Breaking Bharat: পুরুষদের বন্ধ্যত্বের (Male infertility) ফলে সন্তান জন্ম দিতে পারছেন না? তাহলে কি স্বামী স্ত্রী শারীরিক মিলনে ব্যর্থ? সন্তান স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে সমস্যা? নতুন মানুষকে পৃথিবীর আলো দেখাতে পারছেন না? সমাজের কাছে প্রতি মুহূর্তে হেনস্থা সহ্য করতে হবে বুঝি?
ভালো থাকতে চায় সবাই, কিন্তু ভালো থাকতে গেলে হাজার একটা বাধা জীবনকে স্তব্ধ করে দেয়। সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে গেলে জীবনে একটা পরিবর্তন প্রয়োজন হয়। বুঝতে হবে কোনটা সবথেকে বেশি প্রয়োজন আর কোনটা কম।
পুরুষদের বন্ধ্যত্বের মূল কারণ কি? (Male infertility):
সমাজের চিরাচরিত একটা ধারণা যেন পুরুষ নারীর সম্পর্কের মধ্যে কেন্দ্রীভূত হয়ে আছে। নারী পুরুষকে ভালোবেসে দাম্পত্য জীবন এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর এখানেই আসবে পৃথিবীর সব থেকে সুন্দর উপহার। সন্তান বদলে দেয় জীবনের দৃষ্টি ভঙ্গি। অনেকেই বিশ্বাস করেন যে সন্তান স্বামী এবং স্ত্রী এর মধ্যে সেতু হিসেবে কাজ করে। যদি সেখানে সমস্যা হয় তাহলে হাতের কাছেই আছে সমাধান।
আসলে জীবন মানে বংশ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এক দারুণ প্রবণতা। তাই যেন সন্তান ধারণ বাধ্যতামূলক। অন্তত এমনটাই মনে করে সমাজ। কিন্তু যারা সেটা পারেন না, তারা মনে করেন পৃথিবীতে তাদের মত দুর্ভাগ্যজনক বোধহয় কেউ নেই। এর থেকে তৈরি হয় অবসাদ।
সম্পর্কের মধ্যে ভাঙ্গন আসা যেন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। অনেক আশা ভরসা নিয়ে স্বামী স্ত্রী শারীরিক মিলনে সম্মত হয়। কিন্তু সুন্দর এই সৃষ্টিকে সৃষ্টি করতে যদি শরীর সায় না দেয়? যদি কাছে আসার ইচ্ছেটুকু তৈরি না হয় তাহলে? আবার যদি ধরুন সন্তান ধারণের ক্ষমতা না থাকে পুরুষ বা নারী কোন একজনের, তাহলেও সেক্ষেত্রে সংসারে নেমে আসে অশান্তি।
কিন্তু সমাজ এই বিষয়ে পুরুষ নয় বরং নারীর দিকেই আঙ্গুল তোলে । যেন ধারনা করেই নেওয়া হয় নারীর অক্ষমতার কারণেই বংশ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি নারীর চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তবে এসবের কোন ভিত্তি নেই কারণ সমস্যা যে কোন লিঙ্গের হতে পারে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রথমেই কারণ খুঁজে বের করতে হবে আপনাকে।পুরুষদের বন্ধ্যত্বের মূল কারণ হলো পর্যাপ্ত পরিমান সম্পন্ন শুক্রাণু তৈরিতে ব্যর্থতা। মাথায় রাখা দরকার শুক্রাশয়ের ত্রুটির কারণে এই সমস্যা হয়ে থাকে। যদি কোনো কারণে শুক্রাণু তৈরি ব্যাহত হয়, যেমন জিনগত ত্রুটি, ভেরিকোসেলি, টেসটিসের টিউমার ইত্যাদি।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া জনিত কারণেও সাধারণ পদ্ধতিতে শুক্রাণু তৈরি বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে। পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের ক্ষেত্রেও বন্ধ্যাত্ব জনিত সমস্যার সৃষ্টি হয় (Infertility problems also occur in women)। যে কারণে সঠিকভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডিম্বানু গঠন হয় না।
পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে কিছু হরমোনের অস্বাভাবিক মাত্রায় নিঃসরণ ডিম্বাণু তৈরির প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। কিডনির সমস্যা, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার এসব তো আছেই । পাশাপাশি প্রিমেচিউর ওভারিয়ান ফেলিওর হলেও ডিম্বাশয় আক্রান্ত হয়।
সমস্যা যদি তৈরি হয় তাহলে সমাধানের রাস্তা খুঁজে বের করতে হয় যত তাড়াতাড়ি । তা না হলে বিপদ বাড়ে। সেক্ষেত্রে ঘরোয়া উপায় সমাধান খুঁজে পেতে চান সবাই। সেরকম কিছু উপায় এর কথা বলব। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন ফলের মধ্যে কিছু উপকারী উপাদান লুকিয়ে আছে, যা খেলে বন্ধ্যাত্ব দূর হতে পারে।
আরো পড়ুন- Kashmiri girls : ভূস্বর্গ ভয়ংকর! সেখানেই কি নরক দর্শন নারীর? কাশ্মীরি নারীদের অবস্থা কি জানেন?
বেদানা এমন একটি ফল যা প্রতিদিন খেলে রিপ্রোডাক্টিভ ফ্লুইডের গুণমান বাড়ে। সেই জন্য ডাক্তাররা অনেক সময় এই ফল খাবার কথা বলে থাকেন। পাশাপাশি ভুলে গেলে চলবে না যে বেদানা পলিফেনল সমৃদ্ধ। এর ফলে রক্তচাপ জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আরো পড়ুন- Detective Storys : গোয়েন্দাদের দেখতে সিনেমা হলে যান ? কদর কমল নাকি সত্যান্বেষী রহস্য সন্ধানীদের?
মস্তিষ্কে যদি রক্ত সঞ্চালন সঠিকভাবে হয় তাহলে এমনিতেই অনেক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় । মস্তিষ্ক এবং হৃৎপিণ্ড যদি সুস্থ থাকে তাহলে শরীরের বাকি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সঞ্চালন ভালো হয়। এই বিষয়ে সবজির কথা উল্লেখ করতে হয়। আপনি কি জানেন আয়ুর্বেদে সজনে ডাঁটাকে ‘শুক্রকৃত পরম’ বলা হয়েছে? শুক্রাণু ডিম্বানুকে বাড়াতে এটি সাহায্য করে।
আরো পড়ুন- iPhone : আইফোন কী ভাবে এত স্পেশাল হল? জনপ্রিয়তার শীর্ষে আইফোন! রহস্যটা কী?
তবে কাঁচা খাওয়া একদম ঠিক নয়, রান্না করার পর পুষ্টিগুণ সবচেয়ে ভাল পাওয়া যায়। আফ্রিকার একটি জার্নালে বলা হয়েছে খেজুর সন্তান ধারণের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় পুরুষদের। এটিকেও আয়ুর্বেদের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে ধরা হয়। মাসকলাই আর বার্লি স্যুপ খাওয়াও উপকারী মনে করেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা।