Breaking Bharat: মন্দির আটকে রাখে সাপ, মন্দিরে প্রবেশ করতে লাগে ৬০হাজার টাকা! ব্যাপারটা কি বলুন তো? (tanah lot temple facts) মন্দির কে রক্ষা করছেন যারা তারা কেউ মানুষ নন? দৈত্যাকার সাপ প্রতিমুহূর্তে আগলে রাখে কেন আগলে রাখে তানাহ লট মন্দিরকে?
এ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড জুড়ে ছড়িয়ে আছে নানা ইতিহাস। কতটুকুই বা জানি আমি আপনি? কথাই বলে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। এমন অনেক কিছু আছে যা আজও বিশ্বাসের বলেই দাঁড়িয়ে আছে। যুক্তি দিয়ে তার সঠিক ব্যাখ্যা খুঁজে পাবেন না আপনি।
যুগ যুগ ধরে স্থাপত্যের নিদর্শন হয়ে একাধিক মন্দির বিশ্বাসের প্রতীক (Temple is a symbol of faith) হয়ে রয়েছে দেশে-বিদেশে। এই মন্দিরের ইতিহাস জানলে অবাক হবেন নিঃসন্দেহে। তার থেকে অবাক করা বিষয় হলো এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা লোককথা এবং জনশ্রুতি। আজকের আলোচনায় তানাহ লট মন্দির (Tanah Lot Temple)। সমুদ্রের সিল খন্ডের উপর একটি মন্দির, সমুদ্রের গতিবিধির উপর নির্ভর করে মন্দির আকৃতি পেয়েছে ভাবা যায়! (tanah lot temple history)
হঠাৎ করে তানাহ লট মন্দির কেন কথা?
আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে সবচেয়ে হঠাৎ করে এই মন্দির নিয়ে কেন কথা? উত্তর পেতে আপনাকে ইন্দোনেশিয়া (Indonesia) যেতে হবে ,সেখানেই যে আছে মন্দির। ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপ বালির বিশাল পাথর খন্ডের উপর নির্মিত একটি মন্দির (in Indonesian island of Bali)। নামটা শুনে একটু অদ্ভুত লাগলো, তাই না? পর্যটক এবং আলোকচিত্র শিল্পীদের জন্য একটি জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক আইকন এই মন্দির।
তানাহ লট মানে সেখানকার মানুষের ভাষাতে অর্থ “সমুদ্রে ভূমি”। মন্দিরটি একটি বৃহৎ সমুদ্রতীরাতিক্রান্ত শিলার উপর বসানো যা সমুদ্রের জোয়ার দ্বারা বছর ধরে ক্রমাগত আকৃতি প্রাপ্ত হয়েছে। লোক মুখে জানা যায় তানাহ লট মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল কয়েক শতাব্দী ধরে এবং এটি বালীয় পৌরাণিক কাহিনীর একটি অংশ । মন্দিরটি বালীয় উপকূলের চারটি সমুদ্র মন্দিরের একটি (tanah lot temple bali)।
দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে চেইন গঠনের পাশে প্রতিটি সমুদ্র মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বালীয় পৌরাণিক কাহিনী ছাড়াও, মন্দিরটি উল্লেখযোগ্যভাবে হিন্দুধর্ম দ্বারা প্রভাবিত ছিল। এই মন্দির নিয়ে অনেক অদ্ভুত কাহিনী আছে। মনে করা হয়, তানাহ লট আনুমানিক ১৬ তম শতাব্দীর দাঙ্গ হায়ং নিরর্থার কাজ , অন্তত এমনটাই দাবি করা হয়।
কথিত আছে, দক্ষিণ উপকূল বরাবর ভ্রমণের সময় তিনি শিলা দ্বীপ এর সুন্দর পরিবেশ দেখে সেখানে বিশ্রাম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিছু জেলে তাকে দেখে এবং তাকে উপহার দেয়। নিরর্থতা তারপর ছোট দ্বীপে রাত কাটিয়েছিলেন। পরে তিনি মৎস্যজীবীদের সাথে কথা বললেন এবং তাদেরকে পাথরের উপরে একটি মন্দির নির্মাণের জন্য বললেন,
কারণ তিনি বালীয় সমুদ্র দেবদেবীদের উপাসনা করার জন্য এটিকে একটি পবিত্র স্থান বলে মনে করেছিলেন। সেই শুরু, এই মন্দিরের প্রধান দেবতা হলেন বরুণ দেব, যিনি সমুদ্রের দেবতা বা জলের দেবতা (the temple is Varuna Dev)। এখানে তাকে নানা নামে ডাকা হয়। বর্তমানে অবশ্য নিরর্থার পূজাও করা হয়।
আরো পড়ুন- Srabanti Chatterjee : অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় কেন বারবার বিয়ে করেন ?
মন্দিরটি একটি দৈত্যসর্প দ্বারা সুরক্ষিত করা , যা দ্বীপটি প্রতিষ্ঠা করার সময় নিরর্থের সেলেনডাঙ্গ (একটি ধরনের শাশ) থেকে তৈরি হয়েছিল। বাইরে থেকে যাতে অনুপ্রবেশকারীরা এই মন্দিরে এসে কোন গোলমাল পাকাতে না পারেন বা একে নষ্ট করতে না পারেন সেই জন্যই সাপ পাহারা (Snake guards) দেয় বলে বিশ্বাস করা হয়।
আরো পড়ুন- Pigeon : যুদ্ধ করেন সেনারা আর সেই সেনাদের বাঁচালো পায়রা, জানেন কি?
যেতে চান (tanah lot temple tour)? কারণ এখানকার নৈসর্গিক সৌন্দর্য মনে রাখার মত আর পর্যটকদের ভিড় হয় এখানে সূর্যাস্ত দেখার জন্য। মন্দির পৌঁছানোর জন্য, পর্যটকদের অবশ্যই বালীয় বাজারের উপহারের দোকানগুলির মধ্যের পথ দিয়ে হেঁটে যেতে হয়। প্রতিটি পথ সমুদ্রে পড়বে। মূল ভূখণ্ডে ক্লিফটপে পর্যটকদের জন্য রেস্তোরাঁগুলিও সরবরাহ করা হয়।
আরো পড়ুন- Butterfly: বিয়ের কার্ডে ‘শ্রীশ্রী প্রজাপতয়ে নমঃ’ কেন লেখা থাকে? প্রজাপতির ভূমিকা কী?
জোয়ারের সময় মন্দিরটির ভিত্তিমূল জলের নিচে চলে যায়। তখন মনে হয় সমুদ্রের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে সেটি। ভাটার সময় ভিত্তিসহ মন্দিরটি দৃষ্টিগোচর হয়। মন্দিরে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্তের সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করা যায়। অনেক পর্যটক এখানে দাঁড়িয়ে সুর্যাস্ত দেখেন (tanah lot temple sunset)।
ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকদের জন্য কিছুটা ছাড় হলেও বিদেশীরা এখানে প্রবেশ করতে গেলে ৬০ হাজার টাকা লাগবে , শিশুদের ১৫ হাজার। এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কেন সব ছেড়ে এই মন্দিরে দিয়ে এত কথা!