Breaking Bharat: শারীরিক সম্পর্কে মাসিক কি বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে (Menstruation)? অনেকেই বুঝতে পারেন না মাসিকের আগে বা পরে কোন সময় সহবাস করা নিরাপদ। নারী দেহ নিয়ে পুরুষ নারীর দুইয়ের মনেই অনেক প্রশ্ন তাই না?
নারী পুরুষ উভয়ের মিলনে নতুন মানুষ আসে। তাকে নিয়ে আশা যেমন থাকে আশঙ্কাও থাকে। সবসময় সন্তান আসার জন্য মা-বাবা বা নারী পুরুষ তৈরি থাকেন না। সেক্ষেত্রে সন্তান ধারণের পরিস্থিতি তৈরি হলে বড় সমস্যা নেমে আসে জীবনে। কোন সময় সহবাস করলে সন্তান ধারণ সম্ভব আর কোন সময় নয় সেটা পরিস্কার ভাবে জানা দরকার।
মাসিকের আগে বা পরে কোন সময় সহবাস করা নিরাপদ?
মেয়েদের অন্যতম এক শারীরিক সমস্যা হল মাসিক। শুধু যে শরীর থেকে রক্তক্ষরণ হয় তা নয় খিটখিটে মেজাজ বিরক্তির আরেক কারণ। এই সময় কোন কিছুই ভালো লাগেনা। অনেকেই বুঝতে পারেন না মাসিকের আগে বা পরে কোন সময় সহবাস করা নিরাপদ। আজকে প্রতিবেদনে এই নিয়ে কিছু বিশেষ তথ্য রইল আপনাদের জন্য।
আজকের এই সমাজে দাঁড়িয়ে আমরা যতই আধুনিক হওয়ার বড়াই করি না কেন, এটা সত্যি কথা আজও সমাজ নারী পুরুষের সম্পর্ক মানেই তার মধ্যে নতুন মানুষ আসার ইঙ্গিত চান। তাই পুরুষ এবং নারীর মিলনের ব্যবস্থা করা হয় বিয়ের প্রথম রাত থেকেই। কিন্তু শরীরে একটা সিস্টেম আছে।
সেই সিস্টেমকে মেনে চলতে হবে তা না হলে কিছুই হবে না। আসলে মাসিক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা চক্র মেয়েদের জীবনে। এটা না থাকলে কোনভাবেই সন্তান উৎপাদন সম্ভব হবে না। তবে সন্তান উৎপাদনে অক্ষমতা মানেই সেটা নারীর কারণে হয় পুরুষের কোন দোষ নেই এই ধারণা যে ভ্রান্ত তা আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান প্রমাণ করে দিয়েছে।
মাসিকের বিষয়ে অনেকের স্পষ্ট ধারণা নেই। এমনকি ডিজিটাল বিশ্বের এই সময় দাঁড়িয়েও মাসিক মানেই একটা ট্যাবু আজও। প্রকাশ্যে নিয়ে কথা বলায় সমস্যা হয়। গুরুজনের সামনে নিয়ে আলোচনা করা নিষিদ্ধ অনেক জায়গায়। আর কতদিন এভাবে চলবেন বলুন তো?
ডাক্তাররা মাসিকের পরবর্তী কয়েকটি স্টেজের কথা বলেন। মাসিক ঠিক যখন শেষ হবে হবে সেই সময় কিন্তু যোনিতে সাদা স্রাব এক্কেবারেই যায় না। বলা যেতে পারে যোনিপথ কার্যত শুকনো থাকে। ফলে এই সময় যদি পুরুষাঙ্গের প্রবেশ ঘটে সেই যোনি পথে তাহলে সেই সময় গর্ভধারণের সম্ভাবনা অতি ক্ষীণ বলেই দাবি চিকিৎসকদের।
চিকিৎসকরা মনে করেন মাসিকের যে চারটি অবস্থা তার মধ্যে তৃতীয় এবং চতুর্থ অবস্থায় গর্ভধারণের ক্ষমতা এবং সম্ভাবনা সব থেকে বেশি থাকে। প্রথম অবস্থার কথা বলা হয়েছে এবার দ্বিতীয় অবস্থার কথা বলি যখন সাদা স্রাবের পরিমাণ কম থাকে। এই অবস্থায় সহবাস করলেও সন্তান ধারণের আশা প্রায় ১.৩ শতাংশের মতো। মানে নিশ্চিত করে বলা যাবে না।
এবার তারপর পরবর্তী স্টেজের কথা বলা দরকার। মাসিকের পর তৃতীয় অবস্থা শুরু হলে অর্থাৎ যোনি পথে সাদা স্রাবের আগমন ঘটলে তা বেশ ঘন এবং আঠালো হয়। এই সময় গর্ভধারণের সম্ভাবনা ২.৫ শতাংশ বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। এক্ষেত্রে কিছু জিনিস বলে রাখা দরকার।
আরো পড়ুন – Sholay : সিনেমা মানে আজও ” কিতনে আদমি থে” ডায়ালগ! এখনো জনপ্রিয়তা শীর্ষে কেন শোলে?
আসলে সাদা স্রাব নিয়ে অনেকের মনেই একটা ভুল ধারণা তৈরি হয়। সাদা স্রাবের নিঃসরণ কেমন হবে তা কিন্তু একেক জনের শরীরে একেক রকম। ভুলে গেলে চলবে না মাসুকের শেষের দিকে শরীরের তাপমাত্রা একটু বেড়ে যায় যার ফলে ডিম্বাণু ফ্যালেপাইন টিউবের মধ্যে এসে জমতে থাকে।
আরো পড়ুন – Mothers breast milk : বাচ্চা ছোট্ট! তবুও মায়ের স্তনে যথেষ্ট পরিমাণে দুধ থাকে না? তাহলে উপায়?
এই সময় ডিম্বাণুর সামনে যদি শুক্রাণু থাকে তাহলে তাদের মিলনে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ে। তবে মাসিকের তৃতীয় পর্যায়ে থেকে চতুর্থ পর্যায়ে পর্যন্ত টানা তিন থেকে চার দিন সহবাস করতে হবে প্রতি রাতে বা প্রতিদিনই। বলাই বাহুল্য দুটো মানুষ দুজনের শারীরিক সংস্পর্শের টানে এত নিয়ম মেনে বোধহয় সহবাস করতে পারেন না।
আরো পড়ুন – Successful children : মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক! সফল সন্তান তৈরি করতে মায়ের ভূমিকা কতটা?
কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, সন্তানকে সঠিক উপায়ে পৃথিবীতে আনতে গেলে কিছু নিয়ম মেনে চলা দরকার যাতে মা এবং সন্তান দুজনেই ভালো থাকেন। আপনি কি জানেন, নারী শরীরে একজন পুরুষের শুক্রাণু ৩ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু নারী শরীরে ডিম্বাণুর আয়ু মাত্র ২৪ ঘণ্টা মানে একদিন। কারও মাসিক যদি ১ তারিখে শুরু হয়, তাহলে ৮ তারিখ থেকে ওই মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত ফার্টাইল উইন্ডো।
আরো পড়ুন – Amitabh Bachchan : কুলি সাজতে গিয়ে বলিউডের মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চনের বড় দুর্ঘটনা! তারপর কী হল?
অর্থাৎ এই সময়ে সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেশি। তবে সব সময় এই নিয়ম কার্যকরী হয় না কারণ এই সময়ের মধ্যে ডিম্বাণু না বের হলে গর্ভধারণ হবে না। সেক্ষেত্রে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া দরকার।