Breaking Bharat: মিথ্যে বলা ঠিক নয়, কিন্তু মিথ্যে কী করে ধরতে হয়, জানেন কি? কথায় আছে চুরি করা মহাবিদ্যা, অবশ্য ধরা না পড়লে। কিন্তু এই ব্যাপারটা কি মিথ্যে বলার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য? শুরুতেই বলে রাখি আমরা এই ধরণের কোনও কাজ করার জন্য আপনাকে উৎসাহ দিচ্ছি না। শুধু একটি বিশেষ যন্ত্র নিয়ে কথা বলার জন্য এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করলাম আমরা। আজকের কথা মিথ্যে ধরা নিয়ে। আগে বললে আপনি হয়তো ভাবতেও পারতেন না যে একটা যন্ত্র আপনার মিথ্যে কথা বলা ধরে দেবে তাও আপনার ওপর কোনও রকম শারীরিক কষ্ট বা বল প্রয়োগ না করে।
লাই ডিটেক্টর কিভাবে কাজ করে? (lie detector machine)
যন্ত্রের নাম “লাই ডিটেক্টর” অর্থাৎ যে কিনা মিথ্যে ধরবে (accurate is lie detector test)। যদিও এই যন্ত্র ফেলুদা বা ব্যোমকেশের সঙ্গে ছিল না। শার্লক হোমস এর সঙ্গী ছিল কিনা সেটা অবশ্য বলতে পারব না। সে যাই হোক এই অদ্ভুত যন্ত্র নিয়ে কথা এগোনো যাক।
আসলে কম বেশি মিথ্যে সবাই বলেন, আবার ধরাও পড়েন। মানে পৃথিবীতে এমন কোনও মিথ্যে নেই যা ধরা পড়ে নি । কেউ না কেউ, কোথাও না কোথাও সেই মিথ্যের পর্দা ফাঁস নিশ্চয়ই হয়েছে। কিন্তু গুরুতর রহস্য উন্মোচনে যখন মিথ্যেকে খুঁজে বের করতে হয় তখন সাহায্য লাগে এই লাই ডিটেক্টর এর (Do lie detector tests work?)।
মিথ্যে কী ভাবে ধরা যায়?
আপনাকে জানাই এই যন্ত্রটি সরাসরি কোনো মিথ্যা ধরতে পারে না। বরং এটি মিথ্যা কথা বলার (Mittha katha) সময় যে মানসিক চাপের সৃষ্টি হয় এবং এর ফলে তার দৈহিক যে সব পরিবর্তন হয় তা গ্রাফের সাহায্যে প্রকাশ করে (Is lie detector painful)। এই গ্রাফ বিশ্লেষণ করে বলা যায় সে সত্য বলছে না মিথ্যা বলছে। মানে অনেকটা ওই ইসিজির মতো। এটি একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম।
সাধারণত মিথ্যা বলার সময় আমাদের শরীরের ভিতরে নানা অনুভূতি প্রকট হয়েওঠে যেমন হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপও, শ্বাস প্রশাসের ছন্দের পরিবর্তন, ঘাম নিঃসরণ ইত্যাদি। এই সব কিছুই গ্রাফের আকারে ধরা দেয়। এইপ্রসঙ্গে বলে রাখি পলিগ্রাফ যন্ত্র দিয়ে কারো মিথ্যা বা সত্যি পর্যবেক্ষণ করেন পরীক্ষক। এবার কীভাবে পরীক্ষা হয় সেই নিয়ে কথা। সাবজেক্ট বা আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের আগে তার বাহু, বুক ও হাতের আঙ্গুলে তিনটি চিপ স্থাপন করা হয়।
আরো পড়ুন- স্মার্ট ফোন ছাড়া ঘুমাতে পারেন? বিছানাতে ফোন রেখে ঘুমিয়ে পড়া কি আদৌ নিরাপদ?
আরো পড়ুন- Tongue infection: গরম চা-কফি খেয়ে জিভ পুড়ে গেলে কী হবে? জেনে নিন কি করতে হবে ?
এই সব চিপ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে কম্পিউটার মনিটরে হার্টবিট, রক্তচাপ, শ্বাস-প্রশাস এবং ইলেকট্রিক রেজিস্ট্যান্সের রিডিং গ্রাফ দেখায়। হিসেব টা সহজ মানসিক চাপের ফলে শারীরিক কোনো পরিবর্তন হলে গ্রাফের রিডিং পরিবর্তন হতে থাকে। ফলে সাথে সাথে বোঝা যায় আসামি সত্য বলছে না মিথ্যা বলছে (lie detector machine known as)।
আরো পড়ুন- মেয়েদের মন বোঝা, নয় রে নয় সোজা – একথা কেন বলেন পুরুষেরা?
আরো পড়ুন- Amoled Display -এমোলেড ডিসপ্লে কী ? তা এমোলেড ডিসপ্লে সম্পর্কে জানা আছে তো?
প্রথমত , মিথ্যে বলতে গেলে টেনশন হয় তাতে রক্তচাপ ও হার্টবিট বেড়ে যায়। দ্বিতীয়ত,জিএসআর পরীক্ষার জন্য আসামির দুটি আঙ্গুলে চিপ স্থাপন করা হয়। আসামি যদি মিথ্যা বলে তাহলে তার লোমকুপগুলো সজাগ হয়ে যায়। লোমকুপ থেকে ঘাম বের হয়। ফলে ত্বকে পরিবর্তন আসে। আর তৃতীয় কারণ হল শ্বাস প্রশ্বাসে অস্বাভাবিকতা। কারণ সত্যি যত সহজে বলা যায় মিথ্যা তৈরি করতে তার মস্তিষ্ককে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। ফলে মস্তিষ্কে অঙ্জিনের ব্যবহার বাড়ে। আর এই সব থেকেই পাওয়া যায় প্রমাণ।