Breaking Bharat: ইস কী লজ্জা! আহা শুনতে কতই না সোহাগ জাগে, কিন্তু লজ্জা কেন লাগে? ছোট থেকে বড় হতে হতে কত প্রবাদ শুনতে হয় সবাইকে। যার মধ্যে মেয়েদের শোনার তালিকা একটু বেশিই দীর্ঘ। এটা কোরো না, ওটা ধোরো না শুনতে শুনতে জীবন কাবাড়।
তবে মাথায় রাখতে হবে এত কিছু শুনেও মুখে মুখে কথা বলা যাবে না, আর নিজের ইচ্ছে প্রকাশের আগে সবেতেই লজ্জা পেতে হবে। কারণ, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ! বুঝুন ঠেলা, তা এই বেলা পুরুষ কোথায় গেল?
(types of shame) আর লজ্জা বস্তুটি কী যে তাকে যখন তখন যেখানে সেখানে পেতে হবে। এই চক্করে কত ভালো ভালো জিনিষ আর মুহূর্ত মিস হয়ে যায় আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। তাই অনেকের মতে লজ্জা বিষয়টা বেশ কিছু ক্ষেত্রে ব্র্যাকেটের বাইরে রাখা যায় (physical symptoms of shame)।
কোন কোন ক্ষেত্রে লজ্জা পাওয়া উচিত নয়?
প্রথমেই প্রশ্ন আসতে পারে লজ্জা না করলে চলবে কী করে? সব কিছু কী সহজে প্রকাশ করা যায়, দৃষ্টিকটূ বা শ্রুতিকটূ বলে ব্যাপার নেই? হ্যাঁ আছে অবশ্যই আছে (how to overcome shame)। আপনি তাই মেনে যদি অনেক কিছুকে এড়িয়ে যেতে চান, তা যান।
আরো পড়ুন – বিছানায় পড়লেই যাদের ঘুম আসে চোখে, তারা সব থেকে সুখী মানুষ জানেন কি?
কেউ নিষেধ করেনি,তবে জীবনের আফশোষ নিয়ে মরণের পাড়ে যাওয়ার কোনও অর্থ আছে কি? যেমন ধরুন আপনি প্রেমে পড়েছেন, কিন্তু ওই লজ্জার (lojja) খাতিরে কিছু বলতে পারছেন না (signs of shame in a person)।
তাহলে তো আপনার লস! প্রেমের পাখি তখন উড়ে গিয়ে ধরা দিতে পারে অন্য ডালে, তখন আফশোষ করে কিশোর কুমারের বিরহ সঙ্গীত গাওয়া ছাড়া আপনার কোনও রাস্তা নেই। তাই প্রেমে লজ্জা করতে নেই। অবশ্য খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রেও লজ্জা (lojja) করলে লোকসান হয়।
আরো পড়ুন – নৈহাটির বড়মাকে দর্শন করতে গেছেন কখনো? ইতিহাস জানলে শিহরিত হবেন আপনি!
ভাবুন তো আপনার সামনে লোভনীয় সব খাবার আর আপনি লজ্জার মাথা খেয়ে কিছু না খেয়ে বসে আছেন। খুব খারাপ অবস্থা বটে (healing shame exercises)।
স্বামী স্ত্রী এর সম্পর্কে নাকি লজ্জা থাকতে নেই?
তবে এর পাশাপাশি বিপদে সাহায্য চাইতে লজ্জা পাবেন না। হ্যাঁ কারোর থেকে অকারণে সুযোগ নেওয়া উচিত নয় তবে প্রয়োজনে অবশ্যই সাহায্য চাইতে লজ্জা পাওয়া কাঙ্ক্ষিত নয়। আরও একটা বিশেষ বিষয় হল, সত্যি কথা বলতে কখনই লজ্জা পাওয়া উচিত নয়।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হলে লজ্জা, ঘেন্না, ভয় , সব ত্যাগ করতে হয়। আপনি যদি লজ্জা নিয়ে ঘরের কোণে বসে থাকেন তাহলে অন্যায়কারী সুযোগ আর সাহস পাবে সেই অন্যায় আবার করার।
আরো পড়ুন- A person ignores: সময়ের দোষ না নিজেদের অক্ষমতা? কেন বাড়ে দূরত্ব আর এড়িয়ে যাওয়া?
অনেকে বলেন স্বামী স্ত্রী এর সম্পর্কে নাকি লজ্জা থাকতে নেই।কিন্তু এটা দুজন মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। তাই তারাই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। আর হ্যাঁ মানুষ হিসেবে আপনি যদি গুরু গম্ভীর প্রকৃতির হোন, তাহলেও হাসির কথায় হাসুন। লজ্জা পাবেন না, হাসলে মন ভালো থাকে।