Breaking Bharat: কথায় বলে বাঙাল ঘটি ফাটাফাটি! কিন্তু এই দুই জাতিকে চিনবেন কীভাবে? বাঙালির এক অঙ্গে নানা রূপ (Bengal vs Ghoti)। সাধারণত হিন্দুদের মধ্যে অনেকগুলো জাতি আছে যেমন বাঙালি পাঞ্জাবি, গুজরাটি ইত্যাদি। নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান সম্বৃদ্ধ ভারতবর্ষে বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন মানুষ বসবাস করেন। রাজ্যের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য যেন সে রাজ্যের বসবাসকারীদের জাতিগত পরিচয় হয়ে যায়।
যেমন ধরুন আসামে বসবাস করলে অসমীয়া আবার বাংলায় বসবাস করলে বাঙালি। কিন্তু এই বাঙালি জাতি বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। এই জাতি যেখানেই থাকুক না কেন নিজেদের পছন্দ-অপছন্দকে সেই স্থানের উপর বলবৎ করবে না এটা হতেই পারে না। কথায় বলে মাছে ভাতে বাঙালি।
যেখানে মাছ পাওয়া যায় না সেখানেও যদি বাঙালি যায় , তাহলে মাছ খুঁজে বের করার চেষ্টা করতেই থাকে এই বাঙালিকে দুটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়, এক ঘটি, আরেক বাঙাল। বলুন দেখি ইহাদের কী দিয়ে যায় চেনা ?বাঙ্গালীদের মধ্যে ঘটি আর বাঙাল নিয়ে লড়াই লেগেই থাকে। (ghoti and bangal surnames)
খেলার মাঠে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল (Mohun Bagan vs East Bengal) আবার খাবার পাতে চিংড়ী বনাম ইলিশ। আমুদে বাঙালির খোশ গল্পে তর্কে বারবার এই দুই এর ভিন্ন মত তৈরী হবেই হবে। সাধারণত পূর্ববঙ্গের লোকেদের পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় লোকেরা বাঙাল বলে অভিহিত করে থাকেন।
বাংলায় কথা বলার সময় শব্দগত ও উচ্চারনগত পার্থক্যের কারনে বাংলাদেশি ও এই জাতির অতীত বাঙালি পূর্বপুরুষদের বাঙাল বলা হয়। (What is Ghoti Bangal?) আর বাংলার পশ্চিম প্রান্তের মানে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ হলেন ঘটি। বাঙাল এবং ঘটির কথা বলার ক্ষেত্রে কিছুটা পার্থক্য আছে বিশেষ করে উচ্চারণ এর দিক দিয়ে বিচার করলে।
আরো পড়ুন- immortality possible : মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে, কিন্তু সারা জীবন বেঁচে থাকা যায় কি?
বাঙাল শব্দটি প্রথমদিকে ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ করে বলা হতো কারন পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় বাসিন্দারা, বিশেষ করে কলকাতা ও এর আশেপাশের অঞ্চলের লোকেরা শুদ্ধ প্রমিত বাংলায় কথা বলে আসছে কিন্তু পূর্ববঙ্গ বা পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বাংলাদেশের মানুষেরা শুদ্ধ প্রমিত বাংলায় কথা বলতে পারতো না বা বলতে চাইতো না। তখন থেকেই খ্যাপানো শুরু।
আরো পড়ুন- Iceland : পৃথিবীর সবচেয়ে শান্তির দেশ, নেই কোন অশান্তি ! কিন্তু এমন জায়গা আদৌ আছে কি?
পরবর্তীতে যখন পূর্ববঙ্গে মুসলমানরা নিজেদের জন্য আলাদা ভূমির দাবি করেন,পূর্ববঙ্গ থেকে বহু হিন্দু বাঙালি পশ্চিমবঙ্গে পাড়ি জমাতে শুরু করেন। পূর্ববঙ্গ তখন নবগঠিত পাকিস্তানের প্রদেশ পূর্ব পাকিস্তান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল।
এই মুহূর্তে ঘটি এবং বাঙাল (Ghoti and Bengal) প্রায় সমানুপাতিক হারে পশ্চিমবঙ্গে আছে বললে খুব একটা বাড়াবাড়ি বোধহয় হয় না। তবে এটাও ঠিক বাঙালদের সংখ্যা একটু কম। তবে রন্ধন কার্যে তাদের মত পারদর্শী ঘটিদের মধ্যেও দেখা যায় না।
আরো পড়ুন- Cat: বিড়াল নিয়মিত পেট পুরে দিব্বি খাবার খাচ্ছে, তবুও বিড়ালের শিকার করার প্রয়োজন কি?
তাই অতীতে কে, কোথায়, কবে, কী কারনে এসেছে বা গেছে বর্তমানে সেটার খুব একটা মূল্য নেই। এই মুহূর্তে ঘটি এবং বাঙাল তর্কে, লড়াইয়ে, মাঠে ময়দানে, ভোজনের আনন্দে বেশআছে জুটিতে দুটিতে। এই বেশ ভালো।