Breaking Bharat: সাজগোজের মধ্যেই রয়েছে ভয়ঙ্কর বিপদ! চোখে কাজল, ঠোঁটে লিপস্টিক, কপালে টিপ! বঙ্গললনারা জানেন কি সাজের ক্ষতিকর দিক ? (Harmful aspects)
নারী, সাজের জন্য ভীষণ মানানসই করে তোলেন নিজেকে। হালকা হোক কিংবা ভারী , সাজের বাহারে পুরুষের চোখ বারবার যায় নারীর দিকে। কখনো প্রাকৃতিক উপায় কখনো বা কসমেটিক্স ব্যবহার করে সাজকে আকর্ষণীয় করে তুলতে ব্যস্ত থাকে নারী। কিন্তু এই সাজগোজের মধ্যেই ভয়ঙ্কর বিপদ লুকিয়ে আছে ভাবতে পারেন?
বাঙালি মহিলারা খুব হালকা সাজেই নিজেদের স্পেশাল করে তুলতে পটু। কিন্তু সাজগোজ করার ক্ষেত্রে ত্বকের খেয়াল রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেসব সামগ্রী দিয়ে নিজেকে অপরূপা করে তোলার চেষ্টা তার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বিপদ ঘটাবে না তো? আজ আমরা সেই দিকেই নজর রাখবো।
মেয়েদের সাজগোজের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে ক্ষতিকর দিক:
যেহেতু মুখের সৌন্দর্যের অন্যতম আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দু চোখ, তাই চোখের দিকেই চোখ মেলে তাকানো যাক সবার আগে। চোখ দিয়ে এমন অনেক কথা বলা যায় যা মুখ দিয়ে শব্দ উচ্চারণ করে জানানোর প্রয়োজনও পড়ে না। তাই দুটি নয়ন পরিপাটি করে রাখাটা ভীষণ দরকার।
প্রাণবন্ত করে তুলতে চোখে কাজল ব্যবহার করার একটা রীতি কিন্তু বাঙ্গালীদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। অনেক সময় শিশুদের ছোটবেলায় কাজল পরিয়ে রাখা হয়। এটা কুসংস্কার ভাবতে পারেন আবার দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিশ্বাস সেটাও বলতে পারেন। কিন্তু এই কথা সত্যি যে কোনো কুনজরের প্রভাব এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব এই কাজলের মহিমায় – এমন বিশ্বাস।
কীভাবে কাজল ব্যবহার করবেন?
আগেকার দিনে চোখ শীতল রাখার জন্য কাজল এবং সুরমা দুটির মধ্যে মিশিয়ে দেওয়া হতো নানা জড়িবুটি। কাজলের ব্যবহার আজ থেকে শুরু হয়নি। আজ থেকে বহু বছর আগে থেকে সাজ-পোশাক করার সময় মেয়েরা চোখে কাজল ব্যবহার করে থাকে (Girls use kajal on eyes)। মুঘল সম্রাটেরা চোখে সুরমা ব্যবহার করতেন।
আজও মুসলমানদের মধ্যে সুরমা ব্যবহার করার প্রচলন আছে। বাঙালিরা অবশ্য সেই সুরমা ব্যবহার না করে চোখে দেয় কাজল। এখানে প্রশ্ন হচ্ছে কীভাবে কাজল ব্যবহার করবেন নিজের সাজের জন্য এবং বাচ্চাদের চোখের জন্যও। শুরুটা তাহলে শিশুদের দিয়েই করা যাক। বাচ্চাদের যদি কাজল পড়াতে হয়, তাহলে সেটি বানিয়ে নেওয়া ভাল বাড়িতেই।
বাজার চলতি যেকোনো কাজল ব্যবহার না করা উচিত। চোখের বাইরে আইলাইনার থেকে শুরু করে কাজল, সবকিছুই সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করলেও দিনের শেষে সেই মেকআপ তুলে তবেই ঘুমোতে যাওয়া উচিত।
না হলে কখনো সেটি চোখের ভেতরে চলে গেলে ক্ষতি হয়ে যেতে পারে আপনার। মনে রাখতে হবে কাজল বানানোর জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো সিসা। সেই সিসা চোখে কোন কারনে প্রবেশ করলে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।
আপনার ঠোঁট কার সঙ্গে বন্ধুত্ব করছে?
