Breaking Bharat: কম্পিউটারের এই কোর্স গুলো ভালো করে শিখে রাখুন ভবিষ্যতে কাজে লাগবে, আজকের যুগে কম্পিউটার (Computer) ছাড়া জীবন ভাবা যায়? কিন্তু কম্পিউটারের কোন শিক্ষা আপনার ভবিষ্যতে জীবন কে ভালো রাখবে বলুনতো?
যত সময় এগোচ্ছে মানুষ প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়ছে। যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে গেলে যুগের সমকালীন কিছু শর্ত মেনে চলা দরকার। তা না হলে পিছিয়ে পড়বেন আপনি। আর এখন সময় ডিজিটাল বিশ্বের। ভারতের প্রধানমন্ত্রী তো আগেই ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
ডাক্তার এপয়েন্টমেন্ট হোক কিংবা অনলাইন পড়াশোনা, খাবার অর্ডার দেওয়া হোক কিংবা কেনাকাটা সবেতেই এখন আপনি প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। একটু ভালো করে লক্ষ্য করে দেখবেন এই সব কিছুতেই কিন্তু কম্পিউটার স্কিল খুব কাজে লাগে (Learn these computer courses well)।
কারণ মোবাইল হোক বা ল্যাপটপ, ট্যাব হোক বা স্ক্রিন টাচ ডিভাইস – সবকিছুর জন্যই লাগে কম্পিউটারের কিবোর্ড, সেটা মুখস্থ আর জানা দুটোই দরকার । তাই এখন যদি আপনার জীবন গড়ার সময় হয় বা আপনার পরিবারের কেউ হয়তো এখন পড়ুয়া, তাকে ভবিষ্যৎ জীবনে দিশা দেখাতে কম্পিউটারের কোন কোন স্কিল রপ্ত করা প্রয়োজন সে বিষয়ে প্রতিবেদন।
আগেই বলেছি বর্তমান যুগ হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ৷ কম্পিউটার ছাড়া আজকাল সবকিছু একেবারেই অচল বলা ৷ আর প্রশ্ন হচ্ছে কী করা যায় না কম্পিউটার দিয়ে? অফিসের কাজ থেকে শুরু করে ফ্রিল্যান্সিং, স্কুলের সায়েন্স প্রোজেক্ট বানানো, বিভিন্ন ইভেন্টের ব্যানার তৈরি, কলেজের প্রেজেন্টেশনসহ অনেক কিছুই কম্পিউটার এর মাধ্যমে করা সম্ভব।
আর কম্পিউটার এর কিছু নির্দিষ্ট স্কিল অর্জন (computer skill) করতে পারলে সহপাঠীদের তুলনায় এগিয়ে থাকা যাবে কয়েকশো গুণ! এ বিষয়ে সবার আগেই বলা দরকার তাই করার ক্ষমতাকে বাড়াতে হবে যাতে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়েই টাইপ করা যায়, কী বোর্ডে তাকাতে না হয় ততটা প্র্যাকটিস করতে হবে।
টাইপ করার সাধারণ নিয়ম হচ্ছে ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে ৪০টি শব্দ এবং বাংলা ২৫টি শব্দ টাইপ করতে পারতেই হবে। এটা যেমন এসাইনপিং টি কাজে দেবে অন্যদিকে পেশাগতভাবে ও এটাকে ব্যবহার করতে পারবেন আপনি কারণ ভাল টাইপিস্ট- এর কদর ও প্রয়োজন সর্বত্র।
গুগলে গিয়ে বিভিন্ন অনলাইন টাইপিং টেস্ট সাইট থেকে নিজের টাইপিং স্পিড চেক (Typing speed check) করা যেতে পারে অথবা স্টপওয়াচ দিয়েও এটা প্র্যাকটিস করা যায়।
এবার বলি বেসিক এক শিক্ষার কথা আর সেটা হল ডকুমেন্ট তৈরি। Microsoft Word ও Google Docs এর মাধ্যমে খুব সহজেই এবং বিনামূল্যে ফাইল তৈরি করা যায়। Microsoft Word হলো বিশ্বের বহুল ব্যবহৃত ডকুমেন্ট তৈরির সফটওয়্যার। ৯০% মানুষ নিজেদের কাজে এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে থাকে।
তবে এ ব্যাপারে খুঁটিনাটি জানা দরকার । এই যেমন ধরুন, ডকুমেন্ট ফাইলে শব্দ বড়-ছোট করা, হাইপার লিংক তৈরি করা, শব্দ বোল্ড, ইটালিক বিভিন্ন ফন্টে আনা, প্যারাগ্রাফ করা সহ আরো অসংখ্য ছোটখাটো স্কিল শিখে নেয়া খুব জরুরি। এই সফটওয়্যারগুলোর মাধ্যমে প্রেজেন্টেশন ও নোট খুব সহজেই তৈরি করা যায়।
Google এবং Office 365 অনলাইনেও ব্যবহার করা যায়। ফলে শুধু কম্পিউটারই নয়, এর মাধ্যমে মোবাইলেও যখন তখন লেখা এবং ফাইল এডিট করা যাবে। এর পাশাপাশি এক্সেল সম্পর্কে ভালো নলেজ থাকা দরকার। Microsoft Excel বা Google Sheets মূলত হলো একধরণের spreadsheet।
যেকোনো প্রতিষ্ঠানই হোক না কেন এই বিষয়ে দক্ষ লোকের প্রয়োজন হবেই হবে। এই স্কিল অর্জনের মাধ্যমে সহজেই ডাটা এন্ট্রির কাজ করার সুযোগ মিলবে (Opportunity to perform data entry work)। মাথায় রাখুন শুধুমাত্র লেখালেখি করলে বা হিসেব করলেই হবে না সেটাকে প্রেজেন্ট করতে হবে দক্ষ ভাবে।
প্রোজেক্ট ডিসপ্লে এবং প্রেজেন্টেশন তৈরি করার ক্ষেত্রে সেই দুইটি সফটওয়্যার আমাদের সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে, তা হলো Google Slides এবং Microsoft PowerPoint। এই Microsoft PowerPoint এ রয়েছে অসংখ্য টুলস, যার মাধ্যমে প্রেসেন্টেশন কে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারা যায় তবে চর্চার থাকতে হবে ।একবার শিখে বহুদিন না করলে ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরো পড়ুন- Flower : প্রায় ১৮৮ বছর আগে চিরকালের মতো শেষ হয়ে গেছিল, সে আবার ফিরে এলো পুনর্জন্ম নিয়ে।
আর Google Slides এ খুব বেশি টুল না থাকলেও চটজলদি প্রেজেন্টেশন তৈরির কাজে এর কিন্তু জুড়ি মেলা ভার! দু’টিতেই রয়েছে অসংখ্য স্লাইড তৈরি করার অপশন। সেই সাথে ছবি অ্যাটাচ করা যায়, মিউজিক অ্যাড করা যায়, থিম পালটানো যায়, ফন্ট চেঞ্জ করার পাশাপাশি এর কালার ও সাইজেও পরিবর্তন আনা যায়।
বেসিক ব্যাপার তো বলা হলো এবার আরেকটু ওপরের স্তরে যাই। রিসার্চ অর্থ অনুসন্ধান করা। বিষয়টি শুনতে নতুন লাগলেও ব্যাপারটা সহজ।বিভিন্ন ওয়েব ব্রাউজারে কোনো বিষয় সার্চ দিয়ে তা নোট করাকেই রিসার্চ বলে৷ যেমন: কেন এইটা হয়? কী জন্য হয়? এটা হলে লাভটা কী?
আরো পড়ুন- Film industry : সিনেমায় অভিনয় করার স্বপ্ন দেখেন? ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নেপোটিজম বলতে কি বোঝায়?
রিসার্চ মানে এই না যে, শুধুই এসাইনমেন্টের জন্য ডাটা কালেক্ট করা। রিসার্চ অর্থ সত্য উদঘাটন করাও বটে! রিসার্চ তখনই করা লাগে, যখন কেউ কোনো সমস্যার সমাধান খোঁজে। কোনো প্রজেক্ট তৈরি করার জন্যেও রিসার্চ করা লাগে। আজকাল গ্রাফিক ডিজাইনারের বেশ চাহিদা আছে। তাই কম্পিউটারে Adobe Photoshop আর Adobe Illustrator ব্যবহারে পারদর্শী হয়ে উঠতে পারলে ভবিষ্যতে তা কাজে দেবে।
আরো পড়ুন- Baby: সন্তান বাবা-মা দুজনেরই ,কিন্তু বাবাকে ছাড়াই সন্তান জন্ম দিতে পারবে মা? এও কি সম্ভব?
সবশেষে বলি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট আজকাল বেশ উন্নত হয়েছে। কিন্তু সকলেই এর ছোটখাটো বিষয়গুলো জানেন না। দীপা কি পড়েন অনেকেই তাই এই নিয়ে পড়াশোনা করা থাকলে আখেরে সুযোগ মিলবে আপনার। আর হার্ডওয়ার সম্পর্কে একটু জ্ঞান থাকা ভালো।
কোন সিপিইউতে র্যাম ঠিক নেই বা মাদারবোর্ডের ফাংশন ঠিকঠাক কাজ করছে না, এইসব টুকিটাকি জানলে আপনি যেখানেই কাজ করুন প্রয়োজনে আপনারে ডাক পড়বে। তাহলে আর কি একটু পড়াশুনা করে নিজেকে তৈরি করে নিন, দেখবেন আপনার বিকল্প খোঁজা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।