Breaking Bharat: পিৎজার পর্দা ফাঁস! মোগলাই পরোটা কে পিছনে ফেলে পছন্দের খাদ্য তালিকায় পিৎজা (Pizza)? আপনি কি জাঙ্ক ফুড খেতে ভালোবাসেন? বাইরের খাবার না খেলে জিভের স্বাদ মেটে না? আমরা খুঁজছি আপনাকে! পিৎজার পর্দা ফাঁস করতে হবে না?
কি শুরুতেই চমকে গেলেন নাকি? ভালো ভালো খাবারের কথা বলতে গেলে, জানতে গেলে, শুনতে গেলে মনে একটু সাহস রাখতে হয়। না হলে ইন্টারেস্টটা বাড়বে কী করে? বাঙালি একটা বদনাম আছে ভেতো বাঙালি বলে। না এটাকে অবশ্য বাঙালিরা কমপ্লিমেন্ট হিসেবে দেখেন। ভারতবর্ষ কৃষি প্রধান দেশ, বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে কৃষি জমি যথেষ্ট পরিমাণে ।
পছন্দের খাদ্য তালিকায় পিৎজার নাম ? (Pizza):
তাহলে ভাত কেন খাব না? তবে ভাতের পাশাপাশি এই জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কিন্তু খুব একটা কম নয়। আর আজকের প্রজন্ম এই সব থেকেও আরও দশভাগ এগিয়ে ভাবতে শিখেছে। তাই মোগলাই পরোটা কে পিছনে ফেলে তাদের পছন্দের খাদ্য তালিকায় পিৎজার নাম (Pizza is on the list of favorite foods)। ভাবা যায়!
পিৎজা কেন দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তার কারণ বলতে পারবেন? আরে না না এটা পরীক্ষায় নম্বর পাওয়ার মতো প্রশ্ন নয়। এমনি জানতে ইচ্ছে হলো আর কি! কিছু তো নিশ্চয়ই বিশেষ গুণ আছে। আর স্বাদে যে অনন্য সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তবে একটা প্রচলিত ধারণা আছে যে পিৎজা নাকি গরিব মানুষেরা খেতে পারেন না। এটা তাদের কাছে বাহালতা ।
ওই পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি কনসেপ্টটা চলে আসছে। পিৎজা মানেই যেন একটা বিশেষ ক্লাসের মানুষেরা তা খেতে পারেন। স্বভাবতই দামের দিক থেকে চিন্তা করে এটা বড়লোকেদের খাবার বলেই সমাজে মানা হয়। কিন্তু যীশু খ্রীষ্টের জন্মের আগে বড়লোকদের এতটা আধিপত্য বা বড়লোকীয়ানা ছিল কি?
পছন্দের খাবার পিৎজার ইতিহাস (Pizza History in Bengali):
কারণ আপাতদৃষ্টিতে পিৎজা নতুন মনে হলেও ইতিহাস বলছে এটা কয়েক শতক পুরনো। পেপেরোনি হোক বা মার্গারিটা। হয়েছিল রাজ রাজাদের অন্যরকম কিছু খাবার খাওয়ার ইচ্ছে থেকে। প্রাচীন গ্রিস, রোম এবং ইজিপ্টের লোকেরাও পিৎজা খেতে শুরু করেন বহু আগে।
তাই শুধুমাত্র ইতালিয়ান ডিশ হিসেবে তকমা দেওয়াটা বোধহয় ঠিক নয়।অষ্টাদশ শতকের শেষের দিকে ইতালির আদমশুমারি হোক বা তারও বহু আগে সপ্তদশ শতকের শেষের দিকে প্রকাশিত বইয়ে এই খাবারের উল্লেখ – সবটাই বুঝিয়ে দেয় পিৎজা আধুনিক খাবার মোটেই নয়।
আরো পড়ুন- Coffee: খাবারের জিনিস তৈরি হয় প্রাণীর মল থেকে? যা কিনা বিদেশে কয়েক হাজার টাকায় বিক্রি হয়!
পিৎজা বড়লোকের কি খাবার?
একটু আগেই বলা হয়েছে যে পিৎজা বড়লোকের খাবার নয়। বলা যেতে পারে এটি গরিবের খাদ্য ছিল একসময়। ইতিহাস বলছে ১৮৮৯ সালে নেপলস ভ্রমণে যান ইতালির হবু রাজা ও রানি। সেই সময় জনতার মাঝে নিজের ইমেজকে তুলে ধরতে রানী গরিবের খাবার খেয়েছিলেন। বুঝতে নিশ্চয়ই বাকি নেই কোন খাবারের কথা বলছি।
আরো পড়ুন- Power shortage : দেশে বিদ্যুতের সংকট! রিপোর্ট বলছে দেশে বাড়ছে রেকর্ড বিদ্যুতের ঘাটতি। এবার?
স্যাভয়ের কন্যা মার্গারিটা এই খাবার খাবার পর ইতালির নামকরা পিৎজা-কারিগর রাফায়েলকে বলেন বিশেষভাবে এটি তৈরি করতে। হবু রানি মার্গারিটার পছন্দের পিৎজাকেই পরবর্তীতে নামকরণ করা হয় ‘মার্গারিটা’। যা আজকের প্রজন্ম খুব ভালোভাবে জানে। হাওয়াইয়ান পিৎজা নিয়ে কিছু বলতে গেলে আবার ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখতে হয়।
১৯৫৭ সালের একটি বিজ্ঞাপন এই বিষয়ে কিছু তথ্য দিয়েছে। অরেগনের ফ্র্যাঞ্চাইস পিৎজা জাঙ্গলে একটি হাওয়াইয়ান পিৎজার বিজ্ঞাপনে আনারস, পেঁপে ও সবুজ মরিচের টপিংস দেওয়া পিৎজা দেখা যায়। হয়তো সেই থেকেই আজকের পিৎজা।
ফলে নির্দিষ্ট করে সময় কাল বলাটা মুশকিল। তবে ষোড়শ শতককে একটা টাইম ট্যাগ ধরে ভাবলে পিৎজার এগিয়ে চলাকে সুন্দরভাবে বর্ণনা করা যায়। আপনি মনের আনন্দে খেতে থাকুন না, এত ভেবে কাজ কী?