এবার বলি ঠোঁটের কথা ,ওই যে কথা যখনই বলবেন ভোটের দিকে চোখ পড়বেই। আর সম্পর্ক ঠোঁটের ঘনিষ্ঠতা ছাড়া মানসিক বা শারীরিকভাবে সিলমোহর পায় কি? তাহলে ঠোটের সাজ খুব গুরুত্বপূর্ণ আর একটু এদিক ওদিক হলে মহাসংকট। বাজার চলতি লিপস্টিকে নানা রকমের কেমিক্যাল থাকে।
আরো পড়ুন- Maldives tour : সেলেবদের মত ছুটিতে মরিশাস বা মলদ্বীপ যেতে চান? মাত্র ১ লাখে এবার মলদ্বীপ ভ্রমণ!
এখন প্রচুর হারবাল প্রোডাক্ট পাওয়া যায়। কালার নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতেই পারেন, কিন্তু দেখে নিন আপনার ঠোঁট কার সঙ্গে বন্ধুত্ব করছে আর কার সঙ্গে ঠিকমতো তৈরি করতে পারছে না। না হলে ঠোঁটের যে পাতলা টিস্যু থাকে তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।
বাঙালি বিবাহিত নারীদের অন্যতম অঙ্গ হল সিঁদুর:
এদের কপাল থেকে মাথার দিকে উঠে যাওয়া সিথির সিঁদুরের কথা বলি। এক চিলতে সিঁদুরের মর্ম ঠিক কতটা সেটা আর কাউকে বোঝানোর দরকার নেই। সমাজ উন্নত বা অনুন্নত যাই হোক না কেন সিঁদুর কে সম্মান করে আজও। বাঙালি বিবাহিত নারীদের অন্যতম অঙ্গ হল সিঁদুর।
আরো পড়ুন- Virginity Test : ভার্জিনিটি নিয়ে ভ্রূ কুঁচকান? বিয়ের বাজারে কুমারী মেয়ের কদর কেন বেশি?
প্রাচীনকালে হলুদ, চুনের জল এবং রঞ্জক মিশিয়ে সিঁদুর তৈরি করা হতো। তবে এখন বেশিরভাগ সিঁদুরে ব্যবহার করা হয় কেমিকাল। তাই সিঁদুর পরলে বেশিরভাগ চুল ওঠার সমস্যা দেখা যায় মেয়েদের। এছাড়াও খুশকির সমস্যা হতে পারে। তাই হারবাল সিঁদুর ব্যবহার করার কথা বলেন চিকিৎসকরা।
শাড়ির সঙ্গে টিপের যুগলবন্দি সত্যিই অতুলনীয়:
মুখের সাজ কে পরিপূর্ণ করে তোলে মানানসই টিপ। ছোট হোক বা বড়, শাড়ির সঙ্গে টিপের যুগলবন্দি সত্যিই অতুলনীয় (Pairing of tip with saree)। কিন্তু এখানেও সমস্যা হতে পারে। আঠা লাগানো টিপ, যেগুলি বাজারে পাওয়া যায়, তার মধ্যে বেশিরভাগ নিকেল থাকে। সেই আঠা থেকে অ্যালার্জি হতে পারে যে কারোর।
আরো পড়ুন- Ratan Tata : রতন টাটা মানেই আদর্শ, টাটা কোম্পানির কর্ণধার। তিনিই বহু মানুষের অনুপ্রেরণা
অনেক সময় টিপ ব্যবহার করলে কপালে সাদা দাগ হয়ে যায়। সেই দাগ বাড়তে বাড়তে সারা কপাল ছড়িয়ে যায়। তাই পারলে এমন কিছু ব্যবহার করার চেষ্টা করুন যার সঙ্গে ত্বকের বিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা কম। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে পারেন। আজ তাহলে এই পর্যন্ত থাক, পরবর্তী পর্যায়ে অন্যান্য সাজ নিয়ে আলোচনা হবে আবারও।