Breaking Bharat: পারফেক্ট জীবন (Perfect life) মানে ঠিক কেমন? পরিমিত খাবার মানে কতটা পরিমাণ বোঝায়? জীবন বেঁচে থাকার অপর নাম। কিন্তু বাঁচতে গেলে কিছু প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করতে হয় জীবনকে। তবেই সেটা হয় পারফেক্ট লাইফ। এটা তৈরি করা খুব একটা সহজ নয়।
পকেট ফ্রেন্ডলি রোজগার আর তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ জীবন যাপন – বিষয়টা বলতে যতটা সহজ কার্যক্ষেত্রে তার প্রয়োগ ততটাই কঠিন। ছোট্ট একটা উদাহরণ দিলে বুঝতে পারবেন। ধরুন ১০০ টাকার জায়গায় আজ দেড়শ টাকা রোজগার করলেন। স্বভাবতই অতিরিক্ত টাকাটায় ভালো মন্দ কিছু খেতে ইচ্ছে করতেই পারে।
লোভে পড়ে এমন কিছু খেলেন যাতে উল্টে শরীর খারাপ হলো আর অনেক বেশি টাকা বেরিয়ে গেল। এটাকে তো পারফেক্ট বলতে পারবেন না। আবার ধরুন সঞ্চয় করতে গিয়ে খাবার দাবারের পরিমাণটা একেবারেই কমিয়ে দিলেন, স্ট্রিক্ট ডায়েটে চলে গেলেন তাতেও তো শরীর খারাপ হবে। সাথে কি আর বলে জীবন রহস্যময়!
ভালোভাবে বাঁচতে গেলে খাওয়া দাওয়ার পরিমাণটা সঠিক এবং যথোপযুক্ত হওয়া দরকার। দেহ যদি উপযুক্ত পরিমানে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, ফ্যাট না পায় তাহলে সে সুস্থ থাকতে পারে না। এখন সমস্যা হচ্ছে এই দুটোকে তাল মিলিয়ে চলা। খাবারের রুটিন ঠিক না হলে একাধিক রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে (Multiple diseases can take root in the body)। সেলিব্রেটি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ প্রত্যেকেই এইসব অসুখের শিকার।
আর সব থেকে অবাক করার মত বিষয় হলো অনেকেই এই বিষয়ে অবগত নন। কেউ খেতে ভালোবাসেন তাই প্রচুর খান। এর ফলে শরীরে মেদ বাড়ে ,পেট প্রসারিত হয়, তৈরি হয় সমস্যা। আবার স্ট্রিক্ট ডায়েট ফলো করতে গিয়ে অনেকেই পুরোপুরি শাক সবজির দিকে ঝুঁকে পড়েন।
এতে শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিন ফ্যাট মেলে না। এইসবের সঙ্গে বয়স, লাইফ স্টাইল, মানসিকতা এই সব বিষয়গুলি সমস্যা আরও বাড়িয়ে তোলে। এড়িয়ে গেলে চলবে না, সময় থাকতে চিকিৎসকের পরামর্শ এবং সঠিক সময়ে চিকিৎসার প্রয়োজন। তবেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সহজ হবে।
এই বিষয়ে কিছু রোগের নাম উল্লেখ করা দরকার। প্রথমেই বলি, অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসা রোগের কথা। চিকিৎসকেরা বলেন বয়ঃসন্ধিকালে বা যৌবনে এই রোগের সূত্রপাত। পরিসংখ্যান বলছে, পুরুষদের তুলনায় মহিলারা বেশি আক্রান্ত হন। এই রোগের লক্ষণ হল, রোগী নিজেকে মোটা ভাবেন।
অর্থাৎ প্রতিমুহূর্তেই তার মনে হয় তিনি অতিরিক্ত ওজন বহন করছেন। যার ফলে নির্দিষ্ট কিছু ধরনের খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলেন, আর এখান থেকেই তৈরি হয় সমস্যা। হঠাৎ করেই দেহে ক্যালোরির পরিমাণ মারাত্মকভাবে কমে যেতে থাকে। এবার আরেকটা রোগের কথা বলি।
অ্যানোরেক্সিয়ার মতো আরও একটি রোগ হল বুলিমিয়া। সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালের একেবারে প্রথম দিকে এই রোগ দেখা যায়। সাধারণত মহিলাদের এই রোগ বেশি হয়। এই রোগের ক্ষেত্রে দেখা যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা নির্দিষ্ট টাইমের মধ্যে প্রয়োজনের বেশি সময়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে খাবার খেয়ে ফেলে।
আরো পড়ুন- Caviar fish : ৩০ গ্রাম ওজনের মাছের দাম ১৮ হাজার টাকা? কি সেই মাছ ?
আর সেটা তারা বুঝতেই পারেন না। যতক্ষণ বোঝেন ততক্ষণ অস্বস্তি শুরু হয়ে যায়। আরেকটি খাদ্যাভ্যাসজনিত রোগের নাম পিকা। বিষক্রিয়া, সংক্রমণ, অন্ত্রের সমস্যা এবং পুষ্টির অভাবে ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে, যদি কারোর এমন রোগ হয়। তাই সাবধান হওয়া দরকার।
আরো পড়ুন- Brain death : ৯ মাসের অন্তঃসত্তার ব্রেন ডেথ, সুস্থভাবে জন্ম নিল যমজ ফুটফুটে দুই সন্তান!
এই খাওয়ার অভ্যাসজনিত রোগের কারণ সেভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে মনস্তাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞরা এই নিয়ে তাদের সুষ্পষ্ট মতামত জানান। তাদের মতে মহিলা এবং পুরুষ প্রত্যেকেই নিজেদের চেহারা আর শারীরিক গঠন নিয়ে বেশ সচেতন। নিখুঁত শরীর আর সুন্দর চেহারা পেতে গিয়ে এমন অনেক কাজ করেন অনেকে যাতে বিপদ বাড়ে।
আরো পড়ুন- Zion Clark : অদম্য শক্তি থেকেই পা না থাকা সত্ত্বেও বিশ্ব জয় করলেন জিওন ক্লার্ক? কীভাবে?
আসলে উদ্বেগ , মানসিক টেনশন, আত্মবিশ্বাসের অভাব এই সব থেকেই সমস্যা তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে সবার আগে দরকার ডাক্তারের কাছে যাওয়া। কারণ সুস্থ শরীর রাখতে ভালো জীবন যাপন করতে আপনার দরকার পারফেক্ট নিয়ম মেনে চলা। একটা ভালো খাদ্যাভ্যাস থেকে জীবন গড়া যায় সুন্দর ভাবে। যত কম অসুস্থ হবেন তত বেশি কাজ করতে শিখবেন, আর ভালো ভাবে বাঁচবেন। তাই না?