Breaking Bharat: শিল্পপতি নয়, নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে ‘রতন টাটা’ (Ratan Tata) প্রমাণ করতে চান! একলা হওয়া অন্য জিনিস আর একা থাকা অন্য ব্যাপার। তবে একাকিত্বের যন্ত্রণার চেয়ে ভয়ংকর আর কিচ্ছু হয় না। বিখ্যাত শিল্পপতি, রতন টাটা ঠিক এই ভাবনায় বিশ্বাসী।
তিনি কষ্ট করে বড় হয়েছেন সমাজ গড়তে চান সব সময়। তার নানা কাজকর্মের খবর দেশে-বিদেশে সকলের জানা। মধ্যবিত্ত মানুষকে গাড়ির আনন্দ দিতে ন্যানো গাড়ির আবিষ্কার তিনিই তো করেছিলেন। সব ক্ষেত্রে তা ফলপ্রসু হয়নি কিন্তু তাই বলে হার মানেন নি তিনি।
রতন টাকার নতুন বিজনেস স্ট্র্যাটেজি (Ratan Tata):
সব সময় চেয়েছিলেন কি করে মানুষকে ভালো রাখা যায় সেই চিন্তা-ভাবনা করতে। এবার বৃদ্ধাশ্রম-এর অর্থ বদলাতে চলেছেন তিনি। সম্প্রতি রতন টাকার নতুন বিজনেস স্ট্র্যাটেজি (Ratan Tata new business strategy) শুনলে চমকে যাবেন আপনি। খুশি হবেন বৃদ্ধাশ্রমে থাকা অসহায় বয়স্করাও।
রতন টাটা মানেই এমন কিছু যা গরিবের জন্য বেশ উপযোগী। সূত্র মারফত জানা যায় সম্প্রতি মুম্বইতে Goodfellow বলে এক স্টার্ট আপ কোম্পানিতে বড়সড় বিনিয়োগ করলেন রতন টাটা। বৃদ্ধাশ্রম মানেই স্যাঁত সাথে ঘর আর একাকিত্বের যন্ত্রনা। অনেক দূরে ছেলে মেয়ে নাতি নাতনিরা আলোর সন্ধানে এগিয়ে চলেছে।
রতন টাটা বুঝিয়ে দিলেন বৃদ্ধাশ্রমের মানে:
আর অসহায় হয়ে রয়েছেন বৃদ্ধ বৃদ্ধারা বাড়ি থেকে অনেক দূরে। রাজ্য তথা দেশ জুড়ে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা। আজকাল মানুষ বড়ই ব্যস্ত। সকলকেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে নিজের ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করতে। দৌড়ে যেতে হবে আগামীদির দিকে পিছনে ফিরে তাকানোর সময় নেই।
এই অন্ধকারেই পড়ে থাকে শিকড় গুলো। তবু তাদের ফেলে দেওয়া যায় না তাই বোধহয় নির্দিষ্ট একটা জায়গায় পৌঁছে দেওয়া। সেটা বৃদ্ধাশ্রম, সেখানে নতুন পরিবেশে বাড়ি ছেড়ে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা। চারপাশে সকলেই অনাহত , একটা বন্ধুত্ব তৈরি হয় বটে।
রতন টাটার নতুন বিজনেস পলিসিতে বৃদ্ধাশ্রম:
অনেক সময় ছেলেমেয়ে প্রবাসে চলে গেলে বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রাখা ছাড়া কোনো বিকল্প থাকে না, আবার কখনো হয়তো প্রবীণরা নিজেরাও এই বিকল্প বেছে নেন। খ্রিস্টপূর্ব ২২০০ শতকের কথা বলা হয় তখন থেকেই এই বৃদ্ধাশ্রম চালু। প্রথম চীন দেশে এইরকম একটা আলাদাভাবে রাখার ব্যবস্থা চালু হয়।
এবার গোটা বিশ্বে তা ছড়িয়ে পড়েছে। এর জন্য কি কারণ, এই নিয়ে একাধিক আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। সমাজের পরিবর্তিত মূল্যবোধ, পারিবারিক অবহেলা, কোনও কোনও ক্ষেত্রে সাংসারিক অশান্তিও প্রবীণ-প্রবীণাদের বাড়িতে থাকার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷
বর্তমান পরিস্থিতি তে দাঁড়িয়ে এই বৃদ্ধাশ্রম ভাবনাকে একটু অন্যরকম ভাবে ভাবতে চাইছেন রতন টাটা। বাড়ি ছেড়ে নতুন একটা জায়গায় বা এমন কোন জায়গায় থাকা যেখানে বাড়ির কোন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। এটা যন্ত্রণাদায়ক। রতন টাটার নতুন বিজনেস পলিসিতে বৃদ্ধাশ্রম (Old age in Ratan Tata’s new business policy) এর মানেটাই বদলে যেতে চলেছে। তিনি চাইছেন এবার একাকীত্বকে দূর করতে।
আরো পড়ুন – Govinda’s daughter : পার্টনার গোবিন্দার কন্যার সঙ্গে কী করলেন বলিউডের ভাইজান ? সম্পর্কে ফাটল?
সেই একাকীত্ব বৃদ্ধাশ্রমে থাকা অবহেলিত প্রতিটি মানুষের। এবার তার কোম্পানি কিছু যুবক যুবতীদের নিয়ে কাজ করবে যারা এইসব মানুষের কাছে গিয়ে তাদের বন্ধু হয়ে উঠবে। তাদের সঙ্গে গল্প করবে, পরিবারের স্বাদ ফিরিয়ে দেবে। অচেনা মানুষগুলো অচিরেই একে অন্যের চেনা হয়ে উঠবে।
আরো পড়ুন – Menstruation : শারীরিক সম্পর্কে মাসিক কি বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে? কোন সময় সহবাস করা নিরাপদ?
প্রসঙ্গত Goodfellow স্টার্ট আপ কোম্পানি ৬ মাস আগে শান্তনু নায়াডুর হাত ধরে প্রথম শুরু হয়। শান্তনু টাটা গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার, সেই সঙ্গে রতন টাটার দারুণ বন্ধুও বলা চলে। ধনকুবের রতন টাটা তার বন্ধুর সঙ্গে নতুন এই বিজনেসের কথা আলোচনা করার কিছুদিনের মধ্যেই এগিয়ে এলেন যাতে এই প্রতিষ্ঠানকেও বড় করে তোলা যায়।
আরো পড়ুন – Mothers breast milk : বাচ্চা ছোট্ট! তবুও মায়ের স্তনে যথেষ্ট পরিমাণে দুধ থাকে না? তাহলে উপায়?
একজন নাতি নাতনি তাদের দাদু ঠাকুমার ঠিক যেভাবে সময় কাটায়, সেই ভাবেই কিছু তরুণ যুবক যুবতী একাকী বয়স্ক মানুষদের সাথে সময় কাটাবে, খুনসুটি করবে, সিনেমা দেখবে, গল্প করবে। আবার কখনো ঘুরতে বেড়াতে নিয়ে যাবে, নিয়ে যাবে ডাক্তারের কাছেও।
আরো পড়ুন – Successful children : মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক! সফল সন্তান তৈরি করতে মায়ের ভূমিকা কতটা?
আপাতত সপ্তাহে তিনদিন ওই সংস্থার কর্মীরা সঙ্গ দেবেন যে কোনো গ্রাহককে। মাসিক চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করবেন তারা যার ফলে কোম্পানিতে কিছু বেকার যুবক যুবতী চাকরি পাবে আর সমাজেরও কল্যাণ হবে।
আসলে রতন টাটা এভাবেই অন্যরকম ভাবনায় বিশ্বাসী। আর ৪-৫ জন বড়লোক শিল্পপতিদের থেকে তাই তিনি আলাদা। কথা বলে দুঃখ ভাগ করলে কমে, আনন্দ ভাগ করলে বাড়ে।