Breaking Bharat: কপালে না থাকলে ঘি (Ghee), ঠকঠকালে হবে কি? জানেন তো এই প্রবাদ, কিন্তু ঘি সম্পর্কে কতটা জানেন বলুন দেখি! কপালে ঘি মানে অবশ্যই ভালো খবর,ভালো দিন ভালো সময় বটে। কিন্তু ওই যে বিষয়টা কপালের। ভাগ্য যদি সহায় না হয় তাহলে ভালো থাকাটা সম্ভব হয় না। তবে হ্যাঁ ভালো ঘি খেতে এবং পেতে গেলে তার সম্পর্কে জ্ঞান থাকা দরকার।
প্রাচীন কাল থেকেই ঘি খাওয়ার একটা রীতি এই ভারতে চলে এসেছে। মুনি ঋষি থেকে শুরু করে আজকের প্রজন্ম, ঘি এর প্রতি প্রেম সবার আছে। অনেকের আবার সহ্য হয় না দুগ্ধ জাত এই প্রোডাক্ট। নানা চলতি কথাবার্তায় উপমা হিসেবে এই ঘি কে ব্যবহার করা হয়।
খাঁটি ঘি দরকার (Pure ghee is required):
এই ঘি ভাত খেয়ে গন্ধ শুঁকতে হবে থেকে শুরু করে কুকুরের পেটে ঘি ভাত সহ্য হওয়ার গল্প পর্যন্ত। একটু খানি ঘি মানেই চূড়ান্ত পর্যায়ে রসনা তৃপ্তি। তবে তার জন্য খাঁটি ঘি দরকার (Pure ghee is required)। আজকালকার দিনে ভেজাল খাবার আর মেকি মুখরোচক খাবারের দুনিয়ায় খাঁটি খাবার পাওয়া মুশকিল।
বহু কোম্পানি তাদের তৈরি ঘি বাজারজাত করে বেস্ট প্রোডাক্ট বলে। কিন্তু তার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। সবটাই যে উদ্দেশ্য প্রণোদিত তা নাও হতে পারে। আসলে বাইরের চাহিদার সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রেখে অনেকদিন ধরে চলতে থাকা ধারণা আর পরিশ্রমকে ধূলিসাৎ করে লাভের আশায় নিয়ে আসা হয় পরিবর্তন।
আজকাল ঘি তৈরী করতে গিয়ে কৃত্রিম রং ?
আপনি আমি আমরা অনেকেই হয়তো জানি না যে বেশি লাভের জন্য আজকাল অনেক ব্যবসায়ীরা ঘি-এর সঙ্গে কিছু আলাদা ধরনের ফ্যাট মিশিয়ে থাকেন। এই ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি জনপ্রিয় হাইড্রোজিনেটেড ফ্যাট,নাম টা আপনার অজানা মনে হলেও, বাজার চলতি নাম জানলে অবাক হবেন।
হ্যাঁ আমরা বলছি ডালডার কথা। লোকে এই হিসাবে চেনেন। আজকাল ঘি তৈরী করতে গিয়ে কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হচ্ছে। কিছু কিছু সময় ভেজালের পরিমাণ এতটাই বেশি হয় যে ধরুন প্রায় ১ কেজি ঘি এর মধ্যে ৬০০ গ্রাম পরিমাণে ডালডা ও ৩০০ গ্রাম পাম তেল ব্যবহার করা হয়। তাহলে ভাবুন বাকী আর রইল কী? হ্যাঁ ঐটুকু খাঁটি ঘি থাকে, নাহলে ক্রেতা যে বুঝে যাবেন।
একদিকে ডাক্তারেরা বলছেন খাঁটি জিনিস না খেলে শরীর বাড়বে সমস্যা, আর অন্যদিকে ভেজাল জিনিস পরিবেশন করা হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে। মেডিকেল সায়েন্স বলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে এবং হৃদরোগ কমাতে ঘি সাহায্য করে। আপনি অবাক হবেন এটা জানলে যে হজম শক্তি বাড়াতে ঘি দারুণ কার্যকরী।
বিশুদ্ধ ঘি ক্যান্সারের সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়? (Pure ghee):
অনেকের হয়তো অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে ঘি খেলে মানে ল্যাকটোজ প্রোডাক্ট খেলে অসুবিধা হতে পারে। অনেকের অ্যালার্জি হয়। তবে আপনাকে জানাই অ্যালার্জির আসল কারণ হল দুধের ল্যাকটোজ শর্করা। যাদের দেহে ল্যাকটোজ সহ্য করার ক্ষমতা কম তারা এই সমস্যায় ভোগেন।
আরো পড়ুন- Sleeping late : সারাদিন গা ম্যাজম্যাজ, শরীরে ক্লান্তি? সাবধান! সকালবেলা কখন ঘুম থেকে উঠছেন?
কিন্তু মনে রাখতে হবে ঘি বানানোর সময় বারবার দুধে জ্বাল দেওয়া হয় এর ফলে এতে থাকা ল্যাকটোজ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। তাই যদি অন্যান্য ডেয়ারি প্রোডাক্ট আপনি না খেতে পারেন, তাহলেও নির্দ্বিধায় ঘি খেতেই পারেন আর সেটাও তৃপ্তি করে। আপনি শুনলে অবাক হবেন যে বিশুদ্ধ ঘি ক্যান্সারের সম্ভাবনাও অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
কিন্তু ঘি খাঁটি কিনা বুঝবেন কি করে?
এতে রয়েছে বিভিন্ন রকম অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, বিশেষ করে ভিটামিন ই। কিন্তু ঘি খাঁটি কিনা বুঝবেন কি করে? এক চামচ ঘি নিয়ে আগুনের সামনে ধরুন, যদি সঙ্গে সঙ্গে ঘি গলে যায়, তাহলে খাঁটি ঘি খাচ্ছেন। বাড়িতে নিশ্চয়ই নারকেল তেল আছে? ঘি এর সঙ্গে মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন।
আরো পড়ুন- Drone : হাতের কাছে ওষুধপত্র পৌঁছে দেবে ড্রোন? অনলাইন ডেলিভারির দুনিয়ায় অত্যাধুনিক যন্ত্র!
যদি দেখেন দুটো স্তর তৈরি হয়েছে তাহলে বুঝবেন আপনার ঘি ভেজাল। আরো দুটো ঘরোয়া পদ্ধতির কথা বলছি। এক চামচ ঘি নিয়ে হাতের তালুতে রেখে দিন। ঘি যদি খাঁটি হয় শরীরের তাপমাত্রায় গলবে। তাতেই বুঝতে পারবেন। হাতে নিয়ে ঘি নিয়ে রগড়াতেও পারেন।
আরো পড়ুন- child in womb : গর্ভে সন্তান এলে অনেকেরই যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে ইচ্ছে হয় কিন্তু সেটা কি সম্ভব?
যদি কিছুক্ষণ পর আর গন্ধ না আসে ,তাহলে বুঝবেন খাঁটি নয়, ভেজাল ঘি এসেছে আপনার বাড়িতে (Adulterated ghee has arrived at your home)। আপনি ডাহা ঠকে গেছেন। তাই এবার থেকে বাড়ির বয়স্কদের বা শিশুদের ঘি খাওয়াবার আগেই তা ভেজাল কিনা পরীক্ষা করে নিন।