Breaking Bharat: বাড়ির পাশে কুকুর কাঁদে? অচিরেই অমঙ্গল ঘটার ইঙ্গিত পেলেন? অনেকে বলেন এটা কুকুরের কান্না (Dog crying) আর নিশুতি রাতে এটা ভালো লক্ষণ নয়। তাই কোনও কুকুরকে কাঁদতে দেখলে এখনও অনেকেই তাড়িয়ে দেন বা তাদের কান্না থামানোর নানা চেষ্টা করেন।
কুকুরের কান্না কি সত্যিই অমঙ্গল ডেকে আনে?
বিজ্ঞান মানে যুক্তিযুক্ত জ্ঞান। যা পরীক্ষা করে পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত জানান দেয়। কিন্তু বদ্ধমূল কিছু ধারণা যা অনেক সময় একটা প্রচলিত বিশ্বাসের জায়গা নিয়ে নেয়। দীর্ঘদিন ধরে সেটাই চলতে চলতে সমাজের নিয়ম হয়ে যায়। অথচ তার সঠিক কোন কারণ বা যুক্তি আপনি চাইলেও পাবেন না। কথাগুলো কেমন যেন গোল গোল শোনাচ্ছে তাই না? আচ্ছা বেশ কিছু উদাহরণ দিলে ছবিটা পরিষ্কার হবে।
বেড়াল এর রাস্তা পার হয়ে চলে যাওয়া বা মেয়েদের চুল খুলে সন্ধ্যেবেলায় বাইরে বেরোনোর আপত্তি। এগুলোর পেছনে এমন কিছু ধারনা বা প্রচলিত বিশ্বাস আছে যার বৈজ্ঞানিক যুক্তি খুঁজতে গেলে মহা বিপদে পড়বেন আপনি। সেরকম কুকুরের ডাক নিয়ে নানা রকমের জনশ্রুতি আছে (dog crying at night)।
রাতে কুকুর কাঁদে কেন? (Dog crying):
সাধারণত কুকুর গৃহপালিত পশু। কিন্তু মাঝরাতে বা রাতের প্রথম দিকে মাঝেমধ্যেই স্বইচ্ছায় তারা ডেকে ওঠে। সেই ডাকের মধ্যে ঘেউ ঘেউ নয় বরং একটা সুরেলা টান থাকে। অনেকে বলেন এটা কুকুরের কান্না আর নিশুতি রাতে এটা ভালো লক্ষণ নয় (dog crying tears)।
তাই কোনও কুকুরকে কাঁদতে দেখলে এখনও অনেকেই তাড়িয়ে দেন বা তাদের কান্না থামানোর নানা চেষ্টা করেন। যারা কোনও রকম ধর্মীয় সংস্কার বিশ্বাস করেন না, তাঁদেরও অনেকেই মনে করেন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, আবহাওয়ার পরিবর্তন সবার আগে টের পায় পশু-পাখিরাই। তাই এলাকায় কুকুরের কান্নাকেও তাঁরা সেই ভাবে ব্যাখ্যা করেন (normal for dog to be crying)।
তবে যে বা যারা ধারণা করেন নিজেদের বিশ্বাসের প্রতি তাদের অটুট আস্থা আছে। এবার যদি আপনি জ্যোতিষ চর্চা বা ধরুন অশরীরী অস্তিত্ব নিয়ে যারা পড়াশোনা করেন তাদের কাছে যুক্তি চান তাহলে অনেকগুলো তথ্য উঠে আসবে।
যদিও আমরা কোনও কুসংস্কারকে প্রাধান্য বা গুরুত্ব দিই না বা তার বিজ্ঞাপন প্রকাশ করি না (dog crying superstition)। আমরা বিজ্ঞানকে সামনে রেখে সত্যিটা সবার চোখের সামনে তুলে ধরি। তাহলে বিজ্ঞানের কাছেই জেনে নেওয়া যাক এই ঘটনার ব্যাখ্যা।
কোথাও কিছু ঘটলে তার পিছনে নিশ্চয়ই একটা সঠিক কারণ থাকবে। সেটা যতক্ষণ না খুঁজে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে বা আবিষ্কৃত হচ্ছে , আজগুবি গল্প ভেবে নেওয়াটা আমাদের অভ্যাস। পশুপ্রেমী বা পশু-পাখিদের চিকিত্সকদের মতে, কুকুরের চোট-আঘাত লাগলে, ব্যথা, যন্ত্রণা হলে বা শরীরে কোনও কষ্ট হলে তা জানাতেই ওই ভাবে আওয়াজ করে সঙ্গীদের ডাকে সাহায্যের জন্য (dog crying in pain)।
অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কারের ভাবনায় আজও নিজেকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে এই দেশ। সেই ভাবনাই এই ঘটনার ব্যাখ্যা কি রকম হতে পারে? অনেকের মতে কুকুরের চিত্কার কারও আসন্ন মৃত্যুর সংকেত দেয়। আবার অনেকে বলেন আশপাশে কোনো অশরীরী আত্মা ঘুরে বেড়ায়।
আরো পড়ুন- Safety pin : খুব দরকারি জিনিস সেফটিপিন! যা ধার শোধ করতে গিয়ে আবিষ্কার হয়েছিল সেফটিপিনের?
যা সাধারণ মানুষের পক্ষে দেখা সম্ভব নয়, সেটার উপস্থিতি টের পায় কুকুররা। তাই তাদের কাছেপিঠে আত্মা ঘুরে বেড়ালেই কুকুর নাকি কাঁদতে শুরু করে। বলা হয় যখন কোনো এলাকায় কারোর মৃত্যু হয়, তা আগে থেকেই বুঝতে পেরে চিৎকার করতে থাকে কুকুর। অথচ বাস্তব, কুকুরের কিছু প্রবৃত্তির দিকে ইঙ্গিত করছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, নতুন এলাকায় এলে কুকুরের মন খারাপ থাকে (Dogs are upset)।
আরো পড়ুন- childhood : অতীতের ছোটবেলা! আমাদের গেছে যেদিন একেবারেই কি গেছে? কিছুই কি নেই বাকি তার?
পুরনো এলাকায় প্রতি একটা ভালবাসা থেকে যায়। সেই হতাশা থেকেই রাতে কুকুর কেঁদে ওঠে। অনেক সময় মানুষের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও কুকুর মাঝরাতে কেঁদে ওঠে। বিষয়টা কান্না বা হাসির নয়। কুকুর বা অন্যান্য প্রাণীদের কান্না হাসির অভিব্যক্তি মানুষের মতো হয় না।
নিজেদের যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে তারা যে সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করেন সেটা তাদের গোষ্ঠীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তাই পশুপ্রেমী এবং চিকিৎসকেরা বলেন ওইভাবে আওয়াজ করে কুকুর তারই জাতির অন্য কুকুরকে কোনও বিশেষ মেসেজ দিতে চায়।
আরো পড়ুন- Divorce : ডিভোর্সের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে সম্পর্ক? শেষ সুযোগ সম্পর্ক বাঁচানোর? কী করবেন?
একটু অদ্ভুত শুনতে লাগে আর রাতবিরাতে হলে তখন এমনিই একটা গা ছমছমের ভাব চারপাশে দেখা যায়। সেখান থেকেই এতো কাণ্ড। নানা চিন্তা করবেন না কুকুর কাঁদে না আর তাদের ডাকে কারো অমঙ্গল হয় না। মাথায় রাখতে হবে মানুষের মঙ্গল অমঙ্গল নির্ধারিত হয় তার কর্মের দ্বারা। ভালো কাজ করুন ভালো থাকুন।