Breaking Bharat: মিষ্টিভাসি মিষ্টি প্রিয় বাঙালির রসনা তৃপ্তি কি হয় গুড় ছাড়া? (Molasses ) কিন্তু সাবধান ভেজাল খাচ্ছেন না তো?কথায় বলে, ” পেটে খেলে পিঠে সয়” । আর মনের পূর্ণতা জিভের স্বাদে তাই না? খেয়ে যদি ভেতর থেকে তৃপ্তি না আসে তাহলে সে খাবার খেয়ে লাভ কী? তাই তো বাঙালিকে চেনা যায় রসনার শেষ পাতে মিষ্টিতে। মানে খাওয়া সম্পূর্ন হয় ওই মধুরেন সমাপয়েত আর কি! আর মিষ্টির কথাই যখন হচ্ছে তখন গুড় নিয়ে কথা না বললে কেমন যেন পেট গুড়গুড় করে তাই না?
আহা! কী তার গন্ধ আর সাধ! ঘ্রানেই অর্ধ ভোজন যেন সম্পূর্ণ। যদি তা খাঁটি হয়। আসলে বাঙালির গুড় প্রীতি বড্ড বেশি। গুড়ের মিষ্টি গন্ধ আর স্বাদ (Sweet smell and taste of molasses) গুড়প্রেমীদের মন কেড়ে নেয়। শীতের এ সময় পিঠা-পায়েসে গুড়ের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আপনি কি জানেন ডাক্তারেরা অনেক সময় গুড় খেতে বলেন? আসলে চিনির থেকে গুড় স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো (benefits of molasses)।
অনেকে তো শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত গুড় খান। বিজ্ঞান বলে,গুড়ে ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, সেলেনিয়াম এবং পটাশিয়াম থাকে। যার ফলে গুড় খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা কম হয়। গুড় বললেই তো সবার আগে খেজুরের রস থেকে তৈরি করা মিষ্টি গুড় (molasses made from date palm juice) এর কথাই মাথায় আসে। । অনেক দেশে পামের রস থেকেও গুড় তৈরি করা হয়। রস সংগ্রহ করার পরে তা বড় পাত্রে সংরক্ষণ করা হয় এবং তা কিছুক্ষণ স্থিরভাবে রেখে দিয়ে জ্বাল দেয়া হয়।
এই রস আগুনের তাপে ফুটে ওঠে এবং গুড়ে পরিণত হয়। কিন্তু সবটাই ঠিক হয় গুড় গুণগত দিক থেকে খাঁটি হয়। আজকাল লোভে পড়ে লাভের আশায় ব্যবসায়ীদের কাছে ভেজাল গুড় (adulterated jaggery) তৈরি যেন মুনাফা বাড়ানোর মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃত্রিম রাসায়নিক উপাদান দিয়ে গুড় তৈরি হয় আজকাল। বাড়তি চাহিদা সামাল দিতে এবং রং উজ্জ্বল করতে খেজুর গুড়ে চিনি, ফিটকিরি ও রাসায়নিক মেশানোর অভিযোগ রয়েছে। আর এইসব খেয়ে ক্ষতি হবে আপনার।
গুড় কেনার সময় অবশ্যই রং দেখে নিন। তাহলে খাঁটি আর ভেজালের পার্থক্য বুঝবেন। অনেক ক্ষেত্রেই আসল আর নকলের ফারাক দেখে বিচার করা যায় । যদি শুদ্ধ ভালো গুড় হয় তাহলে তার রং হবে, গাঢ় বাদামি। হলুদ রং থাকলে বুঝতে পারবেন যে রাসায়নিক কিছু মেশানো রয়েছে।মনে রাখবেন চকচক করলেই সোনা হয় না। তাই খাঁটি জিনিস চিনুন। (jaggery benefits)
আরো পড়ুন- Electric Shock : হঠাৎ করে কেউ বিদ্যু পৃষ্ঠ হলে কি করবেন? জেনে নিন বিস্তারিত
ভেজাল গুড়-পাটালি চকচক করে। গুড়ের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে পাটালি তৈরি করলে সেটা খুব শক্ত হয়। সেক্ষেত্রে রসাল স্বাদ থাকে না। পাটালির রং কিছুটা সাদা হয়ে যায়। গুড়ে হাইড্রোজ, ফিটকিরি ব্যবহার করলেও পাটালির রং সাদা হয়। আর সেই পাটালি ভীষণ শক্ত হয়।আসল খেজুর গুড়ের পাটালি চকচক করে না। খাঁটি পাটালির রং হয় কালচে লাল। সেটা নরম ও রসাল থাকে। অনেক সময় পাটালির ওপরের অংশ কিছুটা শক্ত হতে পারে, কিন্তু ভেতরটা রসাল হয়।
আরো পড়ুন- Item Songs : আইটেম গার্ল মানে কী? সিনেমা মানে নাচ গান, তাহলে আইটেম সং ছাড়া জমে কি ?
কেনার সময় শুধু চোখে নয়, চেখে দেখুন। যদি স্বাদ নোনতা থাকে তাহলে বুঝবেন কিছু মেশানো রয়েছে। এই ধরনের গুড় যত পুরনো হবে তত নুনের মাত্রা বেশি থাকবে।আর স্বাদ তিক্ত লাগলে অবিলম্বে সেই গুড় কেনা থেকে বিরত থাকুন। সরকার বারবার বলে সজাগ ক্রেতাই সচেতন ক্রেতা, এবার আপনিও সেটা প্রমাণ করে দিন।