Breaking Bharat: বাচ্চা ছোট্ট! তবুও মায়ের স্তনে যথেষ্ট পরিমাণে দুধ থাকে না (Mothers breast milk)? তাহলে উপায়? ছোট্ট বাচ্চা সে এত কি করে বুঝবে? নতুন মানুষ এসেছে পৃথিবীতে? জানেন তো কিভাবে তাকে লালন করতে হবে?
শিশু জন্ম নেওয়ার পর সব থেকে আগে দরকার তার মায়ের বুকের দুধ খাওয়া। বাচ্চার পরিপূর্ণ পুষ্টি তাতেই মিলে। অনেকেই খুব কম বয়সে মা হয়ে যান। সেক্ষেত্রে তারা বুঝতে পারেন না কিভাবে সন্তানের যত্ন নেবেন। সে ক্ষেত্রে অনেক সময় সমস্যায় পড়তে হয়। অনেকে আবার বেশি বয়সী মা হন।
ব্রেস্ট ফিট করাবার মত স্তনে যথেষ্ট পরিমাণে দুধ থাকে না?
সেক্ষেত্রে ব্রেস্ট ফিট করাবার মত স্তনে যথেষ্ট পরিমাণে দুধ থাকে না। কিন্তু ছোট্ট বাচ্চা সে এত কি করে বুঝবে? স্বভাবতই পরিপূর্ণ পুষ্টি মেলে না তাই সমস্যা শুরু হয় ছোট থেকেই।
শিশুকে পরিপূর্ণ খাবার না দিতে পারলে সে ঠিক করে বেড়ে উঠতে পারে না। শিশুর শারীরিক এবং মানসিক বিকাশের জন্য মায়ের দুধ খাওয়া দরকার। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে যেসব শিশুরা জন্মের পর থেকে প্রায় অন্তত ৬ মাস বয়স পর্যন্ত একটানা মায়ের বুকের দুধ খান তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় (Mother’s breast milk increases their immune system)।
মায়ের বুকের দুধ খেলে বাচ্চার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে:
বিশেষ করে পেটের গোলমাল জাতীয় সমস্যা খুব একটা আসে না। যারা মায়ের বুকের দুধ খেয়ে বড় হন তাদের হজমের সমস্যা অনেক কম হয়। এই সবটাই ডাক্তাররা বিভিন্ন জার্নালে উল্লেখ করে থাকেন। একটা বিষয় মাথায় রাখা দরকার তা হল বাচ্চার ক্ষেত্রে সঠিক ওজনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
মায়ের বুকের দুধ খেলে বাচ্চার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু ছোট থেকেই যদি বাইরের দুধ অর্থাৎ প্যাকেট যত দুধ খাওয়ানো হয় তাহলে তার মধ্যে থাকা কেমিক্যাল শিশুর শরীরের মারাত্মক প্রভাব ফেলে। অনেক ছোট বাচ্চাকে দেখা যায় বয়সে তুলনায় তার ওজন বৃদ্ধির সমস্যায় ভুগছেন মা-বাবা।
অন্তত বছর দুই মায়ের দুধ খাওয়ানো দরকার (breastfeed):
আর ওজন যদি অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে তাহলে ছোটবেলা থেকেই একাধিক রোগে আক্রান্ত হয় শিশু। হাঁপানি, ডায়াবিটিস, হাই প্রেসারের মটু সমস্যা ও তৈরি হয়ে যায় একটু বড় হতে না হতেই। ডাক্তাররা বলেন অন্তত বছর দুই মায়ের দুধ খাওয়ানো দরকার (Mother needs to breastfeed)। এক্ষেত্রে শুধু বাচ্চার নয় মায়ের জন্যও এটি অত্যন্ত উপকারী। শারীরিকভাবে বুকে দুধ তৈরি হতে প্রচুর ক্যালরি খরচ হয়।
হলি অন্তঃসত্ত্ব থাকাকালীন যে মেয়েদের সঞ্চয় হয় সেই অতিরিক্ত মেদ ঝরে যায় এই পরিশ্রমের ফলে। পাশাপাশি টানা বুকের দুধ খাইয়ে গেলে ভবিষ্যতে ওভারি ও ব্রেস্ট ক্যান্সারের আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আর শুধুই কি তাই এতে সন্তান এবং মায়ের মধ্যে সম্পর্ক আরো গভীর হয়।
মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর পদ্ধতি :
এবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা দুধ খাওয়ানোর পদ্ধতি সম্পর্কে (Method of breastfeeding mother)। সাধারণত জন্মের পরই শিশুকে তার মায়ের পাশে শুইয়ে দেয়া হয় যাতে তার ঘ্রাণ শক্তির শুরুতেই মায়ের গন্ধ নাকে লাগে। প্রথম মা হওয়ার পর হয়তো উঠে বসে দুধ খাওয়াতে সমস্যা হতে পারে সে ক্ষেত্রে শুয়ে শুয়ে দুধ খাওয়ান তাতে কোন অসুবিধা হবে না।
আরো পড়ুন – Govinda’s daughter : পার্টনার গোবিন্দার কন্যার সঙ্গে কী করলেন বলিউডের ভাইজান ? সম্পর্কে ফাটল?
একটা কথা বলে রাখা দরকার এই সময়ে স্টোন থেকে যে দুধ মিশ্রিত হয় তার মধ্যে একটা আঠা ভাব থাকে। আসলে এই সময় কলোষ্ট্রাম নামের যে আঠালো দুধ আসে বুকে, সন্তানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুন কার্যকরী।
যদি দেখেন স্তনবৃন্তে ব্যথা লাগছে?
বাচ্চার স্বাভাবিক প্রবৃত্তিতেই আপনার স্তন থেকে দুধ খেতে শুরু করবে যদি দেখেন তার কোন সমস্যা হচ্ছে তাহলে নিজের চেষ্টা করুন আপনার স্তন বৃন্তকে তার মুখের মধ্যে প্রবেশ করাতে। দেখবেন সহজাতভাবে সে চুষতে শুরু করবে। সেই টানে দুধ বেরোবে। যদি দেখেন স্তনবৃন্তে ব্যথা লাগছে, বুঝবেন কিছু সমস্যা হয়েছে।
আরো পড়ুন – Successful children : মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক! সফল সন্তান তৈরি করতে মায়ের ভূমিকা কতটা?
সেক্ষেত্রে বাচ্চার মুখ আপনার স্তন বৃদ্ধ থেকে সরিয়ে নিন আর জরুরী ভিত্তিতে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। যদি দেখেন এইভাবে দুধ খাওয়াতে গিয়ে বুকে কোন সমস্যা হচ্ছে তাহলে স্ত্রী বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলা দরকার। পরবর্তীকালে বসে দুধ খাওয়ানোর সময় শিরদাঁড়া সোজা রাখুন।
আরো পড়ুন – Amitabh Bachchan : কুলি সাজতে গিয়ে বলিউডের মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চনের বড় দুর্ঘটনা! তারপর কী হল?
কোমর ও পিঠের কাছে বালিশ বা কুশনের সাপোর্ট দিন, তাহলে দেখবেন ভবিষ্যতে পিঠ কোমরের ব্যথায় কষ্ট পাবেন না। আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরনের টিউটোরিয়াল দেওয়া হয়। চেনা স্রোতে গা ভাসানো নয় যা করতে হবে সবটাই ডাক্তারের পরামর্শ মেনে।