Breaking Bharat: হজমের গন্ডগোল? পেটের সমস্যা ? অ্যাসিডিটি? আয়ুর্বেদে (Ayurveda) পেয়ে যান সমাধান! মুড়ি মুড়কির মত ওষুধ খেয়ে খেয়ে পাকস্থলির বারোটা বাজিয়েছেন?
কথায় বলে শরীরের নাম মহাশয় যা সওয়াবে তাই সয়। কিন্তু বাস্তবে তা কতটা হয় এটা বলা মুশকিল। নিত্যদিন ব্যাস্ত রুটিনে এলোমেলো খাবার দাবার আর তাতেই গন্ডগোল। এমনিতেই বর্ষাকালে পেটের সমস্যা একটু বেশি হয়।
তার সঙ্গে দোসর বৃষ্টি, কখনো অত্যন্ত বেশি গরম আবার শীতের মরসুমেও ঠান্ডায় কাবু হয়ে গরম জামা কাপড় পরে থাকা। এই সবকিছুর মিলিত যোগফল পেটের সমস্যা। আর এটা থেকেই শরীরের বাকি গন্ডগোল।দেখা যায়, গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হজমের সমস্যাও বাড়ে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পাচনতন্ত্রের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। এই কারণেই আজকাল বেশিরভাগ মানুষ পেট সম্পর্কিত রোগে ভুগছেন যেমন ফুলে যাওয়া, সারাক্ষণ পেট ভরে থাকা, গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং বদহজমের মতো সমস্যায় ভুগে থাকেন।
কিন্তু প্রশ্ন হল সমস্যা তৈরি হল বটে তবে সমাধানটা তো পেতে হবে। অ্যালোপ্যথি বা হোমিওপ্যাথিতে এখন আর অনেকেই আস্থা রাখতে পারেন না অনেকেই বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ছোটেন আয়ুর্বেদের দিকে। এখানে মনে রাখতে হবে আয়ুর্বেদ কোন জাদু নয় একটু সময় দিতে হবে সুস্থ হবার জন্য।
হজমের সমস্যা পেটের গোলমালকে হালকা ভাবে নিলে ভবিষ্যতে বড় রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য, আইবিএস, পেটে ক্র্যাম্প, ডায়রিয়া, বমি এবং পেট ফুলে যাওয়ার মতো লক্ষণগুলির মুখোমুখি হতে পারেন।
যদি এই দিনগুলিতে আপনি প্রায়শই খাওয়ার পরে ভারি বোধ করেন বা বারবার পেট ফাঁপা এবং অ্যাসিডিটির মতো লক্ষণগুলির মুখোমুখি হন, ডাক্তারি পরামর্শ অবশ্যই নিন।
আয়ুর্বেদ চিকিৎসক দের মতে , গরমের জেরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং হজমশক্তিকে প্রভাবিত হয়। তাই এই সময় সাধারণত আপনি একটু বেশি অসুস্থ বোধ করেন। হজমের সমস্যা ঠিক করতে ঘরোয়া কিছু রেসিপি তৈরি করে তা ব্যবহার করতে পারেন উপকার পাবেন। পুরোপুরি আয়ুর্বেদ মতে যদি তৈরি করতে চান তাহলে উপকরণ আর পদ্ধতি নিম্নে ব্যাখ্যা করা হলো।
প্রথমে ১ গ্লাস জল নিন, এতে ৫-৭টি পুদিনা পাতা, ১ চা চামচ জিরে এবং ১/২ চা চামচ ক্যারাম বীজ যোগ করুন। মাঝারি আঁচে ৩ মিনিট ফুটিয়ে নিন, পরে ফিল্টার করে চুমুক দিয়ে খেয়ে নিন। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে কখন খাব?
তাদের বলি সকালে খালি পেটে বা খাবার খাওয়ার আধ ঘন্টা আগে বা পরে খেতে পারেন। আপনিার পেট যখন ফোলা বা ভারী অনুভব করেন তখনই খেয়ে ফেলুন।
আরো পড়ুন- Fish : বাঙালি মাত্রই মাছ প্রিয়। মাছের কাঁটা গলায় না আটকালে চলে, বলুন দেখি?
বিষয়টি কাকতালীয় নয় এর পুষ্টিগুণ সম্মত ব্যাখ্যা দিচ্ছেন আয়ুর্বেদ চিকিৎসকেরা। আসলে বাজারে যে ওষুধ পাওয়া যায় তা তো প্রাকৃতিক উপাদান থেকেই তৈরি করা হয়। তাই প্রকৃতি থেকে আপনি সরাসরি যদি সেগুলো নিজের শরীরে প্রয়োগ করতে পারেন তাহলে তো উপকার দ্রুত পাবেন।
পুদিনা, জিরা এবং ক্যারাম বীজে সমস্ত পুষ্টি পাওয়া যায়, যা শরীরের ভাল কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয়। এছাড়াও উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, অ্যাসিডিটি, গ্যাস, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যায় (Problems like constipation) ভুগছেন তাঁদের জন্যও ভালো কাজ করে।
আরো পড়ুন- মানুষের নয়, আদর পুতুলের চাহিদা বাড়ছে? সেক্স ডল কি ফ্যান্টাসি না এক্সপেরিমেন্ট?
আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের মতে বলেছেন, গ্রীষ্মের জন্য পুদিনা সবচেয়ে ভালো জিনিস। এটি শুধু সুস্বাদুই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও নানাভাবে উপকারী। এতে সর্দি-কাশি (cold and cough), অ্যাসিডিটি, গ্যাস, ফোলাভাব, বদহজম, ডিটক্স, ব্রণ, সাইনোসাইটিস, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদির সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা ররয়েছে আর জিরে কেবল মশলা নয়।
আরো পড়ুন- মান্না দে আর দেবী শেঠি : দুই গুণী মানুষের এক সহজ সরল সত্যি, যা জানলে চমকে যাবেন আপনিও!
এর গন্ধ এবং স্বাদ ছাড়াও, এর স্বাস্থ্যের জন্য অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে। এর উষ্ণতা শক্তি ও স্বাদ উন্নত করতে সাহায্য করে, হজমশক্তি বাড়ায়। তাহলে বুঝতেই পারছেন হাতের কাছেই রয়েছে সমাধান দেরি না করে অবশ্যই এই নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করুন।
তবে এই তথ্যগুলি সবটাই ইন্টারনেট এবং বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া। পরিস্থিতি জটিল হলে দেরি না করে ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।