Breaking Bharat: মগজ হচ্ছে সারা দেহের মধ্যে সবথেকে স্পেশাল মশাই। তাই মগজের বিশেষ খেয়াল রাখা চাই। কথায় আছে না, মাথা বিকোবে না। মানে মাথা অন্য কারো কাছে নিচু করার অর্থই হলো নিজেকে দাস হিসেবে কারোর সামনে প্রতিপন্ন করা। সেটা কিছুতেই করা যাবে না। কিন্তু যদি ঘি না ওঠে, তাহলে বিকল্প কিছু তো ভাবতেই হবে। অতএব মগজ ধোলাই। হীরক রাজা যেভাবে মগজ ধোলাই করতেন, আধুনিককালের পদ্ধতি কিন্তু বেশ বদলে গেছে। এখন সব চাই ব্রেন ওয়াশ (Brain wash)।
ব্রেন ওয়াশ’ কাকে বলে? (How do people get brain washed?)
আপনি নিজে কী ভাবছেন সেটা জরুরি নয় অন্যজন কি ভাবছেন আপনাকে, সেটা জরুরি । আরএই বিষয়টাকে প্রতিষ্ঠা করে ব্রেইন ওয়াশ শব্দটা। অর্থাৎ অন্যের চিন্তা ভাবনার মধ্যে আপনার নিজের চিন্তা ভাবনার প্রভাব খাটিয়ে বা জোর করে মানসিকভাবে তাঁকে আপনার নিজের আদর্শ,চিন্তাভাবনার দিকে ধাবিত করাকেই ব্রেইন ওয়াশ বলে।
কিভাবে ‘ব্রেন ওয়াশ’ করে? (how to brainwash someone?)
করোনাকালে আমরা বিশেষভাবে পরিচিত হয়েছি আইসোলেশন বা নিভৃত বাস শব্দটার সঙ্গে। ব্রেন ওয়াশ পদ্ধতিতেও কিন্তু টার্গেটকে আইসোলেটেড বা আলাদা করে দেওয়া হয়। এরপরের কাজ হচ্ছে পুরনো চিন্তাভাবনাকে তার মাথা থেকে একেবারে ডিলিট করে নতুন চিন্তা ভাবনা ঢুকিয়ে দেওয়া। মূলত জোর করে ব্রেনের মধ্যে কিছু ঢুকিয়ে দেওয়া যেটা হয়তো আপনার যিনি টার্গেট তিনি চাইছেন না বা সুস্থ মস্তিষ্কে তাঁকে দিয়ে সেই কাজটা করানো যাবে না, সেটাই ব্রেন ওয়াশ (types of brainwashing)।
গোটা বিষয়ের সঙ্গে মোটিভেশনের কোন সম্পর্ক নেই। ব্রেনওয়াশ করার আরও কিছু পদ্ধতি আছে। তার মধ্যে একটি হল মানসিক ও শারীরিক টরচার। অর্থাৎ কোন মানুষ যদি মানসিক এবং শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে তাহলে তাকে বশ করতে সুবিধা হয় ।
আরো পড়ুন- হঠাৎ মাংস পেশি বা শিরায় টান ধরল, বা রগে টান লাগলে কী করা উচিত?
আরো পড়ুন- Blood donation rules: রক্ত দান জীবন দান, মহৎ কাজ করার পর কী করবেন, জানেন?
তবে ব্রেন ওয়াশ করার ভালো খারাপ দুটো ঠিক আছে (brainwashed symptoms)। ভালোবাসা ও সাপোর্ট ব্রেইনওয়াশিং এর আরেকটি পার্ট। দিনের পর দিন কাউকে কিছু বোঝাতে থাকলে একই কথা বারবার বললে তার মনে সেই সম্পর্কে একটা বিশ্বাস জন্মে যায়। ব্রেন ওয়াশ করার এটাই সার্থকতা। এবার সেটা আপনি ভালো পথে না খারাপ পথে নিয়ে যাচ্ছেন সেটা সম্পূর্ণ ভাবে আপনার উপর নির্ভর করছে।
আরো পড়ুন- মোবাইল ফোনে ইমার্জেন্সি মোড-এর কাজ কী? কীভাবে কাজ করে এই ইমারজেন্সি মোড?
শুধু এটুকুই বলার, চিকিৎসাবিজ্ঞানী প্রয়োজনের খাতিরে রোগীকে সুস্থ করতে ডাক্তারদের অনেক পথ অবলম্বন করতে হয়। কিন্তু নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কখনোই কাউকে বশ করার মতো সিদ্ধান্ত ভুলেও নেবেন না। এটা সমাজের জন্য ক্ষতিকর।