Breaking Bharat: অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় কেন বারবার বিয়ে করেন ? সংসার করতে অনিহা নাকি বহুগামীতাকে ভালোবাসেন টলিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee) ?
প্রদীপের আলো যেমন চারপাশকে আলোকিত করে ঠিক তেমনি তার গোড়ায় থাকে অন্ধকার। সূর্যের আলোয় যখন এক পাশ ঝলমল করে অন্যপাশে তখন রাত হয়। ঠিক সেভাবেই গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড বাইরে থেকে দেখতে যতটা ঝকঝকে ভেতরে গভীরে ততটাই ছিন্নভিন্ন তার দশা। সেটা বোধহয় সিনেমার নায়ক নায়িকাদের বাস্তব জীবন দেখলেই বোঝা যায়।
বাংলা ছবির জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়:
ব্যক্তিগত নানা স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে থাকে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জীবনযাপন। আজ কথা বলব টলিউডের এক লাস্যময়ী অভিনেত্রী কে নিয়ে। সিনেমায় অভিনয় নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই, কিন্তু ব্যক্তিগত জীবন সবসময়ই চর্চার, যাকে বলে হট কেক।
নাম শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় এই সময়ের বাংলা ছবির জনপ্রিয় এক অভিনেত্রী (Srabanti Chatterjee is a popular actress)। দেব, জিৎ, সোহম চক্রবর্তী, আবির চট্টোপাধ্যায়, বাংলাদেশের শাকিব খান সহ আরো বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় অভিনেতার সাথে অভিনয় করেছেন। জন্ম কলকাতায় , ছোট থেকে পড়াশোনা করতে খুব একটা পছন্দ করতেন না শ্রাবন্তী। তবে হ্যাঁ প্রেম করার দিকে আগ্রহ ছিল বেশ।
শ্রাবন্তী বরাবরের সুন্দরী (Srabanti is always beautiful), খুব সুন্দরভাবে অন্যকে নকল করতে পারেন তিনি। খুব কম বয়সেই প্রেমে পড়েন। হয়তো জানেন না অভিনেত্রী শ্রাবন্তী নায়িকা হিসেবে নয় বরং একজন সুপারস্টারের কন্যা সন্তান হিসেবে সেই চরিত্রে অভিনয় করে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। তিনি ১৯৯৭ সালে মায়ার বাঁধন-এ অভিনয়ের মাধ্যমে তার বর্নালী জীবন শুরু করেন।
পরিচালক রাজীব বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্ক শ্রাবন্তীর:
এই ছবিতেই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Prasenjit Chatterjee) মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন শ্রাবন্তী। তখন বয়স বেশ অল্প । তারপর আবার পড়াশোনার জগতে পারিবারিক জীবনে ফিরে যাওয়া। টলিউডের বিখ্যাত পরিচালক রাজীব বিশ্বাসের (Rajiv Kumar Biswas) সঙ্গে তার একটা ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয়। দুজনে বিয়েও করেন। ২০০৩ সালে তিনি চ্যাম্পিয়ন ছবিতে জিতের বিপরীতে অভিনয় করে সাধারণ দর্শকের মনে পরিচিতি পান।
এরপর সিনেমা থেকে অনেকটা দূরে সরে গিয়ে দাম্পত্য গড়ে তুলতে মন দেন অভিনেত্রী। চুটিয়ে সংসার করেন (Srabanti Chatterjee married), পুত্র সন্তানের জননী হন। এরপর ফের কাম ব্যাক, light camera, action যার হাতছানি, সে কি আর এসব থেকে দূরে থাকতে পারে? পাঁচ বছর পর ২০০৮ সালে ভালোবাসা ভালোবাসা সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি কামব্যাক করেন।
এবং এই সময় থেকে তার কেরিয়ার গ্রাফ ক্রমশ উপরে উঠতে শুরু করে। জিত, দেব এবং সোহমের সাথে জুটি বেঁধে তিনি বেশ কিছু জমজমাট হিট ছবি দর্শককে উপহার দেন। তার অভিনয়ের সারল্য গুণ আপামর জনগণকে আকর্ষিত করে। তিনি যখন খ্যাতির উর্দ্ধগগনে এবং বানিজ্যিক ছবিতে আশানুরূপভাবে সাফল্য লাভ করছেন সেই সময় অপর্ণা সেনের ছবিতে এক অল্পবয়সী বিধবার চরিত্রে অভিনয় করে অন্য ছবির দর্শকদের মনেও জায়গা করে নেন।
শ্রাবন্তীকে চর্চায় রেখেছে তার ব্যক্তিগত জীবন :
কি বলুন তো সিনেমা নয়, শ্রাবন্তীকে চর্চায় রেখেছে তার ব্যক্তিগত জীবন যা বিতর্কে ভরা। একের পর এক বিয়ে ,তারপর একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক (Srabanti Chatterjee personal life)। সেই বিয়ে থেকে আবার বেরিয়ে আসা । নতুন সম্পর্ক নতুন বিয়ে আবার ভাঙ্গন এভাবেই চলছে শ্রাবন্তীর চর্চিত জীবনের গ্রাফ। রাজীবের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি হবার পর শ্রাবন্তী রাজীবকে ডিভোর্স দেন এছাড়াও তিনি কৃষাণ বিরাজ নামক একজন মডেলকে বিয়ে করলেও পরবর্তীতে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
আরো পড়ুন- Butterfly: বিয়ের কার্ডে ‘শ্রীশ্রী প্রজাপতয়ে নমঃ’ কেন লেখা থাকে? প্রজাপতির ভূমিকা কী?
তারপর শ্রাবন্তী ২০১৯ সালে রোশন সিং কে বিবাহ করেন। সেই বিয়েও টেকেনি। একমাত্র ছেলের নাম ঝিনুক। জীবনে উত্থান পতন যাই হোক না কেন, মা হিসেবে ছেলেকে কোনদিনই দূরে সরান নি শ্রাবন্তী। সব সময় দেখেছেন নিজের কাছে। অনেকে বলেন তার নাকি এক পুরুষের মন টেকে না। বহুগামীতার কথাও আনেন অনেকে। কিন্তু শ্রাবন্তী ভীষণ প্রাণোচ্ছল ।
আরো পড়ুন- Kota Rani : ভূস্বর্গ কাশ্মীরের মহারানীর নাম জানেন ? জানেন কাশ্মীরের ক্লিওপেট্রা কোটারানির কাহিনী?
তার মতে একটা জীবন বাঁচতে হবে নিজের শর্তে। যদি কোন সম্পর্কে ভালো না থাকা যায় তাহলে তিক্ততা না বাড়িয়ে বেরিয়ে আসাই ভালো। যাকে একবার বিয়ে করবো তার সঙ্গেই আগামী ৬০-৭০ বছর কাটাবো এমন কোন বাধ্যবাধকতা তো নেই। আমরা প্রতিদিন ভালো থাকতে চাই, ভালো পরতে চাই তাহলে ভালো সম্পর্কের খোঁজ করতে গিয়ে যদি জীবনে বাঁধা আসে সেটা কাটিয়ে উঠে আবারো নতুন করে সন্ধান করা কি খুব খারাপ?
আরো পড়ুন- বেদের মেয়ে জোৎস্না দেখেছেন? এই ছবির ব্যবসায়িক সাফল্যে জানেন? Beder Meye Josna
নিজের যুক্তিতে অটল শ্রাবন্তী ব্যক্তিগত জীবন যাই হোক না কেন তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের নিঃসন্দেহে এক ভালো অভিনেত্রী। আমরা চাই তার আরো ভালো ভালো সিনেমা আসুক আর তিনি ভালো থাকুন।