Breaking Bharat: ডাল ভাত খেতে ভালোবাসেন? এবার কিন্তু ডাল খেলেই মহাবিপদ! ডালে ঝোলে অম্বলে কুপোকাত বাঙালি (Dal Bhat)? কোথায় সমস্যা হচ্ছে বলুন তো? আপনি কি জানেন যেটা সবথেকে বেশি নিরাপদ বলে মনে করা হয় অর্থাৎ ডাল ভাত সেখানেই বড় বিপদ লুকিয়ে আছে? ডাল খেয়েই আপনার জীবনে অনেক বড় ‘কাল’ নেমে আসতে পারে!
বাঙালি মাত্রই খেতে ভালোবাসেন। আহা, ভালো খাওয়া না হলে কি আর জীবন বাঁচা যায়? তবে খেতে গেলেই হাজারটা বিপত্তি। আজ এটা সমস্যা, কাল ওটা- আর একটু এদিক ওদিক হলেই ব্যাস গড়বর। সোজা ডাক্তারের কাছে গিয়ে নাম লেখাতে হয়। তাই খাবারের ব্যাপারে একটু সচেতন হয়ে নিয়ম মেনে চললে সেই ভয়টা থাকে না।
প্রতিটি প্রতিবেদনে অবাক করা কিছু তথ্য বিভিন্ন সূত্র থেকে খুঁজে বের করে আপনাদের সামনে উপস্থাপিত করি আমরা। আজকে কথা বলব ডাল নিয়ে। একেবারে ঠিক শুনেছেন বাঙালির প্রিয় ডাল নিয়ে আজ কথাবার্তা। রোজকার পাতে মুগ বা মুসুর ডাল আছে। আর যদি কোন অনুষ্ঠান বাড়ি হয় তাহলে বিউলির ডাল, মটর ডাল এবং অড়হর ডালের জুড়ি মেলা ভার।
কি ঠিক বলছি তো ? মনে পড়ে যাচ্ছে অনুষ্ঠান বাড়ির দুপুরের খাওয়া দাওয়া? আসলে এই রান্নাটা এমনই যা নিরামিষ এবং আমিষ দুভাবেই আপনার প্লেটে চলে আসতে পারে। ডাল সাধারণত নিরামিষ বলেই ধরা হয়। তবে অনেকে একাদশীর দিন বা ষষ্ঠীর ব্রত পালন করার সময় মুসুর ডাল খান না।
এটিকে আমিষ বলে ধরা হয়। তবে এই ডাল অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয় বলছেন চিকিৎসকেরা। ডালের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন থাকে (Pulses are rich in protein) যা শরীরের জন্য উপকারী। পাশাপাশি ভুলে গেলে চলবে না যে রোগীদেরও পথ্য হিসেবে সেদ্ধ ডাল খেতে বলা হয়। শুধু যে প্রোটিন এমনটা নয় ফাইবারের অভাব ও পূরণ করে ডাল।
কিন্তু ফাইবার বা তন্তু জাতীয় খাবার খেলে একদিকে যেমন হজম শক্তির উন্নতি হয় দেহের গঠন সুঠাম হয় কিন্তু পাশাপাশি এর বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। প্রচুর পরিমানে ফাইবার খেলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে। কারণ শরীরে পর্যাপ্ত জল না থাকলে মলত্যাগ করার সময় নানাবিধ সমস্যা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
আপনি যখনই শস্য জাতীয় খাবার মানে দানা জাতীয় খাবার বেশি খাবেন তখনই শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দেবে। কিন্তু প্রয়োজন মত জল না খেলে সেই খাবার যা আপনি দুপুরে বাড়াতে গ্রহণ করছেন তা সঠিকভাবে পাকস্থলীতে গিয়ে পচন হবে না। আর যদি খাবার ঠিকমতো পাকস্থলীতে পচন না হয় সে ক্ষেত্রে পেটের গোলমাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবেই। আরেকটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
আরো পড়ুন- Sathi : সুপারস্টার জিতের বাংলা ছবি ‘সাথী’ সিনেমার নেপথ্যের ইতিহাস আজও অজানা?
যারা মনে করেন ডাল খেলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, প্রচুর প্রোটিন পেয়ে যাবে শরীর তাদের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। এই বিষয়ে সবার আগে বলতে হয় মিথিওনাইন প্রোটিনের কথা। শরীরের মধ্যে প্রোটিনের মাত্রা ঠিক রাখতে এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু এই উপাদানটি ডালের মধ্যে সঠিক পরিমাণে থাকে না।
তাই বুঝতেই পারছেন ডাল খেয়ে দেহের সমস্ত প্রোটিনের চাহিদা মিটে যাবে এটা ভাবা ভুল। আরেকটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে যেহেতু ডাল ডানা শস্য অর্থাৎ ফাইবারের চাহিদা পূরণ করে সেক্ষেত্রে যারা বেশি করে ডাল খান তাদের ওজন কমে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে। যাদের ওজন বেশি সেই কারণে সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য ব্যাপারটা ঠিকঠাক ।
আরো পড়ুন- walking : প্রচুর পরিমাণে হাঁটাচলা করলে নাকি শরীর সুস্থ স্বাভাবিক থাকে, কী লাভ হাঁটাচলা করে?
কিন্তু যারা এমনিতেই ওজন কম হওয়ার জন্য ডাক্তার দেখান বা ওষুধ খান তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু এটা বিপজ্জনক ।অতিরিক্ত ডাল তারা কখনোই খাবেন না। ডাল থেকে আবার অনেকের মাথার যন্ত্রনা বিশেষ করে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়তে পারে। অনেকের আবার অ্যালার্জি তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে সবার আগে ডাক্তারি পরামর্শ বাঞ্ছনীয়।
সবকিছুর একটা ভালো মন্দ দুটো দিকই থাকে তাই খারাপ এবং ভালো দুটোকে নিয়েই শরীরের সুষম খাদ্য তালিকা তৈরি করা প্রয়োজন। তার মানে এটা নয় খারাপ খাবার খেয়ে আপনি রোগে ভুগবেন। এমনটা আমরা কখনোই বলতে চাই না। আসলেই সবকিছুর মধ্যে একটা সুন্দর ব্যালেন্স থাকা জরুরী।
আরো পড়ুন- Bad Dreams : ঘুমের মধ্যে মাঝরাতে যতসব আজে বাজে দুঃস্বপ্ন? স্বপ্ন আর দুঃস্বপ্ন তৈরি হয় কী ভাবে?
যে খাবারটা খাচ্ছেন সেটা রোজ রোজ খাবেন না। এক জিনিস রোজ খেলে সমস্যা বাড়বে। যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের ডাল খাওয়া ভালো। কিন্তু অনেকের ইউরিক অ্যাসিড জনিত সমস্যা হলে সেক্ষেত্রে দানা শস্য কতটা খাওয়া যাবে সে বিষয়টা ডাক্তারের কাছ থেকে নিশ্চিত করে নিতে হবে। পুরো বিষয়টি একটা রুটিনের মতো , ছকে ফেলে দিন দেখবেন সবকিছু ঠিকমতো হয়ে যাচ্ছে। আর আপনিও ভালো থাকছেন সুস্থ থাকছেন।