Breaking Bharat: ঘুম অতি প্রিয় বস্তু। আরামদায়ক অনুভূতি না হলে কি আর ঘুম আসে? না শুয়ে ঘুম কি আসে? সবকটা উত্তর হল “না” । কিন্তু সব কিছুর যেমন ব্যতিক্রম হয় এক্ষেত্রেও আছে। আর ব্যতিক্রম হলেন এক চতুষ্পদী নাম ঘোড়া। তিনি কিন্তু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘুমোন (horses sleep standing up)।
কী ভাবছেন এর পিছনে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে কি?
আসলে ঘোড়া চতুষ্পদী প্রাণী। ভীষণ পরিশ্রমী, ভার বহন করতে অনেক বেশি সক্ষম। বিশ্রাম নেওয়ার অবকাশ খুব কম (horses sleep so little)। তাদের বনে-জঙ্গলে দল বেঁধে চরে বেড়ানোর সময়ের অভ্যাস। তখন তাদের সব সময় শত্রুর আক্রমণের ভয়ে থাকতে হতো। চার পায়ের ওপর দাঁড়িয়ে ঘুমানোর সুবিধা হলো, বিপদ-আপদে একছুটে পলায়ন সম্ভব হয়। কিন্তু এবার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, যে হরিণ বা ওই জাতীয় প্রাণীরও তো একই ভয় থাকে, মানে অন্য কোনও জন্তু হামলা করতে পারে।
কিন্তু তারা তো সে কারণে দাঁড়িয়ে ঘুমায় না। এক্ষেত্রে আপনাকে জানাই শারীরিক বা গঠনগত পার্থক্য একটা বড় ফ্যাক্টর। আসলে ঘোড়ার শরীরের পেশির লিগামেন্ট ও টেন্ডনের বিন্যাস তাদের নিশ্চিন্তে দাঁড়িয়ে বিশ্রাম নিতে সাহায্য করে। তবে ঘোড়া কিন্তু সবসময় দাঁড়িয়ে ঘুমোয় না। অনেক সময় দেখা যায় তারা হাঁটু গেড়ে বসে পড়ে বা একপাশ ফিরে শোয়। এ অবস্থায় অনেক সময় একটানা দুই থেকে চার ঘণ্টা পর্যন্ত ঘুমায় (horses sleep on a farm)।
অনেকেই বলেন যে এক্ষেত্রে পায়ে ব্যথা করে না?
এই ক্ষেত্রেও বলতে হয়, ঘোড়া সত্যিই ব্যতিক্রমী। একটা উদাহরণ দিই আপনাকে। এই যে মানুষ অনবরত কথা বলে,তাতে কি মুখে ব্যথা হয়? হয়না তো, সেরকমই হাঁটুর ব্যথা হয় না ঘোড়ার। অনেক আস্তাবলে শোবার জন্য যথেষ্ট জায়গাও থাকে না। অনেক প্রাণীবিদরা মনে করেন বছরের যে সময় বনে ঘোড়ার জন্য যথেষ্ট খাদ্য থাকে না, সে সময় দিন ও রাতে প্রায় সব সময় কিছু না কিছু চিবিয়ে খাওয়ার জন্য তাদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, আর তারই ফাঁকে তারা ঘুমিয়ে নেয় (Ghora dariye gumoy)।
আরো পড়ুন- Begunkodar railway Station : ভুতে বিশ্বাস করেন ? কোনওদিন গেছেন ভুতুড়ে কোনও স্টেশনে?
আরো পড়ুন- Car tires : গাড়ির টায়ারে কেন বারে বারে হাওয়া দিতে হয় ? নিরেট টায়ার কেন বানানো হয় না?
আরো পড়ুন- আপনার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস কোনটি? যাকে ছাড়া আপনি অচল?
ঘোড়ার পেশির লিগামেন্টের বিন্যাস তাদের নিশ্চিন্তে দাঁড়িয়ে ঘুমাতে সাহায্য করে। আর একটা আশ্চর্যের ব্যাপার হল সব ঘোড়া যখন ঘুমোয়, অন্তত একটি ঘোড়া জেগে থাকে, যে তাদের দলের নিরাপত্তার জন্য প্রহরীর ভূমিকা পালন করে। এতটাই পরিশ্রমী ওরা, ভাবতে পারেন। এদের জীবন থেকে শেখার আছে অনেক কিছু।