Breaking Bharat: ইলেকট্রিকের শক্তি কত বলুন তো? কোনও দিন ঝটকা লেগেছে? কী করবেন এমন হলে? বিদ্যুৎ ছাড়া জীবন চলে না। দু মিনিট বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকলে প্রাণ যেন হাঁপিয়ে ওঠে। আর সেই বিদ্যুৎ যদি হালকা করে আপনাকে একবার ছুঁয়ে যায় (Electric Shock) তাহলে নিজেকে পুরো দাবাং সলমন ভেবে গাইতে হবে, ” লগে চারশো চালিস ভোল্ট ছুঁ নে সে তেরে”। ব্যাপারটা আন্দাজ করতে পারছেন নিশ্চয়ই। কিন্তু বিষয়টা জেনে নেওয়া দরকার, মানে কখনও এমন অবস্থায় পড়লে কী করবেন তার বিস্তারিত আইডিয়া আছে কি? (causes of electrical accidents)
আজকের দিনে প্রতি বাড়ীতে ইলেকট্রিকের ব্যবহার বাড়ছে। সাথে বাড়ছে কারেন্টের তারের প্যাঁচ । হুটহাট অসাবধানতায় ইলেকট্রিক শক খাওয়ার খবর বারবার শিরোনামে উঠে আসছে। তাই বিদ্যুৎজনিত দুর্ঘটনার ব্যাপারে জ্ঞ্যান থাকা খুব জরুরী (electrical accident example)। সজাগ আর সচেতন থাকলে অনেক বড় বিপদ থেকে নিজেকে এবং প্রিয়জনকে রক্ষা করা যায়। হঠাৎ করে তড়িতাহত হলে কী করণীয় আজ জানাই আপনাদের: (types of electrical accidents)
কেউ বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হলে সবার আগে কারেন্টের সুইচ বন্ধ করুন। প্রথমেই তাঁর গায়ে হাত দিতে যাবেন না তিনি আপনার যত প্রিয় মানুষই হোন না কেন। মনে রাখবেন তাঁকে বাঁচাতে গেলে আপনাকে ঠিক থাকতে হবে। তাঁকে ঐ অবস্থায় ধরলে তাঁকে তো বাঁচাতে পারবেনই না, বরং আপনিও একই সাথে ইলেকট্রিক শক খাবেন।
শুকনো খবরের কাগজ, উলের কাপড়, শুকনো কাঠের টুকরা অথবা রাবার দিয়ে ইলেকট্রিক শক খাওয়া ব্যক্তিকে থেকে ধাক্কা দিয়ে ইলেকট্রিক শকের উৎস থেকে আলাদা করতে হবে। অর্থাৎ বিদ্যুতের কুপরিবাহি জিনিস ব্যবহার করা দদর্কার। আর এসবের মাঝেই দ্রুত বৈদ্যুতিক অফিসে খবর দিতে ভুলবেন না।
এরপর যদি দেখেন শক খাওয়া ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে গেছেন বা তাঁর শ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে, তাহলে সব ছেড়ে সবার আগে তাঁকে দ্রুত কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। সাধারণত বলা হয় যে ৩ মিনিট এর ভিতর কৃত্রিম শ্বাস -প্রশ্বাস এর ব্যবস্থা করা গেলে ১০ জনের মধ্যে অন্তত ৭ জনকে বাঁচানো সম্ভব।
আরো পড়ুন- Tube well Water : নলকূপের জল খান? আর্সেনিক মুক্ত জল খেতে কত গভীর নলকূপ প্রয়োজন?
দেরি করলে বাঁচানোর সম্ভাবনা কমবে বৈকি। মনে রাখবেন যে কোনও দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে মাথা ঠান্ডা রেখে কত দ্রুত মেডিকেল সাপোর্টের ব্যবস্থা করা যায় সেটা জরুরী। সেরকম হলে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
যদি দেখেন শক খাওয়া ব্যক্তির হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায় তবে তার বুকের ওপর জোরে জোরে চাপ দিতে হবে ৷ যদি শক খাবার পরও শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকে তবে খুব বেশি ভয়ের কিছু নেই। রোগীকে শুয়ে থাকতে বলুন এবং পরীক্ষা করার জন্য ডাক্তারকে খবর দিন।
আরো পড়ুন- Item Songs : আইটেম গার্ল মানে কী? সিনেমা মানে নাচ গান, তাহলে আইটেম সং ছাড়া জমে কি ?
আসলে আমাদের নিজেদের একটু সজাগ থাকতে হবে। অনেক সময় ইলেকট্রিক সামগ্রী অতিরিক্ত ব্যবহার বা অব্যবহারের কারণে নষ্ট হয়ে যায়।যার ফলে দুর্ঘটনার শিকার অনেকেই হন।এই ক্ষেত্রে নিয়মিত ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি যেমন ফ্রিজ, এসি, ওভেন ইত্যাদি একজন দক্ষ মেকানিক দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে রাখাটা জরুরী (electrical accidents case studies)।
আরো পড়ুন- Sinus Symptoms : সর্দি কাশির ধাত আছে? মাথার যন্ত্রণা হলেই কি সাইনাস? সাইনাস রোগটা আসলে কি?
নিয়ম করে এই কাজটি গুরুত্ব দিয়ে করুন। মাথায় রাখুন বিপদ কিন্তু নিমন্ত্রণ পত্র দিয়ে আসে না। তাই সব সম্ভবপর ঘটনার জন্য তৈরি থাকুন।