Breaking Bharat: Paracetamol: শরীর থাকলে সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু শরীরে যদি কোনও রকমের অস্বাভাবিকত্ব দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই উপযুক্ত ট্রিটমেন্ট করা দরকার। যেকোনো ছোটখাটো সমস্যায় সকলেই কমবেশি ডাক্তারি নিজেরাই করে থাকেন। এটা করা একেবারেই উচিত নয় ,কারণ বিষয়টা হিতে বিপরীত হতে পারে। এই ধরনের এক্সপেরিমেন্ট সবথেকে বেশি চলে যদি জ্বর হয়। সঙ্গে সঙ্গে হাতের সামনে প্যারাসিটামল হাজির হয়ে যায়। আসলে এই ওষুধটি কী জানা আছে? (How much paracetamol is safe per day?)
অনেকেই শরীরের তাপমাত্রা বাড়লে বা একটু জ্বর জ্বর ভাব ও সর্দি দেখা দিলেই প্যারাসিটামল (paracetamol tablet) খেয়ে নেন। পেইনকিলার হিসেবে অনেকেই প্যারাসিটামল খেয়ে থাকেন যাতে দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত না ঘটে এবং দ্রুত রোগ থেকে মুক্তি মেলে। কিন্তু কিছু জিনিস জেনে রাখা দরকার , না হলে ভবিষ্যতে আপনার অজান্তেই বিপদ ঘটতে পারে। কারো জ্বর কিংবা শরীর ব্যথা শুনলেই আমরা তাকে প্যারাসিটামল ২ বেলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকি। কিন্তু ডাক্তার বলছেন শরীরের তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রির উপরে না উঠলে ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।
মনে রাখা দরকার যে শরীরের একটা ইমিউনিটি সিস্টেম আছে। চিকিৎসকদের মতে ভাইরাল ফিভার নিজে থেকেই সেরে যায়। এর জন্য শুধু বিশ্রাম আর পর্যাপ্ত তরল জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। সামান্য তাপমাত্রা বাড়লেই কিংবা শরীর ব্যথা করলেই প্যারাসিটামল খেয়ে নেওয়ার অভ্যাস অত্যন্ত বিপজ্জনক! (paracetamol harmful)
এবার প্যারাসিটামল সম্পর্কে কিছু তথ্য জানিয়ে রাখি। একদিনে মানে ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসকরা সর্বাধিক তিন থেকে চারবার প্যারাসিটামল খাওয়ার পরামর্শই দেন। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, ২৪ ঘণ্টায় ৪ গ্রাম বা ৪০০০ মিলিগ্রামের বেশি প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে না।এটি মূলত OTC Drug তাই চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এটি বিক্রি হয় এবং যে কেউ কিনতে পারেন। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৫০০ মিলিগ্রামের একটি ট্যাবলেট, কখনো প্রয়োজনে দুটিও খেতে হতে পারে।
তবে তাই বলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া প্যারাসিটামল গ্রহণ করা একেবারেই অনুচিত। অনেক সময় দেখা যায় মাথাব্যথা, গলা ব্যথা, মাংসপেশীতে ব্যথা, দাঁতের ব্যথা, পিরিয়ড ক্র্যাম্প ইত্যাদিতে প্যারাসিটামল খুবই কার্যকর (Paracetamol Uses)। গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মাত্রাতিরিক্ত প্যারাসিটামল খেলে অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাকটিভিটি ডিসর্ডার (ADHD) বা অ্যটিস্টিক স্পেকট্রাম ডিসর্ডার (ASD)-এর মতো মারাত্মক স্নায়ুরোগ দেখা দিতে পারে বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞরাই।
আরো পড়ুন- Earphone : ইয়ারফোন ব্যবহার করেন? তাহলে অবশ্যই ইয়ারফোন কেনার আগে এই বিষয়গুলো জেনে নিন
আরো পড়ুন- Electric Shock : হঠাৎ করে কেউ বিদ্যু পৃষ্ঠ হলে কি করবেন? জেনে নিন বিস্তারিত
প্যারাসিটামলের সাইড ইফেক্ট (paracetamol side effects) সাধারণত গুরুতর নয়। তবে মাঝেমধ্যে এলার্জি এর সমস্যা, রক্তচাপ কমে কমে যেতে পারে যদি ইনজেকশনের মাধ্যমে প্যারাসিটামল শরীরে দেয়া হয়। শিশুদের বয়স আর ওজন অনুযায়ী প্যারাসিটামল খাওয়ানো উচিত। তাই শিশুদের প্যারাসিটামল খাওয়ানোর ক্ষেত্রে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে।
আরো পড়ুন- Work from home : বাড়ি থেকে অফিসের কাজ? এই নয়া পদ্ধতির ভালো খারাপ দিক কী কী?
মাথায় রাখবেন অতিরিক্ত ওষুধ কখনোই শরীরের জন্য কাঙ্ক্ষিত নয়। দীর্ঘদিন প্যারাসিটামল খেলে লিভার ড্যামেজ, কিডনীর সমস্যা, হার্টের সমস্যা ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে (paracetamol dose for adults per day) । তাই একটু জ্বর হলো বা গা ম্যাজম্যাজ করছে, ব্যাস সঙ্গে সঙ্গে প্যারাসিটামল খেয়ে নিলেন – এটা ভুলেও করবেন না।