্লাড প্রেসার। ডাক্তাররা বলছেন হার্টের কোন সমস্যা কে হালকা ভাবে নেবেন না। একটু এদিক থেকে ওদিক হলে মৃত্যু অবধারিত , কিচ্ছু করার উপায় থাকবে না।
শরীরের হৃদস্পন্দন হৃদযন্ত্রকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। সিস্টেম এবং ডাস্টল এই রক্তচাপের দুই প্রকারভেদ কে ছোট থেকেই জীবন বিজ্ঞান বইতে পড়ে বড় হয়েছেন সবাই। ইদানিংকালে প্রত্যেকের বাড়িতেই প্রবীণ মানুষের ব্লাড প্রেসার জনিত সমস্যা রয়েছে (blood pressure problems)।
লো-প্রেশারের লক্ষণ কী (Low blood pressure):
তাই সাধারণভাবে সুস্থ মানুষের ১২০ বাই ৮০ রক্তচাপ হওয়া উচিত এ কথা সকলের জানা। তবে চিকিৎসকেরা বলেন বয়সের তারতম্যে কিছুটা হিসেব এদিক-ওদিক হতে পারে। তবে হঠাৎ প্রেশার কমে গেলেও বিপদ। ব্লাড প্রেসার কমে গেলে মস্তিষ্কে হৃদপিণ্ডে রক্ত সঞ্চালন কমে যায় যার ফলে যেখানে সেখানে যখন তখন অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
পাশাপাশি অবশ্য বমি বমি ভাব এবং দুর্বলতাও দেখা যায়। এরকম যদি হয় মানে হঠাৎ করে যদি ব্লাড প্রেসার কমে যায় তাহলে তৎক্ষণাৎ কী করবেন সেটা জেনে রাখা দরকার। শরীর সুস্থ রাখতে হলে সবার আগে দরকার প্রতিদিন নিয়মিত নিয়ম করে পর্যাপ্ত জল খাওয়া।
লো ব্লাড প্রেশারের অন্যতম কারণ হল ডিহাইড্রেশন:
সেরকম হলে ফলের রস খেতে পারেন। যাতে শরীরে জলের মাত্রা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি মেটানো যায়। এই বিষয়ে জেনে রাখা ভালো, চিকিৎসকরা বলেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লো ব্লাড প্রেশারের অন্যতম কারণ হল ডিহাইড্রেশন।
আরো পড়ুন – video games : ভিডিও গেম! আপনার জীবন বাঁচাবে এবং কমিয়ে দেবে মানসিক চাপ! কিভাবে?
হঠাৎ করে ব্লাড প্রেশার কমে গেলে চা অথবা কফি খেতে পারেন। কফিতে থাকা ক্যাফিন সাময়িকভাবে রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। শরীরে রক্তচাপকে ঠিক রাখতে গেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে। প্রতিদিনের ঘরোয়া খাবারের পাশাপাশি মাঝেমধ্যে মুখরোচক খাবারও চলতে পারে তবে পরিমানে বেশি নয়।
প্রেসার লো হলে কি হয় (low blood pressure symptoms):
কারণ মাথায় রাখতে হবে একটা খাবার খেতে গিয়ে একটা রোগ সারাতে গিয়ে অন্য কোন রোগের সৃষ্টি করছেন কিনা। মাথা ঘোরা, মাথা ঝিমঝিম করা, সর্বদা দুর্বল লাগা, মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়া, চোখে অন্ধকার দেখা ইত্যাদি সমস্যা লো ব্লাড প্রেসার এর লক্ষণ। অনেক পুষ্টিবিদরা তুলসী পাতা খাবার পরামর্শ দেন (low blood pressure treatment)।
আরো পড়ুন – Mandakini : ‘রাম তেরি গঙ্গা মইলি’ মানেই মন্দাকিনীর সাহসী দৃশ্য! এবার মুখ খুললেন মন্দাকিনী!
কারণ এর মধ্যে মধ্যে উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন সি রয়েছে যা ব্লাড প্রেশারকে নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও গবেষণা করে দেখা গেছে যে তুলসী পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, যা শরীরের জন্য উপকারী (low blood pressure emergency treatment at home)।
আরো পড়ুন – female child : কেন বাড়ছে শিশু কন্যা হত্যা? নির্লজ্জের মত বাড়ছে পুত্র সন্তানের চাহিদা?
একটা কথা বলা দরকার , বাড়িতে পারলে একটা রক্তচাপ মাপার যন্ত্র রাখুন । আর যদি কোনও কারনে বেশ কয়েকদিন ধরে আপনার বাড়ির অসুস্থ রোগী দুর্বল ভাব বা মাথা ঘোরার কথা বলেন তাহলে একটু বেশি করে নুন জল খাওয়াতে শুরু করুন। আর কোনও রিস্ক না নিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিন।