Breaking Bharat: জীবনে কঠিন সময় (Hard Times) এলে তা কাটিয়ে ওঠা বড়ই কঠিন, তাই না? জীবন বড় জটিল, এর নিয়ম আর সমীকরণ বোঝা দুঃসাধ্য ব্যাপার। একটা কথা সত্যি যে জীবন মানেই অনেকটা লড়াই একটুখানি স্বস্তি। জীবনের সবথেকে খারাপ সময় অনেক বেশি দীর্ঘ হয় আর ভালো সময় খুব তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যায়। এইভাবেই ভালো খারাপের ব্যালেন্স করতে করতে জীবন তার সময় হারায় আর মৃত্যু দরজায় এসে কড়া নাড়ে।
কঠিন সময়ের যে দীর্ঘ পথ তা পেরিয়ে যাওয়া আরও বেশি কঠিন। যখন চারপাশের সবকিছুকে মনে হয় একটা বন্ধ দরজার মত, যখন আলোর শেষ বিন্দুটুকুও দেখতে পাওয়া যায় না, তখন থেকে জীবনের লড়াইটা ফুল স্পিডে চলতে শুরু করে। আজ প্রতিবেদনে কঠিন মুহূর্তকে কাটিয়ে ওঠার বিশ্লেষণ আর নানা উপায় পর্যালোচনা করার পালা।
জীবনে কঠিন সময় এলে তা কাটিয়ে ওঠা বড়ই কঠিন!
একটা কথা সত্যি জীবনে হার মানলে চলবে না (Don’t give up in life)। কিন্তু আরো বড় সত্যি হলেও এই কথাটা বলতে লিখতে পড়তে যতটা সহজ, বাস্তবে জীবনে যখন খারাপ সময় আসে তখন এই কথাকেই বেদ বাক্য মনে করে এগিয়ে চলাটা চূড়ান্ত কঠিন। আপনি কি জানেন কঠিন সময়ের আঘাতে (Hit by hard times) কত জীবন চিরকালের মত শেষ হয়ে যায়?
আর কোন আশা নেই আর কোন উপায় নেই, এই একটা ভাবনা আত্মহননের চিন্তাকে কতটা মারাত্মক আর বিধ্বংসী করে তোলে? এই বিষয়ে ডাক্তাররা গভীরভাবে চিন্তা করছেন কারণ যতদিন যাচ্ছে কঠিন সময় কি করে পার করব এই প্রশ্ন নিয়ে, মানসিক বিপর্যস্ত মানুষ (Mentally disturbed people) পৌঁছে যাচ্ছেন ডাক্তারের চেম্বারে। মনস্তত্ত্ববিদদের মন নয় মাথা খাটিয়ে উপায় বার করতে হচ্ছে।
পৃথিবীর সবচাইতে কঠিন একটা বিষয় হচ্ছে মানুষের মনকে পড়া। তাই নিজে যখন খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন (Going through bad times), জীবনটা দুর্বিষহ মনে হচ্ছে, কোনও দিকে কোনও আশার আলো নেই- এই সময়টা নিজের মনকে জানতে একটুখানি খরচ করুন। এ কঠিন সময়ে মানব মনকে নিয়ে নাড়াচাড়া করুন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এ পদ্ধতি কাজে আসবে।
কঠিন সময়ে যে কোন কিছুর সত্যতা নির্ণয় করতে নানান মেটেরিয়ালের প্রয়োজন হতে পারে। কাজেই যেকোনো কঠিন ধাপ সামলানোর মানসিকতা রাখুন। একটা কথা মাথায় রাখবেন জীবনকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করলে হয়তো সব প্রশ্নের উত্তর চোখের সামনে আসতে শুরু করবে এক এক করে।
এই সময়টা তে একটু ফেলুদা হয়ে যান না, বা সত্যান্বেষী! সার্বিক পরিস্থিতি গোয়েন্দাদের মত পর্যবেক্ষন করতে থাকুন। কঠিন সময়ে নিজেকে বিভিন্ন চরিত্রে এক্সপেরিমেন্ট করার মতো মানসিকতা থাকে না জানি। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে আপনি নিজে থেকে কতটা চেষ্টা করছেন?
দেখবেন আপনি যদি মন খারাপ নিয়ে রাস্তায় বেরোন, চারপাশে এমন একাধিক ঘটনা ঘটবে যাতে আপনি কিছুক্ষণ পর নিজের মন খারাপের আসল কারন টা ভুলে যাবেন। এমনটা কিন্তু আপনার আমার সবার জীবনেই হয়ে থাকে কিন্তু আমরা এড়িয়ে যাই বা বলা যেতে পারে পাত্তা দিই না। একটা কাজ করুন এই সময়ে একটু আপন ভোলা হয়ে ঘুরে বেড়ান দেখি এদিক ওদিক ঘুরে আসুন।
আরো পড়ুন- People: মানুষ সোজা পথে চলতে চায় না, আর বাকা পথে সবারই আগ্রহ বেশি! কারণ কি জানেন?
কঠিন সময়ে কে আপনার সাথে কেমন আচরণ করছেন,তাদের একটি তালিকা তৈরি করে ফেলুন।কঠিন সময় উতরানোর জন্য প্রয়োজন- সাহসিকতা,মানসিক মনোবল এবং দৃঢ়তা। মনে রাখবেন যে কারণের জন্য আপনার বর্তমান অবস্থা ঠিক নেই সেই কারণকে খুঁজে বের করে উপযুক্ত জবাব তো দিতেই হবে, তার পাশাপাশি একটু শিশুসুলভ মানসিকতাকে ফিরিয়ে আনা যায় না কি?
আরো পড়ুন- Use Zero : জীবন মানেই মহা শূন্যতা, জীবনটা একটা অঙ্কের মত, যেন শূন্যতেই সব শেষ?
চেষ্টা করলে চাঁদ পর্যন্ত হাতের মুঠোয় চলে আসে অন্তত আজকের দিনের মহাকাশ বিজ্ঞান তো তাই বলে। তাহলে কঠিন সময় টাকে পেরিয়ে যেতে পারবেন না আপনি যিনি কিনা এত ঘাত প্রতিঘাতের সঙ্গে লড়াই করে আজ এখানে। নিজেকে একটু বিশ্বাস করুন না, একটু সিনেমা দেখুন একটু গান করুন, পুরনো কবিতার বই, পুরনো ছবির অ্যালবাম, ডাইরি লেখা কিংবা কার্টুন দেখা – সবটাই করতে পারেন।
আরো পড়ুন- Titanic : টাইটানিককে বাঁচানো যেত কি? কাছের তিন জাহাজ কেন বাঁচালো না টাইটানিককে?
অন্যের মনস্তত্ত্ব নিয়ে বিচার করতে পারবেন? আচ্ছা বিশ্লেষণ করে দেখুন না! কঠিন সময়ে নিজেকে বিভিন্ন ভূমিকায় অভিনয় করার জন্য প্রস্তুত করুন। অভিনয় করাটা খুব দরকার জানেন, আসল খাঁটি মানুষটাকে বাঁচিয়ে রাখতে আজকাল অভিনয় করতে হচ্ছে প্রতিটা মানুষকে।